ভালুকা প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ভালুকায় এতিম শিশুদের জমি জুরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের বীর পারুলদিয়া এলাকায়। সড়েজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বীর পারুলদিয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মীর ১৯৬৪ সালে বীর পারুলদিয়া মৌজার সাবেক দাগ ০৩ হাল-৬৯ নং দাগ হইতে ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করেন। পরে তিনি সেখান থেকে মৌখিক চুক্তিতে জনৈক আবুল হুসেনের কাছে ২.৫০ শতক জমি বিক্রয় করেন। (যা অদ্যাবধি সাব কবলা দলিল মুলে রেজিস্ট্রি হয়নি) বাকী ৮ শতক জমি তার চার ছেলে ভুগ দখল করে আসছিলো।
কিন্তু তাদের মধ্যে দুই ভাই ছোট ছোট শিশু রেখে মৃত্যু বরন করেন। তাদের রেখে যাওয়া এতিম শিশুদের অধিকার ঐ জমিটি জবর দখলের পায়তারা করে আসছে একটি চক্র। বিআরএস মাঠ জরিপের ৪২নং খতিয়ানে ৮ শতক জমি মৃত ইব্রাহীম মীরের নামে লিপিবদ্ধ হয়। পরবর্তিতে আবুল হোসেন প্রতিবেশি মৃত আব্দুল জব্বার খানের ছেলে জালাল উদ্দিন খানের কাছে তার ক্রয়কৃত ২.৫০ শতক জমি বিক্রি করে চলে যান। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ জালাল উদ্দিন খান ও তার দুই ছেলে জাহাঙ্গির খান এবং আলমগীর খান মিলে বাকী ৮ শতক জমিতে মাটি ভরাটসহ টিনের বেড়া দিয়ে জবর দখলের পায়তারা করে আসছে।
এঘটনায় মৃত ইব্রাহীম মীরের বড় ছেলে ছোবহান মীর এবং ছোট ছেলে এরশাদ মীর বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজৈ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদশা বলেন, অভিযোগ পেয়ে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করিয়েছি দুই পক্ষকেই কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। কাগজ দেখে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছোবহান মীর বলেন, আমার বাবা আবুল হোসেনের কাছে ২.৫০ শতক জমি বিক্রি করেছিলো পরে হোসেন জালালের কাছে বিক্রি করে দেয় কিন্তু এখন তারা ১০.৫০ শতক জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। এদিকে অভিযোক্ত জালাল উদ্দিন খান বলেন আবুল হোসেনের কাছ থেকে আমি মৌখিক ভাবে ১০.৫০ শতক জমি ক্রয় করেছি আমার জমিতে আমি বেড়া দিচ্ছি।