বাংলাদেশ ০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মুচি’ নয় এখন থেকে নতুন পরিচয় হোক ‘সু-কর্মী’

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
  • ১৬৮৭ বার পড়া হয়েছে

মুচি' নয় এখন থেকে নতুন পরিচয় হোক 'সু-কর্মী'

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি:
যারা জুতো তৈরি, সেলাই ও কালি বা রঙ করার কাজ করেন তারা আমাদের সমাজে ‘মুচি’ হিসেবে পরিচিত। দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র পেশার এসব হতদরিদ্র ও অবহেলিত ‘সু-কর্মী’রা আমাদের ঘুণে ধরা সমাজে অবহেলার পাত্র। এমনকি এদেরকে কেউ মানুষ বলে গণ্য করতে চান না। অথচ এরাই আমাদের চলার পথে সৌন্দর্যের সিঁড়ি তৈরি করে দেন।  এরা পথিকজনের সহায়। এখন থেকে এরা ‘মুচি’ নয়, পরিচিত হবেন ‘সু-কর্মী’ (Shoe Craftsman) হিসেবে।
এসব ‘সু-কর্মী’দের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ‘ভিনগোলার্ধ’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বরিশালের বানারীপাড়ার শেরেবাংলার পিতৃভূমি চাখারের কৃতি সন্তান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)’র সাবেক ডিন এবং বাইশারীর সৈয়দ বজলুল হক ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল আলোর দিশারী অগ্রপথিক। ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো ইতোমধ্যে তারা পৌঁছে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকার ‘সু-কর্মী’দের হাতে। কাজ চলছে আরো বিতরণের। ২০শে আগস্ট-২০২১ থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে তারা ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো বিতরণ করা শুরু করেছেন।
প্রথম পর্বে সাইনগুলো পৌঁছে দিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট বাজারের ৫ জন ‘সু-কর্মী’র কাছে। পরের পর্বটি মিরপুরে। মিরপুর-১৩ এর  শ্রীচরণ ঋষি এ সাইনগুলো গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করছেন। সবাই এর মতো সাইনগুলো ব্যবহারে করলে উদ্যোগতাদের উদ্দেশ্য সার্থক হবে। ঢাকার বাইরে প্রথমে বরগুনা শহরে ১৭ অক্টোবর-২০২১ তারিখে ১১ জন ‘সু-কর্মী’র কাছে সাইনগুলো দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ‘সু-কর্মী’দের কাছে সাইনগুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে কাজ চলছে। এদের মধ্যে রাজশাহী, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, ফেনী, হাতিয়া, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা ও বাগেরহাটের কিছু কিছু এলাকায় ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের পশ্চিম বাংলায়ও এ কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রয়াত সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকিরের ছোট ভাই প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আতিকুল ইসলাম জানান, আমরা ‘মুচি’ শব্দটিকে বদলে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ‘সু-কর্মী’রা সকলেই আমাদের এ সাইনগুলোকে আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করেছে। এভাবে ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলাদেশে কাজ করতে চাই। আমরা চাচ্ছি এদের কাজকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখুক।
এদের সন্তানেরা গর্ব করে বাবার পরিচয় দিতে পারুক এটাই আমাদের কাম্য। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি সামাজিক উদ্যোগ। আশা করি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেকেই আমাদের সাথে কাজ করতে এগিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে সচেতন সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা চাই ‘মুচি’ সম্বোধনটি আমাদের সমাজ থেকে চিরতরে হারিয়ে যাক। সমাজে এরা নতুন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক। এখন থেকে এদের নতুন পরিচয় হোক ‘সু-কর্মী’ (Shoe Craftsman)।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মুচি’ নয় এখন থেকে নতুন পরিচয় হোক ‘সু-কর্মী’

আপডেট সময় ০৭:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২
রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি:
যারা জুতো তৈরি, সেলাই ও কালি বা রঙ করার কাজ করেন তারা আমাদের সমাজে ‘মুচি’ হিসেবে পরিচিত। দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র পেশার এসব হতদরিদ্র ও অবহেলিত ‘সু-কর্মী’রা আমাদের ঘুণে ধরা সমাজে অবহেলার পাত্র। এমনকি এদেরকে কেউ মানুষ বলে গণ্য করতে চান না। অথচ এরাই আমাদের চলার পথে সৌন্দর্যের সিঁড়ি তৈরি করে দেন।  এরা পথিকজনের সহায়। এখন থেকে এরা ‘মুচি’ নয়, পরিচিত হবেন ‘সু-কর্মী’ (Shoe Craftsman) হিসেবে।
এসব ‘সু-কর্মী’দের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ‘ভিনগোলার্ধ’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বরিশালের বানারীপাড়ার শেরেবাংলার পিতৃভূমি চাখারের কৃতি সন্তান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)’র সাবেক ডিন এবং বাইশারীর সৈয়দ বজলুল হক ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল আলোর দিশারী অগ্রপথিক। ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো ইতোমধ্যে তারা পৌঁছে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকার ‘সু-কর্মী’দের হাতে। কাজ চলছে আরো বিতরণের। ২০শে আগস্ট-২০২১ থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে তারা ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো বিতরণ করা শুরু করেছেন।
প্রথম পর্বে সাইনগুলো পৌঁছে দিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট বাজারের ৫ জন ‘সু-কর্মী’র কাছে। পরের পর্বটি মিরপুরে। মিরপুর-১৩ এর  শ্রীচরণ ঋষি এ সাইনগুলো গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করছেন। সবাই এর মতো সাইনগুলো ব্যবহারে করলে উদ্যোগতাদের উদ্দেশ্য সার্থক হবে। ঢাকার বাইরে প্রথমে বরগুনা শহরে ১৭ অক্টোবর-২০২১ তারিখে ১১ জন ‘সু-কর্মী’র কাছে সাইনগুলো দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ‘সু-কর্মী’দের কাছে সাইনগুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে কাজ চলছে। এদের মধ্যে রাজশাহী, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, ফেনী, হাতিয়া, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা ও বাগেরহাটের কিছু কিছু এলাকায় ‘সু-কর্মী’র সাইনগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের পশ্চিম বাংলায়ও এ কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রয়াত সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জাকিরের ছোট ভাই প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আতিকুল ইসলাম জানান, আমরা ‘মুচি’ শব্দটিকে বদলে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ‘সু-কর্মী’রা সকলেই আমাদের এ সাইনগুলোকে আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করেছে। এভাবে ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলাদেশে কাজ করতে চাই। আমরা চাচ্ছি এদের কাজকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখুক।
এদের সন্তানেরা গর্ব করে বাবার পরিচয় দিতে পারুক এটাই আমাদের কাম্য। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি সামাজিক উদ্যোগ। আশা করি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেকেই আমাদের সাথে কাজ করতে এগিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে সচেতন সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা চাই ‘মুচি’ সম্বোধনটি আমাদের সমাজ থেকে চিরতরে হারিয়ে যাক। সমাজে এরা নতুন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক। এখন থেকে এদের নতুন পরিচয় হোক ‘সু-কর্মী’ (Shoe Craftsman)।