বাংলাদেশ ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ দীর্ঘ ছয়’বছর পর রাজাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা। ওলামা পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে ইউনিয়ন ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে হিন্দু নেতৃবৃন্দ একটি তালগাছ একটি বজ্রনিরোধক দণ্ড হিসাবে কাজ করবে- ইউএনও শাকিল আহমেদ কুবিতে আইকিউএসি’র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক নিয়োগ জিয়ার জন্মদিনে বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা মিরপুরে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু অকপটে শুধু গান নিয়েই একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন- বিজয় সরকার। বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে নবীকে নিয়ে কটুক্তি ; যুবক গ্রেফতার জামালপুরে তিনদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট

ফুলবাড়ীতে এমপি’র ভবন রক্ষার্থে পানি উন্নয় বোর্ডের ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬২৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এর লীজকৃত ভবন রক্ষার্থে পানি উন্নয় বোর্ডের ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়। ফুলবাড়ী উপজেলার ছোট যমুনা নদী ব্রীজ সংলগ্ন পশ্চিম গৌরীপাড়া মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ক তফশীলভূক্ত যাহার দাগ নং-১২০/৪৫৭, খতিয়ান নং-২৩৭, জমির পরিমান: ০৪ শতক। উক্ত জমিটি লীজ নিয়ে মোঃ রফিক সেখানে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মানের পর সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন।

এর মধ্যে ঐ তিন তলা ভবন মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয়কে ভাড়া দেন। মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয় সেখানে ডক্টরস্ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার স্থাপন করেন। মোঃ রফিক দীর্ঘদিন খাজনা পরিশোধ না করায় উক্ত জমি লীজ নেন মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয়। ইতি মধ্যে ঐ ভবনটির উপর চোঁখ পড়ে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের, এর পর নুর আলম চৌধুরী জয় কে কিছু টাকা দিয়ে লিখিত নিয়ে ভবনটি দখলে নেন তিনি।

এর পর ২০২০ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়াত হায়দার আলী শাহ্ দলীয় কার্যালয় নির্মানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন, এর পরিপেক্ষিতে গত ২০২০ইং সালে গৌরীপাড়া মৌজার ২৩৭নং খতিয়ানের ১২০/৪৫৭ দাগে ০৬ শতক জমি বরাদ্দ নেন। ভবনটি লীজ নেওয়ার পর ভবনের পশ্চিম দিকে প্রায় ০৪ শতক জায়গা পরিত্যাক্ত পড়ে থাকায় সেখানে আওয়ামীলীগের কর্যালয় নির্মান করা হচ্ছিল। কিন্তু সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী জায়গাটি নদীর অংশ না হওয়ায় সেখানে ভবন নির্মান শুরু করা হলে পরবর্তীতে সরকারি বাঁধার মুখে পড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্মানাধীন কার্যালয়টি। এর পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ফুলবাড়ী উপজেলাধীন পশ্চিম গৌরিপাড়া নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাম তীর রক্ষার্থে ২৮.৩০ হতে ২৮.৩৮০ মোট ৫০ মিটার জরুরী অস্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধ প্যাকেজ নং-ডিপিএম-০৫/২০২৩-২৪। প্রকল্পের নাম ফুলবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প। এই প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয় ১৯,১৭,৩৪৭.৭৪৫টাকা মাত্র। কাজ শুরুর তারিখ ২৫/০৭/২০২৩ইং কাজ শেষের তারিখ: ৩০/০৯/২০২৩ইং। কাজ টি পেয়েছিলেন মেসার্স বজলুল হক ঘাসুপাড়া দিনাজপুর। তিনি ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর সঠিক সময়ে কাজ না করতে পারায় ২০২৪ইং সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীর দিকে কাজটি সম্পন্ন করেন। এমপির তিন তলা ভবন রক্ষার্থে পশ্চিম দিকে বালু সিমেন্ট বস্তায় ভরে বসানো হয়েছে। এই কাজ নির্মাণে তদারক করেছেন এবং কাজটি সমাপ্ত করতে সহযোগীতা করেছেন ফুলবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আওয়ামীলীগের নেতা মামুনুর রশিদ চৌধুরী।

এখানে উল্লেখ্য যে, কাজটি সমাপ্ত করতে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসাবে কি কাজ হয়েছে। নদীর তীর বা শহর কোনটিই রক্ষরা হয় নি, হয়েছে শুধু এমপির ভবন রক্ষা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কী তাহলে শুধু এমপির ভবন রক্ষা করার জন্য এ কাজ করেছেন। ভবনটির উত্তর পার্শ্বে কিছু গরীব লোকের বাড়ী ঘর রয়েছে সেগুলি রক্ষা হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলে তাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেগুলে রক্ষা করা কী পানি উন্নয় বোর্ডে দরকার ছিল না? না কি শুধু এমপির ভবন রক্ষা করা দরকার? অথচ ১৬/০৮/২০২২ ইং তারিখে ইজারা নিয়ে দলীয় কার্যালয় শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায়। অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের ২০১৯ সালের পরিপত্র অনুযায়ী এই সম্পত্তির সার্বিক তত্ত¡াধান ও নিয়ন্ত্রন দখল গ্রহণ ব্যবস্থাপনা ও ইজারা প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া আছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের হাতে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ইজারা প্রদান করলেও ইজারা গ্রহীতা বরাদ্দকৃত জায়গায় কোন স্থায়ী অবকাঠামো নিমার্ণ করতে পারবে না।

অথচ রফিক সেখানে নির্মাণ করেছেন তিন তলা ভবন এবং পশ্চিম পাশ্বে বহুতলা ভবন নির্মাণরে প্রস্তুতি নিয়েছিলন সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি অতি জরুরী ছিল সে কারণে কাজটি সেখানে করা হয়েছে।

তদারককারী সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সামসুদোহার সাথে কথা বললে তিনি জানান, কাজটির বিষয়ে আমি দেখাশোনা করেছি।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

ফুলবাড়ীতে এমপি’র ভবন রক্ষার্থে পানি উন্নয় বোর্ডের ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়

আপডেট সময় ০১:০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এর লীজকৃত ভবন রক্ষার্থে পানি উন্নয় বোর্ডের ১৯ লক্ষ টাকা ব্যায়। ফুলবাড়ী উপজেলার ছোট যমুনা নদী ব্রীজ সংলগ্ন পশ্চিম গৌরীপাড়া মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ক তফশীলভূক্ত যাহার দাগ নং-১২০/৪৫৭, খতিয়ান নং-২৩৭, জমির পরিমান: ০৪ শতক। উক্ত জমিটি লীজ নিয়ে মোঃ রফিক সেখানে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মানের পর সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন।

এর মধ্যে ঐ তিন তলা ভবন মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয়কে ভাড়া দেন। মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয় সেখানে ডক্টরস্ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার স্থাপন করেন। মোঃ রফিক দীর্ঘদিন খাজনা পরিশোধ না করায় উক্ত জমি লীজ নেন মোঃ নুর আলম চৌধুরী জয়। ইতি মধ্যে ঐ ভবনটির উপর চোঁখ পড়ে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের, এর পর নুর আলম চৌধুরী জয় কে কিছু টাকা দিয়ে লিখিত নিয়ে ভবনটি দখলে নেন তিনি।

এর পর ২০২০ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রয়াত হায়দার আলী শাহ্ দলীয় কার্যালয় নির্মানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন, এর পরিপেক্ষিতে গত ২০২০ইং সালে গৌরীপাড়া মৌজার ২৩৭নং খতিয়ানের ১২০/৪৫৭ দাগে ০৬ শতক জমি বরাদ্দ নেন। ভবনটি লীজ নেওয়ার পর ভবনের পশ্চিম দিকে প্রায় ০৪ শতক জায়গা পরিত্যাক্ত পড়ে থাকায় সেখানে আওয়ামীলীগের কর্যালয় নির্মান করা হচ্ছিল। কিন্তু সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী জায়গাটি নদীর অংশ না হওয়ায় সেখানে ভবন নির্মান শুরু করা হলে পরবর্তীতে সরকারি বাঁধার মুখে পড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্মানাধীন কার্যালয়টি। এর পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ফুলবাড়ী উপজেলাধীন পশ্চিম গৌরিপাড়া নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাম তীর রক্ষার্থে ২৮.৩০ হতে ২৮.৩৮০ মোট ৫০ মিটার জরুরী অস্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধ প্যাকেজ নং-ডিপিএম-০৫/২০২৩-২৪। প্রকল্পের নাম ফুলবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প। এই প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয় ১৯,১৭,৩৪৭.৭৪৫টাকা মাত্র। কাজ শুরুর তারিখ ২৫/০৭/২০২৩ইং কাজ শেষের তারিখ: ৩০/০৯/২০২৩ইং। কাজ টি পেয়েছিলেন মেসার্স বজলুল হক ঘাসুপাড়া দিনাজপুর। তিনি ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর সঠিক সময়ে কাজ না করতে পারায় ২০২৪ইং সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীর দিকে কাজটি সম্পন্ন করেন। এমপির তিন তলা ভবন রক্ষার্থে পশ্চিম দিকে বালু সিমেন্ট বস্তায় ভরে বসানো হয়েছে। এই কাজ নির্মাণে তদারক করেছেন এবং কাজটি সমাপ্ত করতে সহযোগীতা করেছেন ফুলবাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আওয়ামীলীগের নেতা মামুনুর রশিদ চৌধুরী।

এখানে উল্লেখ্য যে, কাজটি সমাপ্ত করতে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসাবে কি কাজ হয়েছে। নদীর তীর বা শহর কোনটিই রক্ষরা হয় নি, হয়েছে শুধু এমপির ভবন রক্ষা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কী তাহলে শুধু এমপির ভবন রক্ষা করার জন্য এ কাজ করেছেন। ভবনটির উত্তর পার্শ্বে কিছু গরীব লোকের বাড়ী ঘর রয়েছে সেগুলি রক্ষা হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলে তাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। সেগুলে রক্ষা করা কী পানি উন্নয় বোর্ডে দরকার ছিল না? না কি শুধু এমপির ভবন রক্ষা করা দরকার? অথচ ১৬/০৮/২০২২ ইং তারিখে ইজারা নিয়ে দলীয় কার্যালয় শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায়। অর্পিত সম্পত্তির বিষয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়ের ২০১৯ সালের পরিপত্র অনুযায়ী এই সম্পত্তির সার্বিক তত্ত¡াধান ও নিয়ন্ত্রন দখল গ্রহণ ব্যবস্থাপনা ও ইজারা প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া আছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের হাতে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ইজারা প্রদান করলেও ইজারা গ্রহীতা বরাদ্দকৃত জায়গায় কোন স্থায়ী অবকাঠামো নিমার্ণ করতে পারবে না।

অথচ রফিক সেখানে নির্মাণ করেছেন তিন তলা ভবন এবং পশ্চিম পাশ্বে বহুতলা ভবন নির্মাণরে প্রস্তুতি নিয়েছিলন সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এ বিষয়ে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি অতি জরুরী ছিল সে কারণে কাজটি সেখানে করা হয়েছে।

তদারককারী সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সামসুদোহার সাথে কথা বললে তিনি জানান, কাজটির বিষয়ে আমি দেখাশোনা করেছি।