পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধ।।
রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার ৪নং কুমেদপুর ইউপির পলাতক চেয়ারম্যান আমিনুলের বিরুদ্ধে ৩৫টি দুর্নীতির অভিযোগর তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৫ই আগস্ট ২০২৪তিন তারিখে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম গা ঢাকা দিয়েছেন। গত সোমবার সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ইউপি মহিলা সদস্যা /সদস্যদের উপস্থিতিতে তদন্ত শুরু করেন-পীরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসার জনাব আমিনুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট চুরি ও জবর দখল করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমিনুল ইসলাম আওয়ামী সরকার ও পীরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সান্নিধ্যের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একছত্র আধিপত্য কায়েম করেন, ইউনিয়নের জনসাধারণ ও ইউপি মহিলা সদস্য ও সদস্যদের উপর। সেই সাথে জড়িয়ে পড়েন নানা দুর্নীতি ও অনিয়মে। তার ক্ষমতার দাপটে কোন ঠাসা হয়ে পড়েন মহিলা সদস্য ও সদস্যগণ। এ নিয়ে মহিলা ইউপি সদস্য ও সদস্যগণ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করে উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি অভিযোগ ও দায়ের করেন।
অভিযোগ উল্লেখ করেন –চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ক্ষমতার দাপটে সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে ইউপি পরিষদের রাজস্ব আয়সহ সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আয়ের টাকা ইউপি পরিষদের তহবিলে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশ উপস্থাপন করেন না। ইউনিয়ন পরিষদের সাথে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
এছাড়াও ২০২২ -২০২৩ অর্থবছরের ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তির নিকট তিন থেকে চার বার কর আদায়, ভিজিএফ কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ড ধারীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কার্ড বিতরণ, ইউপি পরিষদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছের নিলাম না করে বিক্রি করে আত্মসাৎ, ইউপি মহিলা সদস্যা ও সদস্যদের ভাতা বাবদ জন প্রতি ৪০০ উৎকোচ টাকা গ্রহণ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন এবং চারিত্রিক সনদপত্রেও অর্থ গ্রহণ করেন তিনি।
করোনা কালীন সময়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে প্রেরিত অর্থ আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত ফি আদায়, কাভি খা কাবিটা ৪০দিনের কর্মসূচির শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাৎ করে কোটি কোটি অবৈধ টাকার মালিক হয়েছে এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমি উদ্য থেকে তদন্ত শুরু করেছি, এরমধ্যে অনেক অভিযোগের সত্যতা ও প্রমাণ পেয়েছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
অপরদিকে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও সদসাগন ইউপি পরিষদের সেবা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য, জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসক অথবা প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।