বাংলাদেশ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

জবি শিক্ষিকা রিতু কুন্ডু থেকে আয়শা জাহান।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • ১৭২৮ বার পড়া হয়েছে

জবি শিক্ষিকা রিতু কুন্ডু থেকে আয়শা জাহান।

 

তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি।

দীর্ঘ ২৯ বছর কোরআন-হাদিস পড়াশোনা করার পর গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন জবি লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিতু কুন্ডু। এখন নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন “আয়শা জাহান

২৩ শে আগস্ট, মঙ্গলবার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নিজের নাম পরিবর্তন করেন রিতু কুন্ডু। ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাশ চন্দ্র অধিকারীর দেওয়া হলফনামার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় তিনি নতুন নাম রাখেন ‘আয়শা জাহান’।

তার বাড়ি নীলফামারীর নালশামারী উপজেলায়। বাবা দুলাল কান্তি কুন্ডু ও মা মালা কুন্ডুর ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে কর্মরত আছেন।

গতবছরের ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ ইসলাম গ্রহণ করেছি। কবে থেকে কীভাবে এ পথে যাত্রা শুরু হল, তা বলতে হলে বলতে হবে এ যাত্রা আসলে খুব অল্প দিনের বা অল্প সময়ের নয়, খুব ছোট থেকেই আল্লাহ আমাকে ইসলাম কবুলের জন্য তৈরি করেছিলেন। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ঘটনা, শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা আর সমাজের অসংগতি আমাকে ধীরে ধীরে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছে। তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব (কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন) নিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। শান্তির এ ধর্মে আমি দিক্ষিত হয়েছি প্রায় চার বছর আগেই।

ভিডিও বার্তায় শিক্ষিকা আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরের বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা ও জ্ঞানবুদ্ধির আলোকে আমি ইসলামের বিষয়ে এক মাসব্যাপী পড়াশোনা শুরু করি। ১৬ দিনের মধ্যেই আমি সত্য উপলব্ধি করি এবং ২০১৭ সালের মার্চে ইসলাম গ্রহণ করি। এই দীর্ঘ ২৯ বছর পর্যন্ত আমি নিজের পরিবার, সমাজ ও মানুষের আচার-ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করি। এ দীর্ঘ সময় অন্যান্য প্রধান সব ধর্মের গ্রন্থাবলি পাঠ করেছি। জাপানেও এ বিষয়ে পড়াশোনা করি। ২০১২ সালে এসে বুঝতে পারি, এগুলো মানুষ রচিত বই।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর পর আমি পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ নিয়ে পড়ালেখা করি। এর পাশাপাশি আমি হাদিসও পাঠ করি। সামনে কোরআনের যে সূরা আর হাদিস পেয়েছি, তাই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। মহান আল্লাহর নির্দেশনার কারণ ও বিধিনিষেধ নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। কখনও এ বিষয়ে স্বপ্নও দেখেছি। তা হয়ত অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে।

খুব ছোট থেকেই হয়ত আল্লাহ আমাকে ইসলাম কবুলের জন্য তৈরি করেছিলেন। ছোট থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ঘটনা, শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা আর সমাজের অসংগতি আমাকে ধীরে ধীরে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছে। আমি যখন বুঝতে পারলাম, আমাকে নামাজ পড়তে হবে, সেদিন থেকে টানা ১৪ মাস আমার নামাজ কাযা হয়নি। এরপর চাকরির কারণে দু-একবার কাযা হয়ে যায়। আমি যখন অনুভব করলাম, আমাকে পর্দা করতে হবে, সেদিন থেকে আমি হিজাব পরা শুরু করি।

উল্লেখ্য, আয়শা জাহান (বর্তমান নাম) নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৭ সাল থেকে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

জবি শিক্ষিকা রিতু কুন্ডু থেকে আয়শা জাহান।

আপডেট সময় ০৫:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

 

তারেক হাসান, জবি প্রতিনিধি।

দীর্ঘ ২৯ বছর কোরআন-হাদিস পড়াশোনা করার পর গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন জবি লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিতু কুন্ডু। এখন নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন “আয়শা জাহান

২৩ শে আগস্ট, মঙ্গলবার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নিজের নাম পরিবর্তন করেন রিতু কুন্ডু। ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাশ চন্দ্র অধিকারীর দেওয়া হলফনামার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় তিনি নতুন নাম রাখেন ‘আয়শা জাহান’।

তার বাড়ি নীলফামারীর নালশামারী উপজেলায়। বাবা দুলাল কান্তি কুন্ডু ও মা মালা কুন্ডুর ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে কর্মরত আছেন।

গতবছরের ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ ইসলাম গ্রহণ করেছি। কবে থেকে কীভাবে এ পথে যাত্রা শুরু হল, তা বলতে হলে বলতে হবে এ যাত্রা আসলে খুব অল্প দিনের বা অল্প সময়ের নয়, খুব ছোট থেকেই আল্লাহ আমাকে ইসলাম কবুলের জন্য তৈরি করেছিলেন। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ঘটনা, শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা আর সমাজের অসংগতি আমাকে ধীরে ধীরে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছে। তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব (কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন) নিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। শান্তির এ ধর্মে আমি দিক্ষিত হয়েছি প্রায় চার বছর আগেই।

ভিডিও বার্তায় শিক্ষিকা আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরের বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা ও জ্ঞানবুদ্ধির আলোকে আমি ইসলামের বিষয়ে এক মাসব্যাপী পড়াশোনা শুরু করি। ১৬ দিনের মধ্যেই আমি সত্য উপলব্ধি করি এবং ২০১৭ সালের মার্চে ইসলাম গ্রহণ করি। এই দীর্ঘ ২৯ বছর পর্যন্ত আমি নিজের পরিবার, সমাজ ও মানুষের আচার-ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করি। এ দীর্ঘ সময় অন্যান্য প্রধান সব ধর্মের গ্রন্থাবলি পাঠ করেছি। জাপানেও এ বিষয়ে পড়াশোনা করি। ২০১২ সালে এসে বুঝতে পারি, এগুলো মানুষ রচিত বই।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর পর আমি পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ নিয়ে পড়ালেখা করি। এর পাশাপাশি আমি হাদিসও পাঠ করি। সামনে কোরআনের যে সূরা আর হাদিস পেয়েছি, তাই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। মহান আল্লাহর নির্দেশনার কারণ ও বিধিনিষেধ নিয়ে চিন্তাভাবনা করি। কখনও এ বিষয়ে স্বপ্নও দেখেছি। তা হয়ত অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে।

খুব ছোট থেকেই হয়ত আল্লাহ আমাকে ইসলাম কবুলের জন্য তৈরি করেছিলেন। ছোট থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ঘটনা, শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা আর সমাজের অসংগতি আমাকে ধীরে ধীরে ইসলামের পথে পরিচালিত করেছে। আমি যখন বুঝতে পারলাম, আমাকে নামাজ পড়তে হবে, সেদিন থেকে টানা ১৪ মাস আমার নামাজ কাযা হয়নি। এরপর চাকরির কারণে দু-একবার কাযা হয়ে যায়। আমি যখন অনুভব করলাম, আমাকে পর্দা করতে হবে, সেদিন থেকে আমি হিজাব পরা শুরু করি।

উল্লেখ্য, আয়শা জাহান (বর্তমান নাম) নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালে তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৭ সাল থেকে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।