রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জমি দখল করে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি নিজের নামে করে নেয়ার চেস্টার অভিযোগে ভুমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত করে আবুল হোসেনকে নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
গত ১২ মে ২০২২ ইং তারিখে যার স্বারক নম্বর-৪২.০১.৯৪০০.১৮১.৩২.০০১. ১৯-৫০২ সম্বলিত নেটিশটিতে বলা হয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক শুক হালকা সেচ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার আকচা মৌজার জে.এল নং ১০৯ এর এল.এ.কেস নং ৮২/৮-৬২-৬৫ এর অধীনে ২.৭৫ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়।
তন্মধ্যে ৪১২৬ দাগে ০.৬২ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। উক্ত দাগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের স্থাপনা রয়েছে। সুতরাং উক্ত জমির মালিক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড। কিন্তু গত ১২ মে ২০২২ ইং তারিখে সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় অবৈধভাবে ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার শুক নদীর পাশে আবুল হোসেন দখল পূর্বক ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। এছাড়াও তিনি চলমান মাঠ জরিপে উক্ত দাগে বাপাউবোর অধিগ্রহনকৃত ৬০ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক জমি মালিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে মাঠ পর্চার করে দাবি তুলছেন।
অনুমতি ছাড়া সরকারি সম্পত্তি বিনস্ঠসহ যা ভুমি জবরদখলের প্রয়াস চালাচ্ছেন। তা একজন ভুমিস্যুর আচরণের সামিল যা সম্পূর্ন বেআইনি কার্যক্রম ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমির উপর নির্মিত সকল বসতরত স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয় নোটিশে। নোটিশটি প্রদানের পর সাতদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কার্যত প্রদক্ষেপ করেন নি আবুল হোসেন। এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ০১৭৮৩২৮৭৩৯০ এই নম্বরে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, নোটিশ দেয়ার পরও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জমি থেকে বসবাসরত ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে না নিলে প্রশাসনের সহায়তায় ভুমি কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে যে কোন সময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। গুড়িয়ে দিয়ে সরকারি জায়গা খালি করা হবে। সেই সাথে আইনি প্রদক্ষেপ নেয়া হবে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে।