বাংলাদেশ ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ফুলবাড়ীর পল্লীতে বাদশা মিয়া হত্যার রহস্য চার বছরেও উদঘাটন করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি বাসষ্ট্যান্ড বা যাত্রী ছাউনি ফুলবাড়ীতে বাস টার্মিনাল না থাকায় জনদূর্ভোগ যোগদানের পর আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে গেলেন কুবি ভিসি কালকিনিতে এসিআই মটরস বার্ষিক সার্ভিস ও মত বিনিময় সভা ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু গফরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। তানোর বিলকুমারি বিল থেকে ভেসে আসা অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার শামসুন নাহার হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মনি, সদস্য সচিব লিলি ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে বিএসএফ সদস্য অনুপ্রবেশ করে নলছিটিতে নিয়োগ বানিজ্য দুর্নীতি আড়াল করতেই রেজুলেশন খাতা ছিনতাই করার চেস্টা সাবেক প্রধান শিক্ষকের। একই দিনে ব্রাহ্মণপাড়ার ২ জন খুন গবেষণা প্রকল্পে রাবির সাথে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের চুক্তি কুবি’র সিএসই সোসাইটির নেতৃত্বে সবুজ সাকিব শাহজাদপুরে পুনরায় মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত নাটোরের বড়াইগ্রামে ধর্ষন হত্যা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন।

হবিগঞ্জের ডিবির সাবেক ওসি চিকিৎসক স্ত্রীর মামলায় কারাগারে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় হবিগঞ্জের ডিবির সাবেক ওসি মানিকুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত, গত সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক) মিজানুর রহমান ভুইয়া এই আদেশ দেন। আসামিপক্ষে ছিলেন, আইনজীবী এ কে এম শমিউল আলম।
আদালতের পিপি রাশিদা সঈদা খানম জানান, ঘটনার সময় তিনি হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও পরবর্তীতে তিনি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন মানিকুল। তিনি গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান, মামলার বিবরণে জানা যায়, মানিকুল ইসলাম মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রবাসী এক নারী চিকিৎসককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী কানাডায় চলে যান পরবর্তী সময়ে মানিকুল কানাডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দেন। এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে মানিকুলের কানাডার ভিসার ব্যবস্থা করেন বাদী।
পরে মানিকুল কানাডায় যেতে অস্বীকৃতি জানান, এবং গুলশান থানায় তার পোস্টিংয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা চান। অর্থ দিতে বাদী অপারগতা জানালে মানিকুল তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ছাড়াও মানিকুলের স্ত্রী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুন তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে এলে তাকে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মানিকুল নিজের সঙ্গে আনা একটি কালো রঙের গাড়িতে তোলেন। গাড়ি বিমানবন্দর থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মানিকুল আবারও তার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মানিকুল তার হাতে থাকা ওয়্যারলেস ও মোবাইল দিয়ে বাদীকে নাকে ও মুখে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন এবং পায়ের বুট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ডান পায়ের সব আঙুল থেঁতলে দেন। এতে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ও কানের পর্দা ফেটে যায়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে মানিকুল তার পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার এবং পাঁচ হাজার কানাডিয়ান ডলার ছিনিয়ে নেন। গাড়িটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীগঞ্জ থানার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি হিরাগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে মানিকুল আবার তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে ওই সময় তার চিৎকারে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি তাদের।
গাড়িটিকে আটকায় এ সময় মানিকুল বাদীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। তখন উপস্থিত স্থানীয় জনতা বাদীকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু মানিকুল হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) পদে কর্মরত থাকায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীর পল্লীতে বাদশা মিয়া হত্যার রহস্য চার বছরেও উদঘাটন করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

হবিগঞ্জের ডিবির সাবেক ওসি চিকিৎসক স্ত্রীর মামলায় কারাগারে

আপডেট সময় ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় হবিগঞ্জের ডিবির সাবেক ওসি মানিকুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত, গত সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক) মিজানুর রহমান ভুইয়া এই আদেশ দেন। আসামিপক্ষে ছিলেন, আইনজীবী এ কে এম শমিউল আলম।
আদালতের পিপি রাশিদা সঈদা খানম জানান, ঘটনার সময় তিনি হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও পরবর্তীতে তিনি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন মানিকুল। তিনি গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান, মামলার বিবরণে জানা যায়, মানিকুল ইসলাম মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রবাসী এক নারী চিকিৎসককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার স্ত্রী কানাডায় চলে যান পরবর্তী সময়ে মানিকুল কানাডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দেন। এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে মানিকুলের কানাডার ভিসার ব্যবস্থা করেন বাদী।
পরে মানিকুল কানাডায় যেতে অস্বীকৃতি জানান, এবং গুলশান থানায় তার পোস্টিংয়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা চান। অর্থ দিতে বাদী অপারগতা জানালে মানিকুল তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ ছাড়াও মানিকুলের স্ত্রী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুন তিনি কানাডা থেকে বাংলাদেশে এলে তাকে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মানিকুল নিজের সঙ্গে আনা একটি কালো রঙের গাড়িতে তোলেন। গাড়ি বিমানবন্দর থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মানিকুল আবারও তার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মানিকুল তার হাতে থাকা ওয়্যারলেস ও মোবাইল দিয়ে বাদীকে নাকে ও মুখে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন এবং পায়ের বুট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে ডান পায়ের সব আঙুল থেঁতলে দেন। এতে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ও কানের পর্দা ফেটে যায়। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে মানিকুল তার পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার এবং পাঁচ হাজার কানাডিয়ান ডলার ছিনিয়ে নেন। গাড়িটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবীগঞ্জ থানার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি হিরাগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে মানিকুল আবার তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে ওই সময় তার চিৎকারে পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি তাদের।
গাড়িটিকে আটকায় এ সময় মানিকুল বাদীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। তখন উপস্থিত স্থানীয় জনতা বাদীকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু মানিকুল হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) পদে কর্মরত থাকায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে।