বাংলাদেশ ০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য উত্তরবঙ্গে মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি রশিদ সম্পাদক শিশির সাহা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা রাণীশংকৈলে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত মান্দার ছাত্রদল নেতাদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়। ভান্ডারিয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতার নামে বিএনপির কর্মীর মামলা নাইক্ষংছড়িতে ইয়াবাসহ পৃথক পৃথক অভিযানে ৪ কারবারি আটক বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন ভালুকায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন গৌরীপুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি তানজীন চৌধুরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বিতর্কিত শিক্ষক মাকসুদা আছেন কুবির উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্যারাসিটামল ছাড়া মিলছে না ঔষধ,বাগেরহাটের কচুয়ায় স্বাস্থ্য খাতে হ-য-ব-র-ল 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
  • ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোয় দির্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে প্যারাসিটেমল ছাড়া নেই কোন ধরনের ঔষুধ। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা পড়েছে চরম বিপাকে।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালমাঠ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা পাচ্ছে না কোন ধরনের ঔষধ ফলে লিখিত ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ সংগ্রহ করছে তারা। এতে করে সরকারের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।ফলে নিম্নআয়ের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।
এ বিষয়ে মঘিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃকামরুজ্জামান মুকুল বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোয় প্রায় সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।এতে করে বর্তমানে আমরা প্যারাসিটেমল ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ রোগীদের মাঝে সরবরাহ করতে পারছিনা।এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারেন।এছাড়াও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ ছাড়াও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।নেই চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি।
শুধু উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রই নয় ২০২০ সালের ৩১শয্যার ঘোষিত কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ভবনে দির্ঘদিন থেকে মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় মায়েদের সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।যা বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তন হয়নি অবস্থার।এ বিষয়ে প্রতিবারই কর্তৃপক্ষ বলছে ভবনের সমস্যার বিষয়াদি স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন তারা কিন্তু এখনো কোন আলোর মুখ দেখা যায়নি।
এছাড়াও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে বর্তমানে ২৯ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৯ জন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ডাক্তার সহ বিভিন্ন বিভাগে ৬০ এর অধিক জনবল সংকট নিয়ে চলছে আগের অবস্থায়। হাসপাতালে কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় রোগীর ল্যাব টেস্ট হচ্ছে না। নেই কোনো আধুনিক এক্স-রে মেশিন।যাতে করে সহজেই অনুমান করা যায় এখানে এখনো কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি।বরং বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেকে বিভিন্ন কারণবশত প্রায়শই থাকে অনুপস্থিত।
এছাড়াও কচুয়া মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সদর ক্লিনিকের পরিবার কল্যান পরিদর্শক বিজলী রানী মৈত্রের বিরুদ্ধে সেবা নিতে আসা অনেকের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূত টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। যদিও এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে করা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আর.এম.ও) ডাঃ মনিসংকর পাইক এ বিষয়ে মুঠো ফোনে বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে সাধারণতো বছরে ১ বার ঔষধ পাই।এদিকে যদি প্রতিদিন সেখানে রোগী আসে এ ক্ষেত্রে তো আমরা কিছু করতে পারিনা তাদের আবার কম বেশি ঔষধ দেওয়া লাগে।তাছাড়া নিয়মিত সেবা নিতে আসা রোগীরা সাধারণত তো জানে শেষ দিকে ঔষধ কম পাওয়া যায় তাই এসব রোগীরা আগেভাগেই ঔষধ নিয়ে যায় ফলে শেষ দিকে সংকট দেখা যায়।তিনি আরো বলেন,বর্তমানে ঔষধ নেই জুনের আগে আর দেওয়া যাচ্ছে না।
কারন টার্গেটের যে ঔষধ তার বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই।তবে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া অন্য যায়গায় তেমন ঔষধের সংকট নেই বলেও জানান। এমন অবস্থায় এ উপজেলার ১ লাখের বেশি জনসংখ্যার জন্য কতটুকু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে তা ভাবনার বিষয়।
জনপ্রিয় সংবাদ

চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্যারাসিটামল ছাড়া মিলছে না ঔষধ,বাগেরহাটের কচুয়ায় স্বাস্থ্য খাতে হ-য-ব-র-ল 

আপডেট সময় ০৪:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোয় দির্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে প্যারাসিটেমল ছাড়া নেই কোন ধরনের ঔষুধ। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা পড়েছে চরম বিপাকে।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলার মঘিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালমাঠ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেবা নিতে আসা রোগীরা পাচ্ছে না কোন ধরনের ঔষধ ফলে লিখিত ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ সংগ্রহ করছে তারা। এতে করে সরকারের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।ফলে নিম্নআয়ের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।
এ বিষয়ে মঘিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃকামরুজ্জামান মুকুল বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে আমাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোয় প্রায় সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।এতে করে বর্তমানে আমরা প্যারাসিটেমল ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ রোগীদের মাঝে সরবরাহ করতে পারছিনা।এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারেন।এছাড়াও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ ছাড়াও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন।নেই চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি।
শুধু উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রই নয় ২০২০ সালের ৩১শয্যার ঘোষিত কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ভবনে দির্ঘদিন থেকে মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় মায়েদের সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।যা বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তন হয়নি অবস্থার।এ বিষয়ে প্রতিবারই কর্তৃপক্ষ বলছে ভবনের সমস্যার বিষয়াদি স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন তারা কিন্তু এখনো কোন আলোর মুখ দেখা যায়নি।
এছাড়াও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে বর্তমানে ২৯ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৯ জন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ডাক্তার সহ বিভিন্ন বিভাগে ৬০ এর অধিক জনবল সংকট নিয়ে চলছে আগের অবস্থায়। হাসপাতালে কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় রোগীর ল্যাব টেস্ট হচ্ছে না। নেই কোনো আধুনিক এক্স-রে মেশিন।যাতে করে সহজেই অনুমান করা যায় এখানে এখনো কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি।বরং বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেকে বিভিন্ন কারণবশত প্রায়শই থাকে অনুপস্থিত।
এছাড়াও কচুয়া মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সদর ক্লিনিকের পরিবার কল্যান পরিদর্শক বিজলী রানী মৈত্রের বিরুদ্ধে সেবা নিতে আসা অনেকের কাছ থেকে নিয়ম বহির্ভূত টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। যদিও এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে করা এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আর.এম.ও) ডাঃ মনিসংকর পাইক এ বিষয়ে মুঠো ফোনে বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে সাধারণতো বছরে ১ বার ঔষধ পাই।এদিকে যদি প্রতিদিন সেখানে রোগী আসে এ ক্ষেত্রে তো আমরা কিছু করতে পারিনা তাদের আবার কম বেশি ঔষধ দেওয়া লাগে।তাছাড়া নিয়মিত সেবা নিতে আসা রোগীরা সাধারণত তো জানে শেষ দিকে ঔষধ কম পাওয়া যায় তাই এসব রোগীরা আগেভাগেই ঔষধ নিয়ে যায় ফলে শেষ দিকে সংকট দেখা যায়।তিনি আরো বলেন,বর্তমানে ঔষধ নেই জুনের আগে আর দেওয়া যাচ্ছে না।
কারন টার্গেটের যে ঔষধ তার বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই।তবে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া অন্য যায়গায় তেমন ঔষধের সংকট নেই বলেও জানান। এমন অবস্থায় এ উপজেলার ১ লাখের বেশি জনসংখ্যার জন্য কতটুকু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে তা ভাবনার বিষয়।