বাংলাদেশ ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ ট্রাকে করে গাঁজা পরিবহন কালে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সাংবাদিক বাহার উদ্দিন সরকারের ৮ ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন। কচুয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুক্ত হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে কচুয়ায় মানববন্ধন সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মল্লিক নাটোর জেলা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সভা ও বেসিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ফেন্সিডিলসহ আটক-০৪ হোসেনপুরে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল। পোড়াদহের চিথলিয়া রেল ব্রীজ থেকে নিচে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ, দীর্ঘ (৫-৬)ঘন্টা পর উদ্ধার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদ গঠন শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল করে কক্ষে তালা দিল ছাত্রদল ধান ক্ষেতের সাথে এ কেমন শত্রুতা লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০৩টি শর্টগান, ৯৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ০১টি পুলিশ বেল্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আল্লামা সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে : নাজিরপুরে মাসুদ সাঈদী

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
নিরীহ প্রকৃতির মানুষ সজল মাঝি। কোমল স্বভাবের কারণে সবার কাছে তিনি পছন্দের মানুষ ।ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা খেয়াঘাটে প্রায় ২ যুগ ধরে খেয়া পারাপার করেন ৪০ বছর বয়সী সজল মাঝি।  উপজেলার নাককাটা চর গ্রামে সজল মাঝির বাড়ি। প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে গলাকাটা  খেয়াঘাটে নৌকা চালান তিনি।প্রতিবেশী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী আর শিক্ষার্থীরা খেয়ানৌকায় পার হন।
শনিবার খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, খেয়া পার হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান, ব্যবসা কিম্বা  মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে গলাকাটা বাজার অথবা গফরগাঁও যান।আবার বিদ্যালয় ছুটির পর এবং কাজ শেষে কর্মজীবী মানুষেরা বাড়ি ফেরেন।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দূরগামী মানুষেরা এদিক দিয়ে আগের মত আসেনা, একটা সময় এ ঘাটে ১০/১৫ টা নৌকা থাকতো এখন সজল একাই যথেষ্ট।
পশ্চিমে গফরগাঁও ব্রিজ পূর্বদিকে খুরশিদ মহল ব্রিজ হওয়ায় ঢাকা কিম্বা ময়মনসিংহ গামী মানুষগুলি ঐদিক দিয়েই চলে যায়।
জানা যায়, এখন আর সারা দিন খেয়া পারাপার করেন না সজল মাঝি দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থাকেন, সকাল থেকে অন্যএকজনকে দিয়ে পারাপার করান। সাহেবের চর, নাককাটার চর, চরকাটিহারীসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষই কেবল বিশেষ প্রয়োজনে খেয়া তরীতে পার হয়।
সজল বলেন, আগে অনেক মাঝি ছিল যাত্রীও ছিলো এ পেশায় এখন আর সুখ নাই, তাই সবাই ছেড়ে দিচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে সজল মাঝি বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে নৌকা চালাই ঘাটের ইজারা নিছি তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আছি। যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে চলছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ

খেয়া নৌকায় আগের মত জৌলুশ নেই

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
মাহফুজ রাজা, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
নিরীহ প্রকৃতির মানুষ সজল মাঝি। কোমল স্বভাবের কারণে সবার কাছে তিনি পছন্দের মানুষ ।ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গলাকাটা খেয়াঘাটে প্রায় ২ যুগ ধরে খেয়া পারাপার করেন ৪০ বছর বয়সী সজল মাঝি।  উপজেলার নাককাটা চর গ্রামে সজল মাঝির বাড়ি। প্রতিদিন ব্রহ্মপুত্র নদে গলাকাটা  খেয়াঘাটে নৌকা চালান তিনি।প্রতিবেশী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী আর শিক্ষার্থীরা খেয়ানৌকায় পার হন।
শনিবার খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, খেয়া পার হয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা শাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যান, ব্যবসা কিম্বা  মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে গলাকাটা বাজার অথবা গফরগাঁও যান।আবার বিদ্যালয় ছুটির পর এবং কাজ শেষে কর্মজীবী মানুষেরা বাড়ি ফেরেন।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে দূরগামী মানুষেরা এদিক দিয়ে আগের মত আসেনা, একটা সময় এ ঘাটে ১০/১৫ টা নৌকা থাকতো এখন সজল একাই যথেষ্ট।
পশ্চিমে গফরগাঁও ব্রিজ পূর্বদিকে খুরশিদ মহল ব্রিজ হওয়ায় ঢাকা কিম্বা ময়মনসিংহ গামী মানুষগুলি ঐদিক দিয়েই চলে যায়।
জানা যায়, এখন আর সারা দিন খেয়া পারাপার করেন না সজল মাঝি দুপুরের পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থাকেন, সকাল থেকে অন্যএকজনকে দিয়ে পারাপার করান। সাহেবের চর, নাককাটার চর, চরকাটিহারীসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষই কেবল বিশেষ প্রয়োজনে খেয়া তরীতে পার হয়।
সজল বলেন, আগে অনেক মাঝি ছিল যাত্রীও ছিলো এ পেশায় এখন আর সুখ নাই, তাই সবাই ছেড়ে দিচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে সজল মাঝি বলেন, এখন সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষি কাজের ফাঁকে ফাঁকে নৌকা চালাই ঘাটের ইজারা নিছি তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় আছি। যা পাই তা দিয়ে কোনোরকমে চলছি।