কে এম সোহেব জুয়েলঃ অবশেষে গৌরনদীর বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সিনিয়র শিক্ষক কনিকা মুখার্জি অলিখিত সাদা কাগজে সু- কৌশল অবলম্বন করে সই- স্বাক্ষর দিয়ে পদত্যাগ পত্র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার রহস্য বেরিয়ে আসায় শিক্ষার্থী ও স্হানীয় সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা গেছে।
আর এর রহস্য উদঘাটনে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের টেবিলে স্হানীয় সচেতন মহলের ভীর লক্ষ করেছেন গণমাধ্যম কর্মি।
ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কনিকা মুখার্জির বেলায়।
সুত্রমতে, স্হানীয় ও ওই বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, নবব শ্রেনীতে ক্লাশ নিতে গিয়ে কনিকা মুখার্জি এক ছাত্রকে ক্লাশে বিদ্যাশিক্ষায় অমনোযোগী দেখতে পেয়ে আবু ছাইয়েদের মত সন্ত্রাস হবে নাকি এমন কটুক্তি করেছেন শিক্ষক কনিকা মুখার্জি।
তার এই অপ্রসাঙ্গিক রাষ্ট্র বিরোধী কথায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারি ধারাবাহিকতায় তৎখনাত শ্রেনী কক্ষ বর্জন করে বাহিরে অবস্থান নেন ওই বিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনা ছরিয়ে পরলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষ শিক্ষক কনিকা মুখার্জি দুষি প্রমানিত হলেে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্হা নিবেন বলে শিক্ষার্থীদের আস্বস্থ করে উত্তপ্ত পরিবেশকে শান্ত করেন।
তারি ধারাবাহিকতায় ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয় প্রবেশে শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ কালে শিক্ষিকা কনিকা মুখার্জির পদত্যাগের বিষয় উঠে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের মাঝে আইনি প্রকৃয়ার কথা তুলে ধরে সাময়িক সময় লাগার কথা বলেন, উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাশ বর্জন করে শিক্ষিকা কনিকা মুখার্জির দ্রুত পদত্যাগে বিক্ষোভে ফেটে পরেন শিক্ষার্থীরা। এমনটিই জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহীম।
অবশেষে স্কুল কর্তৃ পক্ষ কোন উপাঅন্ত না পেয়ে জরুরী ভিত্তিতে কনিকা মুখার্জিকে বিদ্যালয় হাজির করে তার পদত্যাগের বিষয় তুলে ধরেন সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুখ হোসেন মোল্লা সহ সংশ্লিষ্টরা।
তারি ধারাবাহিকতায় শিক্ষিকা কনিকা মুখার্জি ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ২০২৪ ইং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহীমের হাতে সম্পুর্ন অলেখিত সাদা কাগজে’ পদত্যাগ করিলাম লিখে সই স্বাক্ষর করেন শিক্ষক কনিকা মুখার্জি।
ওই পদত্যাগ পত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে স্হানীয় সচেতন মহল ও সংবাদকর্মিরা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম বলেন, এটা কতোটুকু যৌক্তিক হবে উর্ধতন কর্তীপক্ষই ভাল বলতে পারবেন। বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্তীপক্ষকে জানানো হয়েছে দেখা যাক কি ব্যাবস্হা নেন তারা।
অপরদিকে গৌরনদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে পদত্যাগ পত্রের বিষয় ফোনে কথা হলে শিক্ষা অফিসার আবদুল জলিল বলেন, পদত্যাগ পত্র এখনো হাতে এসে পৌছায় নাই তবে হাতে পেলে বলা যাবে কি ভাবে পদত্যাগ পত্র লিখেছেন, দেখে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্হা নেয়া হবে।