বাংলাদেশ ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

বশেমুরপ্রবিপ্রবিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
  • ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে

বশেমুরপ্রবিপ্রবিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন উপলক্ষে “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: ‘ডি ফ্যাক্টো’ স্বাধীনতা প্রসঙ্গ” এর উপর বিশেষ সেমিনার ও প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ ই মার্চ (শনিবার) আইন অনুষদের উদ্যোগে এবং ল ডিবেটিং ক্লাবের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রাজিউর রহমান।
এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব। প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানসুরা খানম, সভাপতি, আইন বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগণের বক্তব্যের পর ৭ই মার্চের ভাষণের উপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সম্মাননা পুরুষ্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭ ই মার্চের ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বাংলাদেশের জন্য দরকার ছিল। এই ভাষণ না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এতো অল্প সময়ের মধ্যে অর্জিত হতো না। এটি বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উচ্ছসিত করে। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তির কথা বলে গেছেন। তাঁর মধ্যে আদর্শ নেতার গুণাবলী এবং দূরদর্শিতা অত্যন্ত প্রখর ছিলো যেটার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রবন্ধ উপস্থাপক প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল ৭ ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ ভাষণে একবারের জন্যও পূর্ব-পাকিস্তান বলেননি তিনি এদেশকে বাংলাদেশ নামে উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্র গঠনের পাঁচটি উপাদানের সবগুলোই ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে অন্তর্ভুক্ত তাই তখন থেকেই বাংলাদেশ ছিলো ডি ফ্যাক্টো অর্থাৎ কার্যত স্বাধীনরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইউনেস্কো কর্তৃক এখন পর্যন্ত স্বীকৃত ৪৭৭ টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে এটিই একমাত্র ভাষণ। এটি ছিল ইতিহাসের অমর প্রয়োজনীয়তা। বঙ্গবন্ধুর অলিখিতভাবে প্রদত্ত এ ভাষণকে বাংলাদেশের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে অন্তত একটি কোর্সে ও আন্তর্জাতিক আইনের পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করা অতীব জরুরি।
আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রাজিউর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানের তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন হিন্দু, মুসলিম, বাঙালি অবাঙালি যারা আছেন তারা আমাদের ভাই তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর।
এই কথাটির সাথে আমাদের সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদ অর্থ্যাৎ ধর্ম নিরপেক্ষতার মিল রয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি ও শোষণ মুক্ত সমাজ এবং কৃষক শ্রমিকের মুক্তির কথা বলেছেন তিনি, যেটি আমাদের সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদে দেখতে পাই। বিল অব রাইটস, ম্যাগনা কর্টা, হিউম্যান রাইটস এ সমস্ত বিষয় গুলোর একটি সমন্বয় ছিলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

বশেমুরপ্রবিপ্রবিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন উপলক্ষে “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: ‘ডি ফ্যাক্টো’ স্বাধীনতা প্রসঙ্গ” এর উপর বিশেষ সেমিনার ও প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ ই মার্চ (শনিবার) আইন অনুষদের উদ্যোগে এবং ল ডিবেটিং ক্লাবের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং আইন অনুষদের ডিন ড. মো. রাজিউর রহমান।
এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব। প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানসুরা খানম, সভাপতি, আইন বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগণের বক্তব্যের পর ৭ই মার্চের ভাষণের উপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সম্মাননা পুরুষ্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭ ই মার্চের ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বাংলাদেশের জন্য দরকার ছিল। এই ভাষণ না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এতো অল্প সময়ের মধ্যে অর্জিত হতো না। এটি বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উচ্ছসিত করে। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তির কথা বলে গেছেন। তাঁর মধ্যে আদর্শ নেতার গুণাবলী এবং দূরদর্শিতা অত্যন্ত প্রখর ছিলো যেটার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রবন্ধ উপস্থাপক প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল ৭ ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ ভাষণে একবারের জন্যও পূর্ব-পাকিস্তান বলেননি তিনি এদেশকে বাংলাদেশ নামে উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্র গঠনের পাঁচটি উপাদানের সবগুলোই ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে অন্তর্ভুক্ত তাই তখন থেকেই বাংলাদেশ ছিলো ডি ফ্যাক্টো অর্থাৎ কার্যত স্বাধীনরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইউনেস্কো কর্তৃক এখন পর্যন্ত স্বীকৃত ৪৭৭ টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে এটিই একমাত্র ভাষণ। এটি ছিল ইতিহাসের অমর প্রয়োজনীয়তা। বঙ্গবন্ধুর অলিখিতভাবে প্রদত্ত এ ভাষণকে বাংলাদেশের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে অন্তত একটি কোর্সে ও আন্তর্জাতিক আইনের পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করা অতীব জরুরি।
আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রাজিউর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানের তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন হিন্দু, মুসলিম, বাঙালি অবাঙালি যারা আছেন তারা আমাদের ভাই তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপর।
এই কথাটির সাথে আমাদের সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদ অর্থ্যাৎ ধর্ম নিরপেক্ষতার মিল রয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি ও শোষণ মুক্ত সমাজ এবং কৃষক শ্রমিকের মুক্তির কথা বলেছেন তিনি, যেটি আমাদের সংবিধানের ১৪ নং অনুচ্ছেদে দেখতে পাই। বিল অব রাইটস, ম্যাগনা কর্টা, হিউম্যান রাইটস এ সমস্ত বিষয় গুলোর একটি সমন্বয় ছিলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ।