বাংলাদেশ ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন খানসামার ৩০ পানচাষি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে

ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন খানসামার ৩০ পানচাষি

মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে। উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নে এই পানের বরজ তুলনামূলক বেশি। গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামেরর এই পান চাষকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আর্শীবাদ মনে করে পানচাষীরা। গেল ১০ বছর পূর্ব থেকে বর্তমানে উপজেলায় পানের আবাদ বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ৭.৬ একর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার দুবলিয়া গ্রামেই ৯৫ ভাগ পান চাষ করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ৩০টি পরিবার এই পান চাষের সাথে জড়িত।
দুবলিয়া গ্রামের পানচাষি ক্ষিতিশ রায় বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাচি পান চাষ করা হলেও মোট চাষের ৮০ ভাগই মিষ্টি পান চাষ করি আমরা। এখানকার সব পরিবার এক সময় ব্যবসা আর শখের বসে পানের বরজে পান চাষ শুরু করেন। গ্রাম কিংবা শহরে অতিথি আপ্যায়নে এ পানের এখনো চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও চুন ছাড়া পান পাতার রস আর কাঁচা সুপারির রস হার্টের উপকারিতা ছাড়াও ছাঁচি পানের রস দিয়ে যৌনরোগের ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রামের কবিরাজরা বেশ নাম রেখেছে।
একই এলাকার আরেক পানচাষি রঞ্জনা রায় বলেন, পান চাষ করেই আমাদের সংসার চলে। আমি ও আমার স্বামী দু’জনেই পানের বরজে কাজ করি। ৩২ বছর ধরে পানের বরজ করে আসছি। বর্তমানে ২৩ শতক জমিতে পানের বরজ রয়েছে। প্রতিহাটে সপ্তাহে দুই দিন ১৩-১৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করি।
দিনাজপুর থেকে দুবলিয়া গ্রামে পান কিনতে আসা পান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ জানান, এখানকার পান সুস্বাদু হওয়ায় এ পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরেই এ এলাকা থেকে পান কিনে বাজারজাত করি। তারা পান চাষ করে এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, খানসামা উপজেলার মাটি পান চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত হওয়ায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে পানের চাষ করে চাষিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেক পানের চাষ করেছে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন খানসামার ৩০ পানচাষি

আপডেট সময় ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
মোঃ নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পান চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চাষিরা। চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা। তাই এই উপজেলায় দিন দিন পানের বরজের সংখ্যাও বাড়ছে। উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নে এই পানের বরজ তুলনামূলক বেশি। গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামেরর এই পান চাষকে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া আর্শীবাদ মনে করে পানচাষীরা। গেল ১০ বছর পূর্ব থেকে বর্তমানে উপজেলায় পানের আবাদ বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ৭.৬ একর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার দুবলিয়া গ্রামেই ৯৫ ভাগ পান চাষ করা হয়। বর্তমানে উপজেলার ৩০টি পরিবার এই পান চাষের সাথে জড়িত।
দুবলিয়া গ্রামের পানচাষি ক্ষিতিশ রায় বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাচি পান চাষ করা হলেও মোট চাষের ৮০ ভাগই মিষ্টি পান চাষ করি আমরা। এখানকার সব পরিবার এক সময় ব্যবসা আর শখের বসে পানের বরজে পান চাষ শুরু করেন। গ্রাম কিংবা শহরে অতিথি আপ্যায়নে এ পানের এখনো চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও চুন ছাড়া পান পাতার রস আর কাঁচা সুপারির রস হার্টের উপকারিতা ছাড়াও ছাঁচি পানের রস দিয়ে যৌনরোগের ওষুধ তৈরি করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গ্রামের কবিরাজরা বেশ নাম রেখেছে।
একই এলাকার আরেক পানচাষি রঞ্জনা রায় বলেন, পান চাষ করেই আমাদের সংসার চলে। আমি ও আমার স্বামী দু’জনেই পানের বরজে কাজ করি। ৩২ বছর ধরে পানের বরজ করে আসছি। বর্তমানে ২৩ শতক জমিতে পানের বরজ রয়েছে। প্রতিহাটে সপ্তাহে দুই দিন ১৩-১৫ হাজার টাকার পান বিক্রি করি।
দিনাজপুর থেকে দুবলিয়া গ্রামে পান কিনতে আসা পান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ জানান, এখানকার পান সুস্বাদু হওয়ায় এ পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমি দীর্ঘ দিন ধরেই এ এলাকা থেকে পান কিনে বাজারজাত করি। তারা পান চাষ করে এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, খানসামা উপজেলার মাটি পান চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত হওয়ায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে পানের চাষ করে চাষিরা। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামের চাষীরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেক পানের চাষ করেছে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।