বাংলাদেশ ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ ট্রাকে করে গাঁজা পরিবহন কালে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সাংবাদিক বাহার উদ্দিন সরকারের ৮ ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন। কচুয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুক্ত হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে কচুয়ায় মানববন্ধন সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মল্লিক নাটোর জেলা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সভা ও বেসিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ ও ফেন্সিডিলসহ আটক-০৪ হোসেনপুরে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ মিছিল। পোড়াদহের চিথলিয়া রেল ব্রীজ থেকে নিচে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ, দীর্ঘ (৫-৬)ঘন্টা পর উদ্ধার ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদ গঠন শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল করে কক্ষে তালা দিল ছাত্রদল ধান ক্ষেতের সাথে এ কেমন শত্রুতা লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০৩টি শর্টগান, ৯৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ০১টি পুলিশ বেল্ট উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আল্লামা সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে : নাজিরপুরে মাসুদ সাঈদী

বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী রাজু গ্রেফতার।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ১৬৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী রাজু গ্রেফতার।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‍্যাব-১ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মোঃ রাজু (৩৬) গ্রেফতার।

বিভিন্ন সময়ে কিছু অসাধু চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

এনটিএমসি’র সহযোগীতায় র‌্যাব জানতে পারে যে, কতিপয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে। অবৈধ এসকল যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রয় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। ইতোপূর্বে র‌্যাব ফোর্সেস এসকল অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রায় ছয়শত অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এছাড়াও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এসকল অবৈধ ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্যে এনটিএমসি ও বিটিআরসি এর সাথে সমন্বয়পূর্বক র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

 

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ১। মোঃ রাজু
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মোঃ রাজু

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১০ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং র‌্যাব-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ১। মোঃ রাজু (৩৬), পিতা- মোঃ ইউনুস আলী ভূইয়া, থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর, এ/পি-বাসা নং- খ-২০২/বি, মধ্য বাড্ডা, হাজী সলিমুদ্দিন লেন, থানা- বাড্ডা, ডিএমপি, ঢাকাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত, ৩০টি ভিওআইপি সীম বক্স, ৫,০৫০ টি সীম, ০২ টি পাওয়ার ক্যাবল, ০১টি রাউটার, ০১ টি মাউস, ০৬ টি পেনড্রাইভ, ০৬ টি মোবাইল ফোন, ০৫টি ল্যাপটপ, ০১টি অনু, ০৫টি ইন্টার সুইচ বক্স, ০১টি কী বোর্ড এবং ০১টি ফেক্সিলোড সিম বক্স ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামী দীঘদিন যাবৎ এই অবৈধ ভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত প্রচলিত সফটওয়ার ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করত এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে সার্ভার স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও কলিং কার্ড, পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো বলে জনা যায়। তাদের ব্যবহৃত সিস্টেমে বিদেশ হতে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসতো। যার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামী প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতো বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী দেশের বাহির থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতো বলে প্রাথমিকভাবে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামী অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এর বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পেমেন্টে (ইন্টারনেট ও সিম) ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতো বলে জানা যায়।

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি ২০১০ সালে দুবাই থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরবর্তীতে সে দেশে এসে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় জনৈক মোঃ সবুজ এর সহায়তায় উক্ত অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে আসামী মোঃ রাজু পলাতক আসামী সবুজের সহায়তায় ভিওআইপি সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে, দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত আসামী ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন জনৈক মোঃ গোলাম মোস্তফা (৭০) এর মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় উক্ত ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উক্ত আসামী জিঞ্জাসাবাদে জানায় যে, আসামীর ডিএমপি ঢাকার পল্টন থানাধীন শান্তিনগর মোড় ব্রাক ব্যাংক শাখায় তাহার নামে একটি একাউন্ট আছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও পলাতক আসামী অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামী ও পলাতক আসামীদ্বয় যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত অবৈধ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা তৈরী করতঃ অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী চালিত সফ্টওয়ার ভিত্তিক সুইচ এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতো এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফট্ওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং পলাতক আসামী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় বাল্কহেডে নিহতদের স্বরনে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন দক্ষিন শাখা শ্রমিক দলের দোয়া-মিলাদ

বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী রাজু গ্রেফতার।

আপডেট সময় ১০:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‍্যাব-১ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মোঃ রাজু (৩৬) গ্রেফতার।

বিভিন্ন সময়ে কিছু অসাধু চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

এনটিএমসি’র সহযোগীতায় র‌্যাব জানতে পারে যে, কতিপয় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে বর্হিবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে। অবৈধ এসকল যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রয় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। ইতোপূর্বে র‌্যাব ফোর্সেস এসকল অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রায় ছয়শত অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এছাড়াও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এসকল অবৈধ ব্যবসা বন্ধের লক্ষ্যে এনটিএমসি ও বিটিআরসি এর সাথে সমন্বয়পূর্বক র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

 

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ১। মোঃ রাজু
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী মোঃ রাজু

 

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১০ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং র‌্যাব-১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ১। মোঃ রাজু (৩৬), পিতা- মোঃ ইউনুস আলী ভূইয়া, থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর, এ/পি-বাসা নং- খ-২০২/বি, মধ্য বাড্ডা, হাজী সলিমুদ্দিন লেন, থানা- বাড্ডা, ডিএমপি, ঢাকাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত, ৩০টি ভিওআইপি সীম বক্স, ৫,০৫০ টি সীম, ০২ টি পাওয়ার ক্যাবল, ০১টি রাউটার, ০১ টি মাউস, ০৬ টি পেনড্রাইভ, ০৬ টি মোবাইল ফোন, ০৫টি ল্যাপটপ, ০১টি অনু, ০৫টি ইন্টার সুইচ বক্স, ০১টি কী বোর্ড এবং ০১টি ফেক্সিলোড সিম বক্স ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামী দীঘদিন যাবৎ এই অবৈধ ভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত প্রচলিত সফটওয়ার ভিত্তিক সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করত এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে সার্ভার স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও কলিং কার্ড, পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো বলে জনা যায়। তাদের ব্যবহৃত সিস্টেমে বিদেশ হতে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মিনিট কল বাংলাদেশে আসতো। যার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামী প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতো বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী দেশের বাহির থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতো বলে প্রাথমিকভাবে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামী অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এর বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পেমেন্টে (ইন্টারনেট ও সিম) ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতো বলে জানা যায়।

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি ২০১০ সালে দুবাই থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরবর্তীতে সে দেশে এসে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় জনৈক মোঃ সবুজ এর সহায়তায় উক্ত অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে আসামী মোঃ রাজু পলাতক আসামী সবুজের সহায়তায় ভিওআইপি সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে, দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত আসামী ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন জনৈক মোঃ গোলাম মোস্তফা (৭০) এর মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় উক্ত ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উক্ত আসামী জিঞ্জাসাবাদে জানায় যে, আসামীর ডিএমপি ঢাকার পল্টন থানাধীন শান্তিনগর মোড় ব্রাক ব্যাংক শাখায় তাহার নামে একটি একাউন্ট আছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও পলাতক আসামী অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামী ও পলাতক আসামীদ্বয় যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত অবৈধ ভিওআইপি যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা তৈরী করতঃ অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী চালিত সফ্টওয়ার ভিত্তিক সুইচ এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করতো এবং অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফট্ওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং পলাতক আসামী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।