নিজস্ব সংবাদ : 
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু, বদলগাছি ( নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছির উপজেলা সদরের বালুভরা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আজ ১৭ এপ্রিল নওগাঁর বদলগাছির সদর ইউপি, আধাইপুর ইউপি, বিলাশবাড়ী ইউপিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ঈদ উপহার ভিজিএফ কার্ডে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে কোনো অনিময় হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ সকল ইউনিয়ন পরিষদ সরিজমিনে পরিদর্শন করেন।
সরিজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, বদলগাছি সদর ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক নিময়ে চাল বিতরণ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ ইউপি সদস্য বৃন্দ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহিলা ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম মিনু, ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন, আনিছুর রহমান, আমিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আইতুল হোসেন, রবিউল আউয়াল সহ পরিষদের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার পরিষদে মোট ২৫শ ৫৫জন হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার ১০ কেজি চাল সবাই যেন সঠিক ভাবে পান সেই ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। সেখানে দেওয়া চালের ওজন ছিল ৯ কেজি ৮০০ শ গ্রাম।
আধাইপুর ইউপিতে চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম পল্টন সহ সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ। আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম পল্টন দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, আমার পরিষদে মোট ১৫শ ৫০ জন হতদরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের মাঝে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার ১০ কেজি চাল সবাই যেন সঠিক ভাবে পান সেই বিষয়ে গভীর তদারকি করা হচ্ছে। সেখানে দেওয়া চালের ওজন ছিল ৯ কেজি ৭০০ শ গ্রাম।
বিলাশবাড়ী ইউপির শিবপুর হাইস্কুলে চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান কেটু ইউপি সদস্য বৃন্দ ও ইউপি সচিব। তবে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চাল বিতরণ শেষের পথে।
বিলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান কেটু দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে বলেন, আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ কেজি ভিজিএফ কার্ডের চাল খেটে মানুষকে বিতরণ করেছি আমার এখানে কোনো অনিময় করা হয় নি। সাক্ষাতকারে ২-১ জনকে দেওয়া চালের ওজন ছিল ৯ কেজি ৬০০ শ গ্রাম।
বালুভরা ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ১০ কেজি ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আল এমরান সহ ইউপি সদস্য বৃন্দ ও ইউপি সচিব। সেখানে ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বদলগাছি জনস্বাস্থ্যের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোয়াজ্জেম। তবে সেখানে বেশ কিছু অনিময় উপলব্ধি করা যায়।
স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ বালুভরা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন কালে সরেজমিনে দেখেন যে, সাংবাদিক গণ পরিষদে প্রবেশ করার সাথে ট্যাগ অফিসার পরিষদ ত্যাগ করেন এবং সাংবাদিক গণ থাকা পর্যন্ত তিনি পরিষদে ফিরে আসেন নি।
সেখানে চাল ওজন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, বর্তমান ওয়েট মেশিন বাদ দিয়ে পূর্বের ওজন মাপক যন্ত্র দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে চাল ওজন করা হচ্ছে এবং তা ডিজিটাল ওয়েট মেশিনে ৭কেজি৫ শ গ্রাম থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত ওজন আসছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ আল এমরান কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক বাংলার আলো নিউজকে জানান, এতলোক কে চাল বিতরণ করতে গেলে ওজনে একটু কম হতেই পারে। এ বিষয়ে ট্রাগ অফিসার এ-র সাথে স্থানীয় সাংবাদিক কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়া যায় নি।
তথ্য সংগ্রহ কালে আরও জানা যায়, উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ইউসুফ (১৫) পিতা আইয়ুব ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম পচার ওয়ার্ড বাসিন্দা সে পর পর দুইবারে ৪ টি কার্ডের চাল মোট ৩৫ কেজি চাল উত্তোলন করেন এবং এ বিষয়ে তার সাক্ষাতকার গ্রহন করার সময় ঐ ইউপির সদস্য মোঃ রেজাউল কিছু গ্রাম পুলিশ সাংবাদিক গণের সাথে অশ্লীল আচরণ করেন। এ বিষয়ে ট্রাগ অফিসার এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি।
