বাংলাদেশ ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের কুবিতে প্রথমবারের মত ইদে মিলাদুন্নবী পালিত উলিপুরে হিফজুল কোরআন কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে রিভলভার ও গুলি উদ্ধার

মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

মুলাদী প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর স্বীকার করেছেন।
জানাযায়, ১১.৮.২০২৪ সালে মোকাম বরিশালের বিজ্ঞ মুলাদী সহকারী জজ আদালত দেওয়ানী মোকদ্দমা ৮৪/২০২৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিনকে প্রধান বিবাদী করে আরো ৩জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৬.১২.২৩ইং স্কুলের এ্যাডহক কমিটি বোর্ড কর্তৃক অনুমদিত হলে এই কমিটি ১/১/২৪ থেকে ১/৩/২৪ইং পর্যন্ত স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়া হলে শিক্ষক কর্মচারীগণ বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে। অপর দিকে এলাকাবাসী কমিটি বিলপ্তির জন্য বোর্ডে আবেদন করেন।

৩১/৩/২৪ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম ও সভাপতি কাজী জানে আলম দুলাল ভোটার তৈরি করে ফুল কমিটি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার চেয়ে আবেদন করেন। অপর দিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ২/৪/২৪ইং তারিখে বোর্ড কর্তৃপক্ষ কমিটি বাতিল করেন।

এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিজাইডিং অফিসার না দেওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিদর্শন করলে দেখতে পান ভোটার তালিকা ভুয়া। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ৬০ জন দেখানো হয়েছে ২০জন, ৭ম শ্রেণীতে ২৮জন দেখানো হয়েছে ৮জন ও ৮ম শ্রেণীতে ৩৬জন দেখানো হয়েছে ৫জন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ের দপ্তরী ১৯৯২ সালে ও আয়া ২০১২ সালে নিয়োগ হলে এখন পর্যন্ত তাদের কোন নিয়োগ ও যোগদানপত্র দেননি। এমনকি তাদের বেতন ভাতাও জোর পূর্বক নিয়ে নেন।

১/১/২০২৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক অদ্যবদি পর্ডন্ত স্কুলে না আসার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে স্কুলের অফিসগত সকল কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিগত দিনেও প্রধান শিক্ষক স্কুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, স্কুল বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটি বাতিল করে দিয়েছে, এখানে আমার কিছুই করার নেই। অযথা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন এবং বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ব্যাহত করছেন।

এলাকার ইউপি সদস্য রাশেদ মাতুব্বর বলেন, এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের দপ্তরী ও আয়ার টাকা আত্মসাত করেন এবং তার সকল দূর্ণীতি ঢাকার জন্য মামলা দিয়ে সকলকে হয়রানি করেন।
১৯৭২ সালে গাছুয়া এলাকায় সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে বিদ্যালয়টি সঠিকভাবে পরিচালিত না হওয়ায় ও দূর্ণীতির কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। এসব কারণে ১৯৯৬ সালে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনভাতা সরকারী অংশের প্রদান বন্ধ হয়ে যায়।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা

মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের

আপডেট সময় ০৬:০৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

 

 

মুলাদী প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর স্বীকার করেছেন।
জানাযায়, ১১.৮.২০২৪ সালে মোকাম বরিশালের বিজ্ঞ মুলাদী সহকারী জজ আদালত দেওয়ানী মোকদ্দমা ৮৪/২০২৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিনকে প্রধান বিবাদী করে আরো ৩জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৬.১২.২৩ইং স্কুলের এ্যাডহক কমিটি বোর্ড কর্তৃক অনুমদিত হলে এই কমিটি ১/১/২৪ থেকে ১/৩/২৪ইং পর্যন্ত স্কুলের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়া হলে শিক্ষক কর্মচারীগণ বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে। অপর দিকে এলাকাবাসী কমিটি বিলপ্তির জন্য বোর্ডে আবেদন করেন।

৩১/৩/২৪ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম ও সভাপতি কাজী জানে আলম দুলাল ভোটার তৈরি করে ফুল কমিটি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার চেয়ে আবেদন করেন। অপর দিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ২/৪/২৪ইং তারিখে বোর্ড কর্তৃপক্ষ কমিটি বাতিল করেন।

এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিজাইডিং অফিসার না দেওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিদর্শন করলে দেখতে পান ভোটার তালিকা ভুয়া। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ৬০ জন দেখানো হয়েছে ২০জন, ৭ম শ্রেণীতে ২৮জন দেখানো হয়েছে ৮জন ও ৮ম শ্রেণীতে ৩৬জন দেখানো হয়েছে ৫জন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ের দপ্তরী ১৯৯২ সালে ও আয়া ২০১২ সালে নিয়োগ হলে এখন পর্যন্ত তাদের কোন নিয়োগ ও যোগদানপত্র দেননি। এমনকি তাদের বেতন ভাতাও জোর পূর্বক নিয়ে নেন।

১/১/২০২৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক অদ্যবদি পর্ডন্ত স্কুলে না আসার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার কারণে স্কুলের অফিসগত সকল কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিগত দিনেও প্রধান শিক্ষক স্কুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, স্কুল বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটি বাতিল করে দিয়েছে, এখানে আমার কিছুই করার নেই। অযথা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন এবং বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম ব্যাহত করছেন।

এলাকার ইউপি সদস্য রাশেদ মাতুব্বর বলেন, এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের দপ্তরী ও আয়ার টাকা আত্মসাত করেন এবং তার সকল দূর্ণীতি ঢাকার জন্য মামলা দিয়ে সকলকে হয়রানি করেন।
১৯৭২ সালে গাছুয়া এলাকায় সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের পর থেকে বিদ্যালয়টি সঠিকভাবে পরিচালিত না হওয়ায় ও দূর্ণীতির কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। এসব কারণে ১৯৯৬ সালে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনভাতা সরকারী অংশের প্রদান বন্ধ হয়ে যায়।