মোঃ শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইলের “ভূঞাপুর সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।” নানা শ্রেণি পেশাজীবীদের সম্মিলিত উদ্যোগে গঠিত ‘ভূঞাপুর দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটি’ পাঁচ লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন।
শনিবার রাতে পানিবন্দি জেলার মধ্যে নোয়াখালী উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন সেচ্ছাসেবীর একটি টিম।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্যাকবলিত দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন তারা। ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে গত ২২ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অর্থ সংগ্রহ করেন সেচ্ছাসেবীরা।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, লাইট, সাবান, সুজি, মশার কয়েল, গুঁড়ো দুধ, ওষুধ, মোমবাতি, চিড়া, গুড়, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শিশু খাবার ইত্যাদি। এসব মিলিয়ে বানভাসিদের মধ্যে ৪০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা প্রদান করবে সেচ্ছাসেবীরা।
মানবতার সেবায় ভূঞাপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাইমুর রাহাত রায়হান বলেন, দেশে আকস্মিক বন্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ভূঞাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একত্রিত হয়ে সাধারণ ছাত্র ও ব্যবসায়ী সমাজের সাথে সমন্বয় করে বানভাসি মানুষের জন্য সম্মিলিতভাবে ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করি। পরে এ নিয়ে আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া আসে। কয়েকদিনে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান সংগ্রহ হয়। এ উদ্যোগে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আমাদের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মহোদয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ছাত্র সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবীরা আমার কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা জানালে তাদের এ কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করি। যা থেকে বড় একটি অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করা হয়। পরে ঊর্ধ্বতনদের পরামর্শ মোতাবেক নোয়াখালীর দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বানভাসি মানুষদের পাঁশে দাঁড়াতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা খুব উৎসাহ নিয়ে মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছেন। এমন উদ্যোগে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিসহ বেশ কয়েকটি জেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে নানা ভোগান্তি ও মানবেতর জীবনযাপন করছে।