বিশেষ প্রতিনিধিঃ গৌরনদীতে চাঁদাবাজদের দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় অতুর্কিত হামলার স্বীকার হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে বিপাকে পরে বসত ভিটা ছেরে অন্যত্র দিন কাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের পূর্বচন্দ্রহার গ্রামের মৃত খলিল হাওলাদারের পুত্র রেজানুর রহমান রাজিবদ ও তার শুক্কুর আলির বেলায়। মামলার বাদী রেজানুর রাজিব বাটাজোর ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক।
মামলা ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২৯ আগষ্ট ২০২৪ ইং মামলার বাদী মোঃ রেজানুর রহমান গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে বিআরটিসি বাস কাউন্টার পাওয়ার জন্য বরিশাল বিআরটিসি বাস ম্যানেজার অপারেশন বরাবরে দরখাস্ত দিলে মামলার বাদী রেজানুর রাজিবের নামে কাউন্টারটি বরাদ্দ দেন বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।
সে মতে রাজিব কাউন্টারটি বুঝে নিতে বাটাজোর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করলে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ও তার লোকজনকে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজিব এ কথার কর্নপাত না করে তার একই গ্রামের কালু হাওলাদারের পুত্র চাচা সম্পর্কে শুক্কুরকে কাউন্টারে বসিয়ে ব্যানার বানাতে গৌরনদীতে যান রাজিব হাওলাদার।
এ সময় বাবুলের নেতৃত্বে মোঃ সলেমান হাওলাদার ৪২, মিসুসৃধা ৩৮, কাওসার হাওলাদার ৪০, মেহেদী হাওলাদার ২৬, রনি সরদার ৩০ এর সাথে দাবিকৃত চাঁদার টাকা নিয়ে বাকবিতান্ডা জরিয়ে শুক্কুরকে ধারালো অন্ত্র দাও শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। ঘটনা স্হানে শুক্কুর অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেে স্হানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন শুক্কুরকে।
এ ঘটনায় কাউন্টার মালিক রেজানুর রহমান রাজিব বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আমলি আদালতে উপরোক্ত ৬ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে বিপাকে পরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী রেজানুর রাজিব। (মামলা নং ৪০৬/২৪ ইং)।
এবং মামলা উত্তোলনের অব্যহত হুমকির মুখে মামলার বাদী রেজানুর রাজিব বাড়ি ঘর ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি (রাজিব)।
এ বিষয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এস আই মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলার তদন্ত চলছে আসামীরা দোষি প্রমানিত হলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অপর দিকে আসামীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সর্ব মহলের সহোযোগিতা ক্মমনা করেছেন মামলার বাদী রেজানুর রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন।