মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু বদলগাছি উপজেলা প্রতিনিধি, (নওগাঁ)
নওগাঁর বদলগাছিতে জোরপূর্বক পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ে অতঃপর যৌতুকের দায়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, স্বামী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা সদরের পাহাড়পুর ইউপির মোঃ রাসেল রানা (২০) পিতাঃ মোঃ আতোয়ার হোসেন, মাতাঃ মোছাঃ আয়না বেগম সাং- মালঞ্চা, থানাঃ বদলগাছী, জেলাঃ নওগাঁ। রাসেল রানার সহিত মোছাঃ ইশরাত জাহান (১৭) এর গত ৩/৪ বছর পূর্বে পরিবারের অমতে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে সে যৌতুকের দায়ে বিভিন্ন সময় মোছাঃ ইশরাত জাহান (১৭) কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এমতাবস্থায় ভূক্তোভোগী মোছাঃ ইশরাত জাহান (১৭) এর পিতামোঃ ইমরান হোসেন, মাতামোছাঃ মাছুমা আক্তার সাং পাহাড়পুর, ইউপিঃ পাহাড়পুর, থানাঃ বদলগাছী, জেলাঃ নওগাঁ তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মোঃ রাসেল রানা (২০) কে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু কিছু দিন পর মোঃ রাসেল রানা (২০) মোছাঃ ইশরাত জাহান (১৭) কে ফুসলিয়ে এবং সুকৌশলে আবারও বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে যায় আবারও একই ভাবে নির্যাতন মোঃ রাসেল রানা এবং তার মা মোছাঃ আয়না বেগম।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত রবিবার (৮) জুলাই রাতে যৌতুকের জন্য ৫,০০০০০/- টাকার চাপ সৃষ্টি করে কিন্তু ইশরাত জাহান তার কথা না মানলে এবং যৌতুক এর টাকা দিতে অস্বীকার করিলে তার তলপেটে লাথি মেরে বাড়ি হইতে এক কাপড়ে বাহির করে দেয়। লোকমারফত তার মা মাসুদা আকতার জানতে পারেন যে, তার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে মোসাঃ ইশরাত জাহান জামালগঞ্জ রেলষ্টেশনে আত্মহত্যার উদ্দেশ্য গিয়েছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তার মা একটি অপরিচিত ভ্যানযোগ জামালগঞ্জ রেলষ্টেশনে যান এবং মেয়েকে ফিরে নিয়ে এসে বদলগাছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
উল্লেখ যে, মোঃ রাসেল রানা (২০) পিতাঃ মোঃ আতোয়ার হোসেন, মাতাঃ মোছাঃ আয়না বেগম তার কুপরামর্শে গত মে মাসে যৌতুকের দায়ে ইশরাত জাহান কে মারধর করে এবং হাতে কয়েল ও বিড়ির আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেয় যার সুস্পষ্ট প্রমাণ ইশরাত জাহানের ডান হাতে রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাসেলের কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, রাসেল একজন মাদকাসক্ত এবং জুয়ারি সে ইতোঃপূর্বে বেশ কয়েকবার মাদক নিরাময় কেন্দ্র ছিলেন। সে টাকার জন্য প্রায় তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন করতো।
এ বিষয়ে ভূক্তোভোগী ইশরাত জাহান বলেন, রাসেলের সাথে গত ৩/৪ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে হয়। কিন্তু ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেনেও সে যৌতুকের দায়ে আমাকে প্রায় নির্যাতন করে আমি এর সুষ্ঠু প্রতিকার ও বিচার চায়।
উক্ত বিষয়ে রাসেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কিছুই আমার স্ত্রী আমার বাড়িতে আছে বলে ফোনটি কেটে দেন।