নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা জনাব ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মহোদয়ের সাক্ষাৎ করে মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর সহ সরকারি মাধ্যমিকের এন্ট্রি পদ (সহকারী শিক্ষক) নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ সহ ০৮ (আট) দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল।
গতকাল বিকেলে নেতৃবৃন্দের সাথে সচিবালয়ে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার দপ্তরে এক পূর্বনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক নেতা মোঃ ওমর ফারুক। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান নূর ও মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষিকা জনাব কামরুন নাহার।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ২০১০ এর শিক্ষানীতির আলোকে মাধ্যমিকের জন্য আলাদা অধিদপ্তর এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। একই সাথে স্বাধীনতার পর থেকে একই গ্রেডে কর্মরত সহকারী শিক্ষক এর এন্ট্রি পদটিকে নবম গ্রেডে উন্নীত করে একটি চার স্তরীয় পদসোপান বাস্তবায়নের জোর সুপারিশ করেন। এছাড়া বিভিন্নশূন্য পদ দ্রুত পূরণ, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরী আদেশ এবং অগ্রিম বর্ষিত বেতন সমস্যার সমাধান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পদায়ন, প্রকল্পের জনবলকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি না করা, কারিকুলাম প্রণয়ন ও বিস্তরণে মাধ্যমিকের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সরকারি মাধ্যমিকে আইসিটি শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নিয়োগ প্রদানের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে একই দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সেদিন প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহবায়ক আসাদুজ্জামান নূর ও সদস্য সচিব মোঃ ওমর ফারুক। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উভয় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আহবানে সাড়া দিয়ে বৈষম্যের বিষয়গুলি লিখিত আকারে তুলে ধরার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে মর্মে অবহিত করেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিয়ম তান্ত্রিক উপায়ে লিখিতভাবে স্মারকলিপি প্রদান করার মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আন্তরিক বলে জানিয়েছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দাবিগুলির ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের সাথে নিয়ে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।