রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কৃষকের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের লেলিহান শিখায় মুহুর্তের মধ্যে পুড়ে ২টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উচাবালুয়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেনের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল ১৮ মার্চ রাতে আরাফাত হোসেন বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই কৃষকের দাবি প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরে তার বসতঘরে আগুন দিয়েছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গভীররাতে হঠাৎ করেই কৃষক আরাফাত চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। কিন্তু ততক্ষণে কৃষক আরাফাতের বসতঘরসহ গবাদিপশু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কৃষক আরাফাত বলেন, অনেক দিন ধরেই একই গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হক, একরামুল হক, রহমত মিয়া (রাসেল), রাকিব মিয়া ও লোকমান হোসেনর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তারা কারও কোন কথা শোনেনা। সবশেষে তারা পূর্ব শত্রুতার জেরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি তাদের দেখেছি কিন্তু ওই সময় অনেক রাত আমি একা ছিলাম ওদের সাথে মুখ বাধা আরো ৪/৫ জন ছিল। তাদের হাতে হাতে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র, পেট্রোল ইত্যাদি ছিল আমি নিজের জীবনের ভয়ে কিছুই করতে পারিনি। কোন উপায় না পেয়ে চিৎকার শুরু করি গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলেও আমার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার গবাদিপশু সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত নাজমুল হক বলেন, আরাফাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার যে ঘর পুড়ে গিয়েছে সেটা তার বসতঘর নয়। তার বসবাসের জন্য পাকা ঘর রয়েছে। আমাদের ফাঁসাতেই সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার।
মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাটি জনবসতি এলাকা হলেও বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মিঠাপুকুর থানার এসআই এরশাদ বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।