ঢাকা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ লালপুরে কৃষি বীজ, চেক ও সেলাই মেশিন বিতরণ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই এবং অনুমোদনহীন ও নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা অভিনব কায়দায় ০২ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ কুমিল্লায় র‌্যাব সদস্যের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো ছোট শিশু ইসরাতের র‌্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২ টি খাবার তৈরী প্রতিষ্ঠান এবং ০২ টি আয়রন রড, শীট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান’কে জরিমানা ভান্ডারিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে এসআইয়ের ওপর মাদক কারবারির হামলা পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে যশোরে দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কন্ট্রোলারের শ্রদ্ধা মুলাদীতে সিনিয়র আইনজীবি মজিবুর রহমান দুলালের মৃত্যুতে বিভিন্ন জনের শোক॥ মুলাদীতে সর্বজনীন কল্যানে ইসলামী ব্যাংকিং শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল॥ প্রথম আলো’র সম্পাদকের উপর মামলার ঘটনায় সিলেট জেলা বিএনপির নিন্দা জামালগঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার হিড়িক থানায় জিডি দায়ের

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট সরকারে দেখা উচিত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৪৮ বার পড়া হয়েছে

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট সরকারে দেখা উচিত

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকার  তো দেশের উন্নায়নের কাজে ব্যস্তরয়েছে। কিন্ত এ উন্নায়ন কি মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষগুলো দেখে যেতে পারবে ? কারণ তার আগে হয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এই মানুষ গুলো না খেয়ে মারা যাবে। সম্প্রতিক সময়ে লাগামহীন ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকারের কিছুই করার নেই । এই যদি হয় দেশের অবস্থা ?  তাহলে উন্নায়নের কাজ বন্ধ রেখে! চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য স্বাভাবিক করেন।
মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। জীবন ধারণের উপযোগী প্রতিটি জিনিসের অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্যই সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
 যদি নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। মজুতদার ও লোভী ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো অবস্থা হলেও খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কষ্ট দিন দিন বাড়তে থাকবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন অল্প বেতনের সৎ সরকারি-বেসরকারি কর্মকতা-কর্মচারী, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী। যেসব চাকরিজীবী সৎভাবে জীবন কাটান, তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রবীণ জনগোষ্ঠীসহ নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এখনি।
এসব অনিয়ম কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে রোধ করতে হবে ! স্বাধীন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বলগাছাড়া অবস্থা দরিদ্র ব্যক্তিদের পক্ষে বজ্রাঘাততুল্য। বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে দেশের সাধারণ মানুষের আরও একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদানে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট সরকারে দেখা উচিত

আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকার  তো দেশের উন্নায়নের কাজে ব্যস্তরয়েছে। কিন্ত এ উন্নায়ন কি মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষগুলো দেখে যেতে পারবে ? কারণ তার আগে হয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে এই মানুষ গুলো না খেয়ে মারা যাবে। সম্প্রতিক সময়ে লাগামহীন ভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকারের কিছুই করার নেই । এই যদি হয় দেশের অবস্থা ?  তাহলে উন্নায়নের কাজ বন্ধ রেখে! চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য স্বাভাবিক করেন।
মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। জীবন ধারণের উপযোগী প্রতিটি জিনিসের অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের জন্যই সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
 যদি নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। মজুতদার ও লোভী ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো অবস্থা হলেও খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কষ্ট দিন দিন বাড়তে থাকবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন অল্প বেতনের সৎ সরকারি-বেসরকারি কর্মকতা-কর্মচারী, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও প্রবীণ জনগোষ্ঠী। যেসব চাকরিজীবী সৎভাবে জীবন কাটান, তাদের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রবীণ জনগোষ্ঠীসহ নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এখনি।
এসব অনিয়ম কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে রোধ করতে হবে ! স্বাধীন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বলগাছাড়া অবস্থা দরিদ্র ব্যক্তিদের পক্ষে বজ্রাঘাততুল্য। বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে দেশের সাধারণ মানুষের আরও একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদানে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম।