বাংলাদেশ ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের

সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছে খানসামার কৃষকরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
  • ১৭৪০ বার পড়া হয়েছে

সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছে খানসামার কৃষকরা

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

বার বার লোকসান। তারপরও সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন আবাদে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মওসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি রসুনের দাম। বরং বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত বছরে রসুনের মূল্য বঞ্চিত হলেও এবছর এই অঞ্চলের কৃষকেরাইদ রসুন চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ২৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে।  যা গত বছরে ছিল ৩৭৫০ হেক্টর। এ বছর রসুনের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কমেছে রসুনের আবাদ। তারপরও সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর উপজেলায় রসুনের ভাল ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন বেশি চাষ করা হয়েছে। কেউবা রসুনে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন আবার কেউবা যত্ন নিচ্ছেন। চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের দাম পায়নি কৃষকরা। দাম ভাল না পাওয়ায় এ বছর অনেকেই কমে দিয়েছে রসুন চাষ।

ভাবকি ইউনিয়নের গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম জানান, এবছর ৫ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি। বিঘা প্রতি বীজ, সার-কীটনাশক ও সেচ বাবদ খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। বপন ও নিড়ানী সহ শ্রমিক খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এতে তার বিঘা প্রতি মোট ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

একই এলাকার বাবুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে ৩ বিঘা বর্গা (লীজ) নিয়ে রসুন আবাদ করেছেন। রসুন চাষে খরচ বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। উপায়ান্ত না পেয়ে এনজিও থেকে লক্ষাধিক টাকা সুদে করে নিয়ে রসুনের আবাদ করেছেন। অনুকুল আবহাওয়া না পেলে অথবা ফসলের ন্যায্য মুল্য না পেলে ঋনের বোঝা সুদের টাকা দিতে পথে বসতে হবে তাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বাজারে দাম ভাল না থাকায় এবছর কমেছে রসুন চাষ। তবে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর হেক্টর প্রতি ১০ মে.টনের বেশি ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও রসুন চাষীদের উৎসাহিত করার জন্য উন্নত জাতের বারি রসুন-  ১ ও বারি রসুন-৩ চাষ করতে কৃষকদেরকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

ক্যাপশনঃ খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম তার রসুন ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি। 

সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছে খানসামার কৃষকরা

আপডেট সময় ০৪:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

বার বার লোকসান। তারপরও সাদা সোনা নামে খ্যাত রসুন আবাদে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মওসুমে রসুনে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি রসুনের দাম। বরং বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত বছরে রসুনের মূল্য বঞ্চিত হলেও এবছর এই অঞ্চলের কৃষকেরাইদ রসুন চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ২৯৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে।  যা গত বছরে ছিল ৩৭৫০ হেক্টর। এ বছর রসুনের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কমেছে রসুনের আবাদ। তারপরও সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর উপজেলায় রসুনের ভাল ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার জুগীরঘোপা, কায়েমপুর, জোয়ার, কাচিনীয়া, আগ্রা, গুলিয়ারা ও গোয়ালডিহি গ্রামে রসুন বেশি চাষ করা হয়েছে। কেউবা রসুনে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন আবার কেউবা যত্ন নিচ্ছেন। চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মৌসুমের শুরুতে রসুনের ভালো দাম থাকলেও শেষ সময়ে এসে রসুনের দাম পায়নি কৃষকরা। দাম ভাল না পাওয়ায় এ বছর অনেকেই কমে দিয়েছে রসুন চাষ।

ভাবকি ইউনিয়নের গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম জানান, এবছর ৫ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি। বিঘা প্রতি বীজ, সার-কীটনাশক ও সেচ বাবদ খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। বপন ও নিড়ানী সহ শ্রমিক খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এতে তার বিঘা প্রতি মোট ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।

একই এলাকার বাবুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে ৩ বিঘা বর্গা (লীজ) নিয়ে রসুন আবাদ করেছেন। রসুন চাষে খরচ বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। উপায়ান্ত না পেয়ে এনজিও থেকে লক্ষাধিক টাকা সুদে করে নিয়ে রসুনের আবাদ করেছেন। অনুকুল আবহাওয়া না পেলে অথবা ফসলের ন্যায্য মুল্য না পেলে ঋনের বোঝা সুদের টাকা দিতে পথে বসতে হবে তাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, বাজারে দাম ভাল না থাকায় এবছর কমেছে রসুন চাষ। তবে আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর হেক্টর প্রতি ১০ মে.টনের বেশি ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও রসুন চাষীদের উৎসাহিত করার জন্য উন্নত জাতের বারি রসুন-  ১ ও বারি রসুন-৩ চাষ করতে কৃষকদেরকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাই এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

ক্যাপশনঃ খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা গ্রামের আলামিন ইসলাম তার রসুন ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।