![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)
মিঠাপুকুরের ০২ নং-রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর আবাসন ব্যারাকে বাবা,ছেলের পারিবারিক কলহের জেরে হাতাহাতির কিছুক্ষণ পরেই বাবার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে মাত্রাতিরিক্ত চোলাইমদ সেবনের পরেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশ লাশ উব্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, মমিনপুর আবাসন প্রকল্পের ০৮ নং ব্যারাকের ৪ও ৫ নং -রুমে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিষনাথ ত্রীর্কি (৫২) এবং তার ছেলে পরেশ ত্রির্কী বসবাস করতেন। বিষনাথ ত্রির্কী দেশের বিভিন্ন জায়গায় শূকরের পাল চড়াতেন। কয়েকদিন আগে নিজ বাড়ি মমিনপুর আবাসনের ব্যারাকে আসলে ২৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় একটি বাইসাইকেল বিক্রিকে কেন্দ্র করে বাপ ছেলের দ্বন্দের জেরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্হানীয়রা সেটি মিমাংসা করে দেন এবং বিষনাথ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিকটস্থ বাজারে যান।
মারামারির ঘন্টা খানেক পরে বিশ্বনাথ ত্রির্কী বলদিপুকুর বাজার থেকে ফেরার পর আদিবাসী পাড়ায় চোলাইমদ খেয়ে বাড়িতে ফেরেন এবং এক পর্যায়ে আহত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে গড়াগড়ি শুরু করেন। পরিবারের এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বিষনাথকে বিছানায় তুলে স্হানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিলে, পল্লী চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষনাথের মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন।
মিঠাপুকুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করে পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ থানায় প্রেরণ করেন। মিঠাপুকুর থানার (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, আমি নিজেই ঘটনাস্হলে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি ইউডি, মামলা দায়ের করা হয়েছে। পোষ্ট মর্টেমের পরেই জানা যাবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি। রানীপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ফরহাদ (পুটু) জানান, পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নেই। তবে মৃত- বিষনাথ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন বলে তিনি জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ থানায় রয়েছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ আগামীকাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।