পটুয়াখালী প্রতিনিধী :-মনজুর মোর্শেদ তুহিন
২৫ শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল রোডস্থ এম আলী হোটেলের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষের ভিতর থেকে শামীম হাওলাদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের সঙ্গে থাকা এক নারী ও হোটেলের ম্যানেজার সুজন রায়কে আটক করা হয়েছে। নিহত শামীম হাওলাদার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের মো:রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে এবং শহরের নুর জেনারেল হাসপাতালে ম্যনেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শামীম এবং ওই নারী এম আলী হোটেলের ১০৭ নম্বর কক্ষে উঠেন। মধ্যরাতে ওই নারী ম্যানেজার সুজনকে জানান শামীম মারা গেছেন। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ সকালে সদর থানায় জানালে পুলিশ এসে সকাল আনুমানিক দশটার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
স্ত্রী পরিচয় দেয়া শামিমের প্রেমিকার দাবি, রাতে তাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে শামীম আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু নিহতের চাচাতো ভাই জহিরুল আলম এলাহী বলেন, বাথরুমে প্লাস্টিক শাওয়ারের সঙ্গে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় শামীমকে দেখতে পেয়েছি। তবে তার পায়ের অংশ ফ্লোরে মেশানো ও অর্ধভাজ করা ছিল। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না।
সদর থানার এসআই রতন হাওলাদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সঙ্গে থাকা নারী ও হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে মৃত্যু রহস্য।