বাংলাদেশ ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ গণধর্ষণ মামলায় গ্রাম পুলিশসহ গ্রেপ্তার-২ ৪ বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই নানা আয়োজনে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপন  বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা নারী নির্যাতন মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ চার নেতাকে গ্রেফতারে বিএনপির নিন্দা অবাধে চলছে মোবাইলে টাকা দিয়ে লুডু খেলা প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দূর্ঘটনা  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছোট ভাই স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক পক্ষকাল ব্যাপি প্রচারাভিযান ইবি শিক্ষার্থী মানবতার সেবক মুরাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার পিরোজপুর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আর নেই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

পেকুয়ায় সড়কের উপর লবণের স্তুব চলাচলে চরম দুর্ভোগ!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • ১৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় সড়কের উপর লবণের স্তুব চলাচলে চরম দুর্ভোগ!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

মোঃ আজিজুল হক.পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার উজাটিয়া করিমদাদ মিয়ার সড়কের উপর লবণের স্তুব করে রেখেছে  এক দালাল চক্র। ফলে সৃষ্টি হয়েছে চলাচলে চরম দুর্ভোগ। প্রতিনিয়ত সড়কের উপর লবণ স্তুব করে ট্রাকে লোড করে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে এ স্তুব করে রেখেছে প্রভাবাশালী এ দালাল চক্র। ফলে যানবাহন কিংবা সাধারণ মানুষ এ সড়কে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোঃ ইসমাইল, স্থানীয় সাবেক এমইউপি ছিদ্দিক আহম্মদ ও মানিক তাদের নেতৃত্বে উজানটিয়ার বিভিন্ন সড়কের উপর লবণ স্তুব রেখে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করেছে তারা।

 

 

তারা মূলত এলাকায় লবণের দালাল নামে পরিচিত। এখন লবণের মৌসুম প্রায় শেষেরদিকে। কিন্তু সড়কের উপর লবণ রাখা যেন শেষ হচ্ছে না। যার ফলে লবণের পানি পড়ে অতি সহজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পিচ ঢালাই করা সড়ক। সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সড়ক তৈরি করে সুবিধা করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাঠ থেকে লবণ কিনে তা মওজুদ করে সরকারি সড়কের উপর। লবণ রাখার ফলে পানি পড়ে রাস্তা ফিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রায় দেখাযায় ব্যাটারী চালিত টমটম, সিএনজি, মোটরসাইকেল উল্টে গিয়ে প্রাণহানির মত ঘটনা ও ঘটে প্রতিনিয়ত।

 

 

পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় মানুষ লবণ চাষের উপর নির্ভরশীল।তাদের প্রধান আয়ের উৎস লবণ। চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনে স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে মানুষ দালাল বলে ডাকে। এই দালালরা মূলত চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনে রাস্তার উপর মজুদ করে রাখে। রাস্তায় লবন মজুদ করে রাখার ফলে মানুষের চলাচলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়,উজানটিয়া প্রায় প্রত্যেকটা সড়ক দখল করে লবণ মজুদ করে রেখেছে। ওই লবণ চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে বিক্রি করার জন্য আনা হয় বড় বড় ট্রাক। ওই ট্রাক রাস্তার মাঝখানে রেখে চলে লোড়। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাক লোড চলে ততক্ষণ কোন গাড়ি চলাচল করতে পারেনা। কোন মুমূর্ষ রোগী ও ডেলিভারি রোগী তৎক্ষণাৎ যেতে চাইলে যেতে পারে না। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। লবণের দালালরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনেকে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

 

 

আবার কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সড়কের উপর যেখানে সেখানে লবণ রাখার কারনে আমাদের চলাচলে প্রচুর অসুবিধা হয়। লবণ ব্যবসা (দালাল) যারা করে তার বেশিরভাগ সমাজের উচ্চ শ্রেণীর হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। লবণ মজুদের সাথে জড়িত স্থানীয় সাবেক এমইউপি ছিদ্দিক আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় মানুষের আয়ের উৎস লবন চাষ। তাই এ এলাকার বেশি ভাগ মানুষ লবন চাষে নিয়োজিত। কিন্তু এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণে দালালি করে মাঠ থেকে লবণ কিনে রাস্তায় রেখে চট্রগ্রামে বিক্রয় করে। তারা বড় বড় ট্রাক দাড় করিয়ে লবন লোড করে যতক্ষণ ট্রাক লোড না হয় ততক্ষন কোন গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হয়না। আমি ইউ এনও মেমকে জানিয়েছি,তিনি এসে তাদেরকে দুইদিনের মধ্যে সরিয়ে পেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা আমার কথা মানে না। আমি নিজে কয়েক বার পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে রাস্তা থেকে লবন সরিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরও আবারও লবণ মজুদ করে তারা।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্বিতা চাকমা বলেন, আমি গত সপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সর্তক করেছি। এখন তারা আমার কথা অমান্য করেছে। যারা রাস্তায় লবণ রাখতেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

পেকুয়ায় সড়কের উপর লবণের স্তুব চলাচলে চরম দুর্ভোগ!

আপডেট সময় ০২:৪০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

 

মোঃ আজিজুল হক.পেকুয়া প্রতিনিধি :-

কক্সবাজারের পেকুয়ার উজাটিয়া করিমদাদ মিয়ার সড়কের উপর লবণের স্তুব করে রেখেছে  এক দালাল চক্র। ফলে সৃষ্টি হয়েছে চলাচলে চরম দুর্ভোগ। প্রতিনিয়ত সড়কের উপর লবণ স্তুব করে ট্রাকে লোড করে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে এ স্তুব করে রেখেছে প্রভাবাশালী এ দালাল চক্র। ফলে যানবাহন কিংবা সাধারণ মানুষ এ সড়কে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মোঃ ইসমাইল, স্থানীয় সাবেক এমইউপি ছিদ্দিক আহম্মদ ও মানিক তাদের নেতৃত্বে উজানটিয়ার বিভিন্ন সড়কের উপর লবণ স্তুব রেখে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করেছে তারা।

 

 

তারা মূলত এলাকায় লবণের দালাল নামে পরিচিত। এখন লবণের মৌসুম প্রায় শেষেরদিকে। কিন্তু সড়কের উপর লবণ রাখা যেন শেষ হচ্ছে না। যার ফলে লবণের পানি পড়ে অতি সহজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পিচ ঢালাই করা সড়ক। সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সড়ক তৈরি করে সুবিধা করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাঠ থেকে লবণ কিনে তা মওজুদ করে সরকারি সড়কের উপর। লবণ রাখার ফলে পানি পড়ে রাস্তা ফিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রায় দেখাযায় ব্যাটারী চালিত টমটম, সিএনজি, মোটরসাইকেল উল্টে গিয়ে প্রাণহানির মত ঘটনা ও ঘটে প্রতিনিয়ত।

 

 

পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় মানুষ লবণ চাষের উপর নির্ভরশীল।তাদের প্রধান আয়ের উৎস লবণ। চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনে স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে মানুষ দালাল বলে ডাকে। এই দালালরা মূলত চাষিদের কাছ থেকে লবণ কিনে রাস্তার উপর মজুদ করে রাখে। রাস্তায় লবন মজুদ করে রাখার ফলে মানুষের চলাচলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়,উজানটিয়া প্রায় প্রত্যেকটা সড়ক দখল করে লবণ মজুদ করে রেখেছে। ওই লবণ চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে বিক্রি করার জন্য আনা হয় বড় বড় ট্রাক। ওই ট্রাক রাস্তার মাঝখানে রেখে চলে লোড়। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাক লোড চলে ততক্ষণ কোন গাড়ি চলাচল করতে পারেনা। কোন মুমূর্ষ রোগী ও ডেলিভারি রোগী তৎক্ষণাৎ যেতে চাইলে যেতে পারে না। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের। লবণের দালালরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনেকে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

 

 

আবার কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সড়কের উপর যেখানে সেখানে লবণ রাখার কারনে আমাদের চলাচলে প্রচুর অসুবিধা হয়। লবণ ব্যবসা (দালাল) যারা করে তার বেশিরভাগ সমাজের উচ্চ শ্রেণীর হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। লবণ মজুদের সাথে জড়িত স্থানীয় সাবেক এমইউপি ছিদ্দিক আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় মানুষের আয়ের উৎস লবন চাষ। তাই এ এলাকার বেশি ভাগ মানুষ লবন চাষে নিয়োজিত। কিন্তু এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা লবণে দালালি করে মাঠ থেকে লবণ কিনে রাস্তায় রেখে চট্রগ্রামে বিক্রয় করে। তারা বড় বড় ট্রাক দাড় করিয়ে লবন লোড করে যতক্ষণ ট্রাক লোড না হয় ততক্ষন কোন গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হয়না। আমি ইউ এনও মেমকে জানিয়েছি,তিনি এসে তাদেরকে দুইদিনের মধ্যে সরিয়ে পেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা আমার কথা মানে না। আমি নিজে কয়েক বার পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে রাস্তা থেকে লবন সরিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরও আবারও লবণ মজুদ করে তারা।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্বিতা চাকমা বলেন, আমি গত সপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সর্তক করেছি। এখন তারা আমার কথা অমান্য করেছে। যারা রাস্তায় লবণ রাখতেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।