বাংলাদেশ ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

রাঙ্গাবালীতে অবৈধ মশারী ও জাল দিয়ে চিংড়ির রেনু শিকার,মেরে ফেলছে লার্ভা ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • ১৬২০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ কাওছার আহম্মেদ  রাঙ্গাবালী :
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালীর উপকূলে নিষিদ্ধ মশারি ও অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে প্রতিনিয়ত শিকার করা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু। আর রেনু পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। অন্যদিকে চিংড়ির সঙ্গে নানা জাতের মাছের পোনা ও সমুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা নিধন হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সাগর উপকূলের জীববৈচিত্র। মাছের বংশবিস্তার ধ্বংস হওয়ারও শঙ্কা করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার চরমোন্তাজ, কোরালীয়া, মৌডুবি, চালিতা বুনিয়া ও বাইলা বুনিয়া নদী গুলোতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু ধরতে সাগরের ঢেউ আর নদীর স্রোতের বিপরীতে মশারি জালের মই টানা হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর জাল টেনে নিয়ে আসা হয় কিনারে। এরপর জাল থেকে বিভিন্ন মাছের পোনা রাখা হয় একটি পাত্রে। সেখান থেকে জেলে পরিবারের নারী সদস্যরা পানিভর্তি অপর একটি পাত্রে চিংড়ির রেনু বাছাই করে রাখছেন। আর বাকি মাছের পোনা ও লার্ভা দিচ্ছেন মাটিতে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও সামুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা। যার কারণে মাছের বংশবিস্তার ধ্বংস এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরেছে। তবে জেলেদের দাবি, পেটের দায়ে তারা চিংড়ির রেনু শিকার করেন।
এদিকে, অবৈধতার দোহাই দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে কম দামে চিংড়ির রেনু কিনে নিয়ে চোরাই পথে পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় বিভিন্ন সময় আটকও হয়েছে তারা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, অবৈধ পন্থায় যাতে কেউ চিংড়ির রেনু ধরতে না পারে সে জন্য তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
মৎস্য ইন্সটিটিউটের জরিপ সূত্রে জানা গেছে, পোনা সংগ্রহকারীরা চিংড়ির পোনা ধরতে গিয়ে ৩৮টি ভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, ছয় প্রজাতির অন্য মাছ এবং ১০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা ধ্বংস করছে। যার কারণে মশারি জাল দিয়ে রেনু শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে  মশারি জাল নিষিদ্ধ হলেও তা দিয়ে এভাবে প্রকাশ্যেই চলছে  চিংড়ির রেনু শিকার। আগুনমুখা, তেতুলীয়া ও রামনাবাদ নদী সহ কুয়াকাটার সাগর কিনারে প্রতিনিয়ত চলে চিংড়ির রেনু শিকার।
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

রাঙ্গাবালীতে অবৈধ মশারী ও জাল দিয়ে চিংড়ির রেনু শিকার,মেরে ফেলছে লার্ভা ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ।

আপডেট সময় ১০:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
মোঃ কাওছার আহম্মেদ  রাঙ্গাবালী :
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালীর উপকূলে নিষিদ্ধ মশারি ও অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে প্রতিনিয়ত শিকার করা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু। আর রেনু পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। অন্যদিকে চিংড়ির সঙ্গে নানা জাতের মাছের পোনা ও সমুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা নিধন হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সাগর উপকূলের জীববৈচিত্র। মাছের বংশবিস্তার ধ্বংস হওয়ারও শঙ্কা করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার চরমোন্তাজ, কোরালীয়া, মৌডুবি, চালিতা বুনিয়া ও বাইলা বুনিয়া নদী গুলোতে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু ধরতে সাগরের ঢেউ আর নদীর স্রোতের বিপরীতে মশারি জালের মই টানা হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর জাল টেনে নিয়ে আসা হয় কিনারে। এরপর জাল থেকে বিভিন্ন মাছের পোনা রাখা হয় একটি পাত্রে। সেখান থেকে জেলে পরিবারের নারী সদস্যরা পানিভর্তি অপর একটি পাত্রে চিংড়ির রেনু বাছাই করে রাখছেন। আর বাকি মাছের পোনা ও লার্ভা দিচ্ছেন মাটিতে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও সামুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা। যার কারণে মাছের বংশবিস্তার ধ্বংস এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পরেছে। তবে জেলেদের দাবি, পেটের দায়ে তারা চিংড়ির রেনু শিকার করেন।
এদিকে, অবৈধতার দোহাই দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে কম দামে চিংড়ির রেনু কিনে নিয়ে চোরাই পথে পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় বিভিন্ন সময় আটকও হয়েছে তারা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, অবৈধ পন্থায় যাতে কেউ চিংড়ির রেনু ধরতে না পারে সে জন্য তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
মৎস্য ইন্সটিটিউটের জরিপ সূত্রে জানা গেছে, পোনা সংগ্রহকারীরা চিংড়ির পোনা ধরতে গিয়ে ৩৮টি ভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, ছয় প্রজাতির অন্য মাছ এবং ১০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর লার্ভা ধ্বংস করছে। যার কারণে মশারি জাল দিয়ে রেনু শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে  মশারি জাল নিষিদ্ধ হলেও তা দিয়ে এভাবে প্রকাশ্যেই চলছে  চিংড়ির রেনু শিকার। আগুনমুখা, তেতুলীয়া ও রামনাবাদ নদী সহ কুয়াকাটার সাগর কিনারে প্রতিনিয়ত চলে চিংড়ির রেনু শিকার।