উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া,বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের কচুয়ায় এক গৃহবধূ সন্ত্রাসী কতৃক মারধরের শিকার হয়েছে। ৪ সন্তানের জননী ঐ গৃহবধূর বাড়ি মঘিয়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক এলাকার চরসোনাকুর গ্রামে।তার নাম মিনারা বেগম তিনি সোহরাব হোসেনের স্ত্রী।
এ বিষয়ে জানাজায়, গত ২৪ আগস্ট কচুয়ায় দ্যা ম্যাসেন্জার ইসলামিক একাডেমিতে তার ছেলেকে রেখে ফেরার পথে কচুয়া সদর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে রবিউল শেখ (৩০) সকাল ১০ দিকে কেরানি বাড়ি মসজিদ মোড়ে এক হাতে হাতুড়ি ও অন্যহাতে ছুরি নিয়ে তার গতিরোধ করে এবং তার উপর আক্রমণ চালায়।এসময় তার মাথার উপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং হাত ও পায়ে ছুরি দিয়ে জখম করে এতে তিনি গুরুতর আহত হয়।পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় ঐ গৃহবধূকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত মিনারা বেগম (৩৪) বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। মারধর ছাড়াও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে এ সময় তার গলার স্বর্নের চেন, কানের দুল, হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও তার কাছে থাকা নগদ ২ হাজার টাকা নিয়ে আক্রমণকারী পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আহত মিনারা বেগম বলেন, পূর্ব শত্রুতা ছাড়াও আমাকে একাধিক বার ফোনে বিরক্ত করতো যখন আমি তার পরিচয় জানতে পারি তখন আমাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দেওয়া শুরু করে।আমি তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয় ও টাকা দাবি করে একি সাথে আমার বাড়ি ঘর পুরিয়ে দেওয়ার ও হুমকি দেয়।যার ধারাবাহিকতায় আমার উপর এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।আরো জানাযায় হামলা কারি রবিউল শেখ সম্পর্কে মিনারা বেগমের ভাসুরজি জামাই হয়।
ঘটনা স্থালে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী তুহিন খান বলেন, ঘটনার সময় আমি পাশ্ববর্তী মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালন করছিলাম হটাৎ চোর-চোর বলে চিতকার চেচামেচি সুনতে পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখতে পাই একজন লোক দৌড়ে ঘটনা স্থল থেকে পালাচ্ছে আমি উপস্থিত লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম চোর কৈ এসময় দেখতে পাই আমার এক মাদ্রাসার অভিভাবকে আহত অবস্থায় কয়েকজন মহিলা রাস্তার উপর থেকে উঠাচ্ছে।লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি কোন একজন তার হাত,পা,মাথা সহ বিভিন্ন যায়গায় ক্ষত করেছে।
ঘটনা স্থলে আক্রমণকারী একজোড়া স্লিপার জুতা ও হাতুড়ির ডাণ্ডি ফেলে গেছে বলেন তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল শেখের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।ঘটনার পর থেকে তিনি পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।