পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন বলে দলটি দাবি করেছে। নিহত ব্যক্তি বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে জানিয়েছে দলটি। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে।
পরে দলটি গণ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
পঞ্চগড় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সংগঠনিক সম্পাদক হাবিব আল আমিন ফেরদৌস বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করেছে। পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে আমাদের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসংখ্য নেতাকর্মীকেও পুলিশ আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, আব্দুর রশিদ আরেফিন পুলিশের মারধর ও রবার বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে আনা হলে তিনি মারা যান।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. তৌফিক আহমেদ বলেন, একজনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কিভাবে মারা গেছেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।