বাংলাদেশ ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭ সিরাজগঞ্জে পৃথক তিনটি অভিযানে ফিন্সিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন গ্রেফতার। নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে- মাওলানা শাহজাহান মুলাদী ইউএনও-এর বিরুদ্ধে দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকের মিথ্যা মামলা দায়ের কুবিতে প্রথমবারের মত ইদে মিলাদুন্নবী পালিত উলিপুরে হিফজুল কোরআন কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন ও ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা ব্রাহ্মণপাড়া মৎস্য চাষিরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
আমি ৩০ টি পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করি। এর মধ্যে ২০ টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। পুকুরের চারদিকে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করেছি তার মধ্যে ১০ টি রক্ষা করতে পেরেছি,২০ টি পুকুরের মাছ বন্যায় নিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি শেষ হয়ে গেছি। ঋণ করে মাছ চাষ করেছিলাম। এখন কি করে ঋণ পরিশোধ করব?

এভাবে নিজের কষ্টের কথা গুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া গ্রামের মৃত আবদুল রাজ্জাকের ছেলে মোঃ মোরশেদ আলম।

তিনি আরও বলেন, আমার মূল ব্যবসা মাছ চাষ।৩৫ বছর ধরে এ ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমার পুকুরগুলো হলো নাগাইশ, পশ্চিম বাগড়া,মধ্য বাগড়া ও দক্ষিণ বাগড়া অঞ্চলে। আর এই অঞ্চলে বন্যার পানিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এপর্যন্ত যতবার বন্যা হয়েছে, এত ক্ষতি কখনো হয়নি।

এ ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে না আমার। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, নিজের সংসার আর ঋণের টাকা কিভাবে দেব সেই দুশ্চিন্তায় আছি।

অন্য আরেক মাছ চাষী উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের কালামকান্দি গ্রামের মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৮ টি পুকুরে মাছ চাষ করেছি। ৪ টি লিজ নেওয়া এবং ৪ টি নিজের। সবগুলো পুকুরে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

প্রতিটি পুকুরে বাকিতে খাদ্য ও ঋণ করে মাছ চাষ করে আসছিলাম। এখন মাছ বিক্রির সময় হয়ে আসছিল। মাছ বিক্রি করে সব ঋণ পরিশোধ করে দিতাম। বন্যায় আমার সব স্বপ্ন ভেসে নিয়ে গেল। দোকানদাররা খাদ্যের বাকি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, আর ঋণের টাকার জন্য বাড়িতে এসে লোক বসে থাকে। আমি এখন কি করব নিজে বুঝে উঠতে পারছি না

সরকার যদি আমাদেরকে প্রণোদনা এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা না করে তাহলে আমরা পথে বসে যেতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা যেন আবার ব্যবসাটা পুনরায় ভালোভাবে করতে পারি তার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানাই।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা ব্রাহ্মণপাড়া মৎস্য চাষিরা

আপডেট সময় ১০:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
আমি ৩০ টি পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করি। এর মধ্যে ২০ টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। পুকুরের চারদিকে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করেছি তার মধ্যে ১০ টি রক্ষা করতে পেরেছি,২০ টি পুকুরের মাছ বন্যায় নিয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমি শেষ হয়ে গেছি। ঋণ করে মাছ চাষ করেছিলাম। এখন কি করে ঋণ পরিশোধ করব?

এভাবে নিজের কষ্টের কথা গুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া গ্রামের মৃত আবদুল রাজ্জাকের ছেলে মোঃ মোরশেদ আলম।

তিনি আরও বলেন, আমার মূল ব্যবসা মাছ চাষ।৩৫ বছর ধরে এ ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমার পুকুরগুলো হলো নাগাইশ, পশ্চিম বাগড়া,মধ্য বাগড়া ও দক্ষিণ বাগড়া অঞ্চলে। আর এই অঞ্চলে বন্যার পানিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এপর্যন্ত যতবার বন্যা হয়েছে, এত ক্ষতি কখনো হয়নি।

এ ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটছে না আমার। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসারে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, নিজের সংসার আর ঋণের টাকা কিভাবে দেব সেই দুশ্চিন্তায় আছি।

অন্য আরেক মাছ চাষী উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের কালামকান্দি গ্রামের মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৮ টি পুকুরে মাছ চাষ করেছি। ৪ টি লিজ নেওয়া এবং ৪ টি নিজের। সবগুলো পুকুরে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

প্রতিটি পুকুরে বাকিতে খাদ্য ও ঋণ করে মাছ চাষ করে আসছিলাম। এখন মাছ বিক্রির সময় হয়ে আসছিল। মাছ বিক্রি করে সব ঋণ পরিশোধ করে দিতাম। বন্যায় আমার সব স্বপ্ন ভেসে নিয়ে গেল। দোকানদাররা খাদ্যের বাকি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে, আর ঋণের টাকার জন্য বাড়িতে এসে লোক বসে থাকে। আমি এখন কি করব নিজে বুঝে উঠতে পারছি না

সরকার যদি আমাদেরকে প্রণোদনা এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা না করে তাহলে আমরা পথে বসে যেতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমরা যেন আবার ব্যবসাটা পুনরায় ভালোভাবে করতে পারি তার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানাই।