মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেড়িবাধ নির্মানকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের হামলায় ৩ চায়না নাগরিকসহ তাদের ৯ জন ও স্থানীয় ৫জন সহ মোট ১৪ জন আহত হয়েছে। আহত অন্যরা চায়না প্রোজেক্টে কর্মরত শ্রমিক বলে জানা গেছে। হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছেন।
আজ রবিবার (০১ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাদুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জেলার ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা চায়না নাগরিকরা হলো- মি. মাজোমো (৩১), স্যাব ডিওয় (২৭), এ ছাড়া স্থানীয় আহতরা হলেন- রুহুল আমীন (৩০), নজরুল শরীফ (২৫), শাহাদাৎ হোসেন (৩০), আজিজ মিয়া (৫৫), সোহাগ শরীফ (২১)। ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি জানান, আহত অবস্থায় ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ৩ জন চায়না নাগরিক ও ৬ জন বাঙ্গালি জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২ জন চায়না নাগরিকের হাতে ও পায়ে এবং ১ জনের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। মো. বাহাদুর উকিল নামে একজন বাঙ্গালী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, বেড়িবাধ নির্মানের জন্য রবিবার সকালে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে এলাকাবাসী তাতে বাঁধা দেয়। এ সময় চায়না প্রোজক্টের শ্রমিকদের সাথে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ জন চায়না নাগরিক ও ৬ জন বাঙ্গালী শ্রমিক আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় বাদুরা গ্রামের এজেওর আলীর ছেলে টুকু (৪৮), বাদশা শরীফের ছেলে রায়হান শরীফ (২৮), আনোয়ার শরীফের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) এ তিনজনকে আটক করেছেন। প্রকল্পের পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। জানা গেছে, নির্মান প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও এলাকার চাহিদাকে প্রাধান্য না দিয়ে বেড়িবাধ নির্মান করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্দ হয়ে কাজে বাঁধা দেয়। স্থানীয় বাদুরা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, ওই বেঁড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় সোবাহান শরীফ মাদরাসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাসানিয়া দাখল মাদরাসা য়েছে। বেঁড়িবাধে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন। এতে প্রকল্পের লোকজন স্থানীয়দের উপর হামলা করেন। ওই হামলায় স্থানীয় ৫জন আহত হয়েছেন।