![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নারিকেল গাছে সার ও পানি সেচ, নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিকমত হলে গাছের বাড়-বাড়ন্ত খুব বেশী বৃদ্ধি পায়। অন্য খাদ্যের তুলনায় এ গাছে পটাশ জাতীয় খাবারের চাহিদা তুলনামূলক বেশী।
সাধারণতঃ সুপারিশকৃত সার বছরে দু’বার (বর্ষার আগে ও পরে) প্রয়োগ করার প্রচলন আছে।
চারা রোপণের ৩ মাস পর লাগানো চারার গোড়া থেকে ২০ সে.মি দুরেঃ ২০ সে.মি চওড়া ও ১০ সে.মি গভীর করে যে সব সার প্রয়োগ করতে হবে তা হলোঃ পঁচা গোবর বা আবর্জনা কাচা সারঃ ১০ কেজি, ইউরিয়াঃ ১২৫ গ্রাম, টি এস পি : ১০০ গ্রাম এবং এম ও পি সার : ২৫০ গ্রাম। এ সারগুলো ৩ মাসের ব্যবধানে আরও দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। তবে পরের প্রতিবার গাছের গোড়া থেকে কিছু দুরে (৫-৭) সে.মি গাছের গোড়ার চারিদিকে নালা তৈরী করে একই ভাবে প্রয়োগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিবার সার প্রয়োগ শেষে ২ বালতি পানি দিয়ে গোড়া ভাল ভাবে ভেজাতে হবে। খাটো গাছের নারিকেল সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ, পানি সেচ, পানি নিকাশ ও পরিচর্যা গ্রহন করলে চারা রোপণের ৩-৪ বছর থেকেই ফুল-ফল ধরা আরম্ভ করবে। চতুর্থ বছরে জন্য যে সার সুপারিশ করা গেল তা পরবর্তী বছরগুলোতে প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে। চারা রোপণের পর থেকে চার বছর পর্যন্ত বছর বছরে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও বোরন ৬ মাসের ব্যবধানে বছরে দু’বার প্রয়োগ যোগ্য।
পরিচর্যাঃ
নারিকেল বাগান বিশেষ করে গাছের গোড়ার চারধার সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। প্রথম ২ বছর গাছের গোড়া থেকে ৬০-৭০ সে.মিঃ দুর পর্যন্ত বৃত্তাকারে চারিদিকের অংশে কচুরী পানা শুকিয়ে ছোট করে কেটে ৮-১০ সে.মিঃ পুরু করে মালচিং দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে গাছের গোড়া ঠান্ডা থাকবে, আগাছা জন্মাবে না, মাটির রস সংরক্ষিত থাকবে এবং পরবর্তীতে এগুলো পঁচে জৈব সার হিসাবে কাজ করবে। তবে এভাবে মালচিং দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তা একেবারে গাছের কান্ডকে স্পর্শ না করে, গাছের গোড়ার অংশ কমপক্ষে ৮-১০ সে.মিঃ ফাঁকা রাখতে হবে। বিকল্প হিসাবে চিনাবাদামের খোসা, ধানের তুষ, আখের ছোবড়া, কাঠের গুড়া, নারিকেলের ছোবড়া, গাছের শুকনা পাতা, সমুদ্রের শ্যাওলা, বিভিন্ন খড়-কুটা, লতা-পাতা মালচিং হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। মালচিং অবস্থায় অনেক সময় উই পোকাসহ অন্যান্য পোকা মালচিং ব্যবস্থাকে আবাসন হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।