বাংলাদেশ ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কারে ভূষিত হলেন, গৌরীপুরের চা দোকানী হারুন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৩৩ বার পড়া হয়েছে

প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কারে ভূষিত হলেন, গৌরীপুরের চা দোকানী হারুন

 

 

 

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
অদম্য এক তরুণ হারুন মিয়া (২৫)। চা বিক্রির টাকায় পাঠাগার গড়ে নিজ এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এবার এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি।

প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর উদ্যোগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হারুন মিয়াকে ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কার’ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যভিনেতা আবুল হায়াত অতিথি থেকে হারুনের হাতে পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। পাঠাগার গড়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ হারুন ছাড়াও দেশের আরো তিন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেয়া হয় প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে।

এছাড়াও প্রকাশনা সংস্থার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়া চারজনের প্রত্যেককে দুইশত বই উপহার দেয়া হয় ।

পুরস্কার পাওয়া হারুন মিয়া বলেন, বই পড়ার নেশা থেকেই স্থানীয় বইমেলা, লাইব্রেরী, ফুটপাত ও অনলাইন থেকে বই কিনতাম। পড়া শেষ হয়ে গেলে বইগুলো দোকানেই পড়ে থাকতো। বইগুলো কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই গত বছর ছোট্ট পরিসরে দোকানেই পাঠাগার গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি অবশ্যই কাজের গতি বৃদ্ধি করে। এখন আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সবসময় চেষ্টা করবো এই স্বীকৃতির প্রতিদান দিতে।

উল্লেখ্য, হারুনের বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা গ্রামে। অভাবের তাড়নায় হারুন স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে ২০১২ সালে পৌর শহরের অন্য একজনের দোকানের বারান্দায় চা দোকান দিয়ে বসেন । চা দোকানের আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ যোগানের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। চা বিক্রির বাড়তি টাকা দিয়েই ২০২৩ সালে তিনি পাঠাগার গড়ে তুলেন। হারুন দিনে চা বিক্রি ও রাতে পড়াশোনা করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে হারুনের আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কারে ভূষিত হলেন, গৌরীপুরের চা দোকানী হারুন

আপডেট সময় ০২:১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

 

 

 

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
অদম্য এক তরুণ হারুন মিয়া (২৫)। চা বিক্রির টাকায় পাঠাগার গড়ে নিজ এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এবার এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি।

প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর উদ্যোগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হারুন মিয়াকে ‘প্রিয় বাংলা পাঠাগার পুরস্কার’ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যভিনেতা আবুল হায়াত অতিথি থেকে হারুনের হাতে পুরস্কারের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। পাঠাগার গড়ে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ হারুন ছাড়াও দেশের আরো তিন ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেয়া হয় প্রিয় বাংলা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে।

এছাড়াও প্রকাশনা সংস্থার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়া চারজনের প্রত্যেককে দুইশত বই উপহার দেয়া হয় ।

পুরস্কার পাওয়া হারুন মিয়া বলেন, বই পড়ার নেশা থেকেই স্থানীয় বইমেলা, লাইব্রেরী, ফুটপাত ও অনলাইন থেকে বই কিনতাম। পড়া শেষ হয়ে গেলে বইগুলো দোকানেই পড়ে থাকতো। বইগুলো কাজে লাগানোর ভাবনা থেকেই গত বছর ছোট্ট পরিসরে দোকানেই পাঠাগার গড়ে তুলি।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো স্বীকৃতি অবশ্যই কাজের গতি বৃদ্ধি করে। এখন আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সবসময় চেষ্টা করবো এই স্বীকৃতির প্রতিদান দিতে।

উল্লেখ্য, হারুনের বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা গ্রামে। অভাবের তাড়নায় হারুন স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে ২০১২ সালে পৌর শহরের অন্য একজনের দোকানের বারান্দায় চা দোকান দিয়ে বসেন । চা দোকানের আয় দিয়ে তিনি সংসারের খরচ যোগানের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। চা বিক্রির বাড়তি টাকা দিয়েই ২০২৩ সালে তিনি পাঠাগার গড়ে তুলেন। হারুন দিনে চা বিক্রি ও রাতে পড়াশোনা করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে হারুনের আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে।