![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রেজা হাওলাদার মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দা শাহজাদী বেগম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা সময় কাটাচ্ছেন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এ চেয়ার পেতে বসে রোদে পিঠ তাক করে।
জানা গেছে, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দা শাহাজাদী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় টি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে স্থানীয়রা বিদ্যালয়টিকে নদীর ওপারে কৃষ্ণপুরে স্থানান্তর করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরে বর্তমানে বিদ্যালয়টিকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয় একটি বর্তমান কৃষ্ণপুরে অপরটি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের সাবেগ জায়গায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজ বেগম দুইজন সরকারি শিক্ষক নিয়ে সাবেক জায়গায় নতুন করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে শুধু তাদের তিনজনকেই দেখা যায় সেখানে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নেই সেখানে।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ, রোজ বুধবার বেলা ১১টার সময় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের মাঠে কে আর পেতে রোদ পড়াচ্ছেন দুইজন সহকারী শিক্ষক। সরকারি শিক্ষক আখতারুজ্জামানের কাছে একজন শিক্ষার্থী ও উপস্থিত নেই এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল তারা চলে গেছে, তিনি আরো জানান সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২০জন, ৭ম শ্রেণীতে ১৫জন ও ৮ম শ্রেণীতে ১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, এ সময় তার কাছে হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন হাজিরা খাতা প্রধান শিক্ষিকার কাছে রয়েছে তিনি বরিশালে অবস্থান করছেন।
প্রধান শিক্ষিকা আফসোস বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের স্থানান্তর নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে তাই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম, তিনি আরো বলেন পাশের একটি বিদ্যালয়ে ক্রীড়া অনুষ্ঠান থাকায় যারা এসেছিল তারা সেখানে চলে গেছে। অপরদিকে কৃষ্ণপুরে অবস্থিত সৈয়দা শাহাজাদী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় শত শত শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠ দান দিচ্ছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক, যার ফলে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে পাটদান থেকে।
স্থানীয় সচেতনমাল মনে করেন শিক্ষকদের রেষারেষি দূর করে যেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেশি সেখানেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখার ব্যবস্থা করবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের কাছে শিক্ষার্থী বিহীন বিদ্যালয় চালু রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।