বাংলাদেশ ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৬৪৩ বার পড়া হয়েছে

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
নিরীহ প্রকৃতির মানুষ সজল মাঝি। কোমল স্বভাবের কারণে সবার কাছে তিনি পছন্দের মানুষ ।ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা খেয়াঘাটে প্রায় ২ যুগ ধরে খেয়া পারাপার করেন ৪০ বছর বয়সী সজল মাঝি।  উপজেলার নাককাটা চর গ্রামে সজল মাঝির বাড়ি। প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে গলাকাটা  খেয়াঘাটে নৌকা চালান তিনি।প্রতিবেশী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী আর শিক্ষার্থীরা খেয়ানৌকায় পার হন।
শনিবার খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, খেয়া পার হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান, ব্যবসা কিম্বা  মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে গলাকাটা বাজার অথবা গফরগাঁও যান।আবার বিদ্যালয় ছুটির পর এবং কাজ শেষে কর্মজীবী মানুষেরা বাড়ি ফেরেন।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দূরগামী মানুষেরা এদিক দিয়ে আগের মত আসেনা, একটা সময় এ ঘাটে ১০/১৫ টা নৌকা থাকতো এখন সজল একাই যথেষ্ট।
পশ্চিমে গফরগাঁও ব্রিজ পূর্বদিকে খুরশিদ মহল ব্রিজ হওয়ায় ঢাকা কিম্বা ময়মনসিংহ গামী মানুষগুলি ঐদিক দিয়েই চলে যায়।
জানা যায়, এখন আর সারা দিন খেয়া পারাপার করেন না সজল মাঝি দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থাকেন, সকাল থেকে অন্যএকজনকে দিয়ে পারাপার করান। সাহেবের চর, নাককাটার চর, চরকাটিহারীসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষই কেবল বিশেষ প্রয়োজনে খেয়া তরীতে পার হয়।
সজল বলেন, আগে অনেক মাঝি ছিল যাত্রীও ছিলো এ পেশায় এখন আর সুখ নাই, তাই সবাই ছেড়ে দিচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে সজল মাঝি বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে নৌকা চালাই ঘাটের ইজারা নিছি তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আছি। যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে চলছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
নিরীহ প্রকৃতির মানুষ সজল মাঝি। কোমল স্বভাবের কারণে সবার কাছে তিনি পছন্দের মানুষ ।ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা খেয়াঘাটে প্রায় ২ যুগ ধরে খেয়া পারাপার করেন ৪০ বছর বয়সী সজল মাঝি।  উপজেলার নাককাটা চর গ্রামে সজল মাঝির বাড়ি। প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে গলাকাটা  খেয়াঘাটে নৌকা চালান তিনি।প্রতিবেশী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী আর শিক্ষার্থীরা খেয়ানৌকায় পার হন।
শনিবার খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, খেয়া পার হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান, ব্যবসা কিম্বা  মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে গলাকাটা বাজার অথবা গফরগাঁও যান।আবার বিদ্যালয় ছুটির পর এবং কাজ শেষে কর্মজীবী মানুষেরা বাড়ি ফেরেন।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দূরগামী মানুষেরা এদিক দিয়ে আগের মত আসেনা, একটা সময় এ ঘাটে ১০/১৫ টা নৌকা থাকতো এখন সজল একাই যথেষ্ট।
পশ্চিমে গফরগাঁও ব্রিজ পূর্বদিকে খুরশিদ মহল ব্রিজ হওয়ায় ঢাকা কিম্বা ময়মনসিংহ গামী মানুষগুলি ঐদিক দিয়েই চলে যায়।
জানা যায়, এখন আর সারা দিন খেয়া পারাপার করেন না সজল মাঝি দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থাকেন, সকাল থেকে অন্যএকজনকে দিয়ে পারাপার করান। সাহেবের চর, নাককাটার চর, চরকাটিহারীসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষই কেবল বিশেষ প্রয়োজনে খেয়া তরীতে পার হয়।
সজল বলেন, আগে অনেক মাঝি ছিল যাত্রীও ছিলো এ পেশায় এখন আর সুখ নাই, তাই সবাই ছেড়ে দিচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে সজল মাঝি বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে নৌকা চালাই ঘাটের ইজারা নিছি তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আছি। যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে চলছি।