ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাংগী উপজেলায় কলেজ রোডে রুপালী ব্যাংকের পাশেই চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাণিজ্য মেলা। নেই উপজেলা/জেলা প্রসাশনের কোনো অনুমতি। মেলায় নিম্মমানের পণ্য বিক্রি করে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। এতে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে।

প্রতি বছর ঈদ এলেই এই ভুয়া প্রতারক দোকান দালালরা বালিয়াডাংগী বাজার সংলগ্ন শফিকুল চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটে প্রকাশ্যেই চালান জমজমাট এই ঈদ বাণিজ্য মেলা।

চেয়ারম্যান সুপার মার্কেট নামে মেলা বসিয়ে উপজেলার বস্ত্র ও সু বিক্রেতা কসমেটিকসহ বিভিন্ন দোকানদারদের লোকসানের মুখে ফেলেছে।

গত দুই বছর ধরে যখন করোনাকালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছে, অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ফলে বিগত দু-বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও সেই সুযোগ কেড়ে নিচ্ছেন ভিন্ন জেলা থেকে আগত দোকানদারেরা।

বালিয়াডাংগী বাজারের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েক জন কাপড় বিক্রেতারা জানান, এভাবে ঈদ উৎসব আসলেই মেলা বসিয়ে আমাদের ঈদ উৎসবের বেচা কেনা থেকে বঞ্চিত করা হয়, আমরা এ উপজেলার মানুষ, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমরা নিয়মিত সরকারকে ট্যাক্স দেই।তাই আমাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি।এখনি সময় আমাদের গোটা বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আর এ অবৈধ মেলার মাধ্যমে আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। আমাদের উপর অবিচার করা হচ্ছে, কাপড় বিক্রি করে আমাদের সংসার চালাই পরিবার পরিজন নিয়ে আমারা বাঁচতে চাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টিআকর্ষণ করছি এই অবৈধ মেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।

মেলার সামনের কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো শফিকুল ইসলাম সাহেরের দাপটে উনার নিজস্ব মার্কেটে চলছে এই ঈদ অবৈধ বানিজ্য মেলা। আরো বলেন উনি স্হানীয় দোকানদারের পেটে লাত্থি মেরে বাইরে থেকে দোকানদার এনে স্হানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি সাধান করে আসছেন। উনার উচিৎ হয়নি স্হানীয় ব্যাবসায়ীদের ক্ষতি সাধান করা।

 মেলা চালু হয়ে  অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্হানীয় ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাংগী উপজেলা ব্যবসায়ী সমিতি কমিটির লোকজনের সাথে কথা হলে উনারা জানান, ঈদের আগে এরকম মেলা বসিয়ে দোকানপাট করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গত করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা বসে বসে দোকানভাড়া কর্মচারী টাকা দিয়েছেন, লোকসান গুনতে গুনতে প্রায় সর্বশান্ত এই অবস্থায় এবার ঈদে কিছুটা হলেও তা সমন্বয় করতে পারতো। এই মার্কেটের নাম করে মেলা আমাদের বালিয়াডাংগীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হক ছিন্ন করা হচ্ছে।