পেকুয়া উপজেলার আওতাধীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শিলখালী ইউনিয়ন শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত করায় সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী।

জানা যায়, গতকাল ২২ শে এপ্রিল শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনে তিনজন সভাপতি পদে নির্বাচন করেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আসাদুজামান চৌধুরী নির্বাচিত হয়। তাকে নির্বাচিত করায় তিনি সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

আসাদুজামান বলেন, শিলখালীর আওয়ামীলীগ আমাকে মুল্যায়ন করেছেন। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সবসময় নিষ্ঠার সাথে পালন করবো জাতির পিতার আদর্শে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন মিশন বাস্তবায়নে শিলখালী আওয়ামীলীগকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমি বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও চকরিয়া পেকুয়ার গণমানুণের প্রিয় নেতা জাফর আলম এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি এইছাড়াও শিলখালী ইউনিয়ন ওয়ার্ডসহ সকল আওয়ামী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 কিন্ত তিনি সম্প্রতি নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বার্থবাদি মহলের নানান অপপ্রচারের বিষয়ে বলেন, আমি এসব অপপ্রচারে নুন্যতম বিচলিত নই, কারন এরা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার শুরু করেছে, তাদের মুল উদ্দেশ্য হলো আমার অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করা ও শিলখালী আওয়ামীলীগের উথানকে প্রতিহত করা।

তারা চায় শিলখালী আওয়ামীলীগ আগের ন্যায় বিএনপি জামায়াত নির্ভর হোক এবং বিএনপির সাথে আতাঁত  করে চলুক। তিনি আরো বলেন, আমি জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতি করি, এখানে কারো অপপ্রচার আমাকে রুখে দিতে পারবেনা কারণ শিলখালীর সকল আওয়ামীলীগ পরিবারের প্রবীণ ও নবীণ সন্তানেরা আমার সাথে আছে, আমি তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।

এদিকে পরিবার সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৯১ থেকে ৯৪ পর্যন্ত মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য জনাব আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে চ্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন শেষে জিবীকার তাগিদে বেশিরভাগ সময় ঢাকাও চ্টগ্রামে অবস্থান করতেন। ২০১৪ সালে স্থায়ীভাবে বসবাস করার লক্ষে এলাকায় আসার পর ২০১৫ সালে মার্চে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহন করেন।

সে থেকে তিনি স্থানীয়ও জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে জোরালো ভুমিকা রাখেন। তারই সুবাধে কাউন্সিলরগণ তাকে নির্বাচিত করেছেন।  তার পরিবার শতভাগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ। তার ভাই ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরীও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোঅপশন কাউন্সিলর এবং বৃহত্তর বারবাকিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান। তার পিতা ডাক্তার মুনিরুজ্জামান চৌধুরীও ছিলেন জাতির পিতার আদর্শের অনুরাগী। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় শিলখালীর আপামর মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন। তার পিতা শিলখালীতে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন, তার পিতার নামে শিলখালীতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সর্বোপরি তিনি ও তার পুরো পরিবার পূর্ব থেকে আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। কাজেই তিনি শিলখালী আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওইসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

এই ছাড়াও এ বিষয়ে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিদুয়ান নাজিরী বলেন, আমার পরবর্তী সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী বারবাকিয়া ইউনিয়নে স্থানান্তরিত হওয়ার পর ইউনিয়ন আ”লীগ  লজ্ঝাজনকভাবে বিএনপি জামাত নির্ভর হয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু আদর্শের অনুপ্রানিত নেতাকর্মীরা যখন পুন:বিমর্ষ অবস্থায় ঠিক তখনি আসাদুজামান চৌং নেতা কর্মীদের আশার দিশায় পরিনত হয়। সেই থেকে আমরা প্রবীণ নেতৃবৃন্ধরাও আসাদুজামানকে সমর্থন ও সহযোগীতা প্রদান করে আসছি। আমরা শতভাগ আশাবাদী আসাদুজামানের নেতৃত্বে স্থানীয় আ’লীগ বিএনপি জামাতকে যথাযথ মোকাবেলা করতে পারবে। ইউনিয়ন আ’লীগ জামাত বিএনপি নির্ভরশীলতা মুক্ত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবীত হবে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে