বাংলাদেশ ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

অন্ধ পরিবারের পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • ১৬২৮ বার পড়া হয়েছে
রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের এক অন্ধ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ। তিনি ওই পরিবারটিকে গবাদিপশু (গরু) কিনে দিয়েছেন লালন পালনে। যা থেকে আয়ের অংশ হিসেবে যোগ হবে পরিবারে।
গত কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে বাইসাইকেলে মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন বারো বছর বয়সী মে রিনা রানী।
সাইকেলের পেছনের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা। এমন হৃদয় বিদায়ক দৃশ্য চোখে পড়ে ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে মো: আহসান উল্লাহ ফিলিপ এর। সুবেশ চন্দ্র পাল ওই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। পরে সুবেশ চন্দ্র পালের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গবাদিপশু গরু কিনে দেয়ার বিষয়ে আশস্ত করেন।
হঠাৎ গতকাল শুক্রবার (১৩) মে বিকেলে গরুটি নিয়ে হাজির হয় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ভাষা সৈনিকের ছেলে ফিলিপ। স্থানীয়দের উস্থিতিতে তুলে দেন গরুটি।   এমন অবস্থায় গরু উপহার হিসেবে পেয়ে খুশি পরিবারটি।দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশ চন্দ্র পাল বলেন, অন্ধ হওয়ায় পরিবারের জন্য আয় করতে পারছি না। স্ত্রী সন্তানরা বাসায় মাটির জিনিস তৈরি করে। আর তা বিক্রির জন্য ১২ বছর বয়সী মেয়ে আমাকে সাথে নিয়ে সাইকেলে করে হাটবাজারে বিক্রির পর অন্ন জোগাতে হয়। গরুটি পেয়ে আমি ভীষন খুশি। সেটি লালন পালন করে আয় করা যাবে। তবে কয়েক বছর পর মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে এমন চিন্তায় ভেঙ্গে পরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ জানান, সমাজের বৃত্তবানরা যদি এমন অসহায় পরিবারগুলোর দিকে এগিয়ে আসে তাহলে অনাহের কেউ দিন পার করবে না বলে মনে করেন তিনি।
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

অন্ধ পরিবারের পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ

আপডেট সময় ০৫:০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের এক অন্ধ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ। তিনি ওই পরিবারটিকে গবাদিপশু (গরু) কিনে দিয়েছেন লালন পালনে। যা থেকে আয়ের অংশ হিসেবে যোগ হবে পরিবারে।
গত কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে বাইসাইকেলে মাটির তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন বারো বছর বয়সী মে রিনা রানী।
সাইকেলের পেছনের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা। এমন হৃদয় বিদায়ক দৃশ্য চোখে পড়ে ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে মো: আহসান উল্লাহ ফিলিপ এর। সুবেশ চন্দ্র পাল ওই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। পরে সুবেশ চন্দ্র পালের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় গবাদিপশু গরু কিনে দেয়ার বিষয়ে আশস্ত করেন।
হঠাৎ গতকাল শুক্রবার (১৩) মে বিকেলে গরুটি নিয়ে হাজির হয় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ভাষা সৈনিকের ছেলে ফিলিপ। স্থানীয়দের উস্থিতিতে তুলে দেন গরুটি।   এমন অবস্থায় গরু উপহার হিসেবে পেয়ে খুশি পরিবারটি।দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশ চন্দ্র পাল বলেন, অন্ধ হওয়ায় পরিবারের জন্য আয় করতে পারছি না। স্ত্রী সন্তানরা বাসায় মাটির জিনিস তৈরি করে। আর তা বিক্রির জন্য ১২ বছর বয়সী মেয়ে আমাকে সাথে নিয়ে সাইকেলে করে হাটবাজারে বিক্রির পর অন্ন জোগাতে হয়। গরুটি পেয়ে আমি ভীষন খুশি। সেটি লালন পালন করে আয় করা যাবে। তবে কয়েক বছর পর মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে এমন চিন্তায় ভেঙ্গে পরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভাষা সৈনিকের পুত্র ফিলিপ জানান, সমাজের বৃত্তবানরা যদি এমন অসহায় পরিবারগুলোর দিকে এগিয়ে আসে তাহলে অনাহের কেউ দিন পার করবে না বলে মনে করেন তিনি।