রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের পশ্চিম মলুহার ও বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারেরপাড় সংযোগ খালে বাঁশের সাঁকো যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের দুই গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বিশারকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব উমারেপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উমারেরপাড়-মলুহার নেছারিয়া নূরাণী হাফেজি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে ও বাড়ি ফিরতে হয়।
এ কারনে শিশু সন্তানদের স্কুল ও মাদ্রাসায় পাঠিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। এসব শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সাঁতার জানে না। ফলে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে নিচে খালে পড়ে গেলে পানিতে ডুবে গিয়ে তাদের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এ সাঁকো পেড়িয়ে প্রসূতিসহ নারীদের স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এবং বৃদ্ধজন মুসল্লীদের পূর্ব উমারের পাড় ও মলুহার বায়তুল আমান মসজিদে সালাত আদায় ও স্থানীয় তালতলা বাজারে কেনাকাটা করতে যেতে ও বাড়ি ফিরতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলাকাবাসী স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার আবেদন-নিবেদন করলেও ‘মৃত্যু ফাঁদ’ এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। তারা এ ব্যপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুকের সৃদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে ইলুহার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি তার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের অধিকাংশ সংযোগ খালে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন।
তার দাবি ঝুঁকিপূর্ন এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে বিশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যেন পাকা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, দুই ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাঘব করতে হবে। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থলে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।