আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
অবশেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে নেত্রকোনা আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের প্রায় ১ বছর পর নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে।
সোমবার দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কমিটির অনুমোদন করেন। পরে ওই দিন তার কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান লিটন।
তবে কমিটি অনুমোদন হলেও বিষয়টি গোপন রাখা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের শুভানুধ্যায়ীরা অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের শুধু জেলা কমিটির নতুন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শামছুর রহমান লিটনের নাম ঘোষণা করেন। আমিরুল ইসলাম আগের কমিটির সহ সভাপতি ও শামছুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সম্মেলনের এক বছর পর গত সোমবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়। কমিটির উপদেষ্টা সদস্য করা হয়েছে ২৯ জনকে। সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন ১১ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনজনকে। সদস্য হিসেবে আছেন ৩৬ জন।
কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ফোন ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন এ বিষয়ে প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পরে তিনি বলেন, সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে গত সোমবার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করা হয়। যারা দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী ও পরীক্ষিত তাদেরকে চেষ্টা করা হয়েছে কমিটিতে রাখার।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন, নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে রতন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুর খান ওরফে মিঠু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায়, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. শহিদুল্লা, কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ্বাস ও আনোয়ার জাহান অঞ্জন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন, জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মজিবর আলম ওরফে হিরা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মারুফ হাসান খান অভ্র।
আইন বিষয়ক সম্পাদক করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রাসেল আহম্মেদ খানকে। কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিএম শামছুর আলম চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাফুজুল ইসলাম ওরফে লিংক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয় সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওরফে নোমানকে। দপ্তর সম্পাদক করা হয় সাবেক সদস্য মো. আবদুল কাইয়ুম ওরফে রোকনকে।
ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক ওরফে মান্না ওরফে রুবেল; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ার জাহান ওরফে সুজন; বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার মোর্শেদ ওরফে জাস্টিস; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ বজলুর রশিদ; মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সংরক্ষিত মহিলা আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান খান ওরফে শেফালী; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম; যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ওরফে পাপন; শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু; শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শফিক আহমেদ খান বাবু; শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ খান; সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম সাহা; স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক চক্ষু চিকিৎসক পলাশ মজুমদার; সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ার রনি, এসএম রেজাউল হাফিজ ওরফে রেশিম, জামিউল ইসলাম খান ওরফে জামি; উপদপ্তর সম্পাদক শাকিল হাসান; উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তুহিন আক্তার; কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল সাহা।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক), সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান ওরফে জয়, অধ্যাপক অপু উকিল, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন ওরফে মনি, আবুল মনসুর আহম্মেদ, অধ্যাপক ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম ফকির, দীপক ধর গুপ্ত, মাজহারুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান ওরফে বিমল, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তাক, তোফায়েল আহম্মেদ, সাইফুল্লাহ এমরান, আলমগীর হাসান, শাহ মোস্তফা আলমগীর, দীপায়ন সরকার ওরফে দীপ, ফয়জুর মোর্শেদ খান ওরফে অমি, বাসেদ খসরু, আরিফ খান, দেওয়ান জনি, আবু সাঈদ খান, তুহিন আহাম্মেদ খান, মৃদুল চৌধুরী, কামরুজ্জামান ফারাস ওরফে দিলীপ, গাজী কামাল, ইফতেকার উদ্দিন ওরফে মাসুদ, চপল দত্ত, সানোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, খোরশেদ আলম, ফয়সাল লাল, কবিরুল ইসলাম ওরফে রোমান, অধ্যাপক মানিক রায়, আবু রেজা মোহাম্মদ মাহবুব ওরফে টিপু, আল আমিন ভূঁইয়া ও রাজ্জাক সরকার।
জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিরোধ যোদ্ধা অসিত সরকার সজলকে।