বাংলাদেশ ০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডের উন্নয়ন চাই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২০৭২ বার পড়া হয়েছে
মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডের উন্নয়ন চাই
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বিদ্যমান বেতন গ্রেড উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকল পর্যায়ে কর্মরত গণ কর্মচারীদের পদমর্যাদা/বেতন গ্রেড উন্নীত হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ নেই!
যদিও আমরা খুবই আনন্দিত এটা জেনে যে, এরই মধ্যে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন কর্মরত কর্মচারী ভাই -বোনদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশান/মর্যাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয়েছে/হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন সুদূরপ্রসারী চিন্তাকে আমরা স্বাগত জানাই।
আমাদের জানামতে তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) রাষ্ট্রের গণ কর্মচারীদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশনের/মর্যাদা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন বেশ কিছুদিন পূর্বে। সরকারের বিগত মেয়াদেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর ও পরিদপ্তর সমূহে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীগণের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন (উন্নয়ন) ঘটছে। এটা নি নিঃসন্দেহে আশার দিক। কেননা, রাষ্ট্র ইতোমধ্যে তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার স্বপ্ন দেখছেন। যা’ অবশ্যই সম্ভব বলে আমরাও বিশ্বাস করি।
তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন থাকা সত্ত্বেও সেই অনুযায়ী কেবলমাত্র সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা /বিদ্যমান পদের পদনাম পরিবর্তন এবং দীর্ঘ দিনে ধরে বিদ্যমান বেতন গ্রেডের উন্নয়ন হচ্ছে না কেন?
প্রশ্ন হচ্ছে: শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও গ্ৰেড উন্নয়নে বাঁধা কোথায় এবং কারা?!
আমরা দায়িত্বশীল সোর্স থেকে জেনে আশ্চর্য হয়েছি যে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবিত (এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয়) একাডেমিক পদসোপান দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হওয়ার পর সেটি নিয়ে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত পদসোপানের ফাইলটি নাকি হারিয়ে গেছে! কিন্তু কিভাবে? কারা করেছেন আর কেন ই বা এমন করেছেন? যারা এমনটি করেছেন, আমাদের ঠকিয়ে বা বঞ্চিত করে তাদের লাভ ইন বা কী? এই প্রশ্নগুলো বারবার আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!
আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুশাসন যেখানে সকল গণ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা, সেখানে সরকারি মাধ্যমিক সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না কেন?!
আবার, 
একই মন্ত্রণালয়ের অধীন এমনকি একই অধিদপ্তরের অধীন কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক তাদের পদমর্যাদা এবং বিদ্যমান বেতন গ্রেডের উন্নয়নের প্রক্রিয়া যেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ে( কিছু পদে ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে) সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে অদ্যাবধি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন?
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ কারা মোকাবেলা করছেন? আর কারা ই বা বাস্তবায়ন করবেন এই নতুন কারিকুলাম? কারা জাতির ভবিষ্যৎ (আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের) আধুনিক মানের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টারত? এই বিশাল দায়িত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ মাউশি অধিদপ্তর কি কিছু সংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর নন শিক্ষক কর্মচারীদের দিয়েই বাস্তবায়ন করতে চায়? অবশ্য যদি তারা তা করতে পারেন; তবে আমাদের কোনো কথা নেই! আর যদি রাষ্ট্র তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আমাদের অধিদপ্তর এবং রাষ্ট্রের সচেতন সুধীমহল মনে করেন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষককে প্রয়োজন হবে এবং শুধু প্রয়োজন হবে না; শিক্ষকগণই এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রাণ ভোমরার ভূমিকা পালন করবেন, যা’ খুবই স্বাভাবিক। তবে অবশ্যই শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক মর্যাদা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করি না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত সকল পর্যায়ের গণ কর্মচারীদের জন্য দেয়া সুযোগের সমান (বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন/ মর্যাদা বৃদ্ধি) সুযোগ-সুবিধা (শতভাগ) পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি। 
অবিলম্বে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সমগ্রেড ও নিম্নগ্রেডের অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের পদের আপগ্রেডেশন করে নবম এবং তদূর্ধ্ব পদে তাদের মর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করলেও ( উল্লেখ্য, এখানে আপনাদেরকে অবগত করানো জরুরী যে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড এর বিষয়টি গত ৫০ বছরে কি অবস্থায় চলছে! আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের প্রথম পে-স্কেল গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক / পিটিআই ইন্সট্রাকটর (তখন পিটিআই ইন্সট্রাকটর ও সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এই দু’টি একই পদমর্যাদার ছিল এবং অভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হতো) পদটি তৎকালীন সময়ে ছিল ষষ্ঠ গ্রেডভুক্ত পদ। (উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের পে-স্কেলে গ্রেড সংখ্যা ছিল ১০টি।) সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সমগ্রেডভুক্ত আরও ছিল থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব রেজিস্ট্রার পদসমূহ।
আপনারা জেনে আরও অবাক হবেন যে, ১৯৭৭ সালে গঠিত পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি ১০ম গ্রেডভুক্ত করা হয় এবং পূর্বের সমগ্রেড ভুক্ত অন্যান্য পদসমূহ যেমন- থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব রেজিস্ট্রার পদকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে ১১তম গ্রেডভুক্ত করা হয়। আবার, ১৯৮৫ সালের পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং পূর্বের ১১তম গ্রেডের সাব-রেজিস্ট্রার পদটিকে সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদের সমমান (১০ম গ্রেডভুক্ত) করা হয়। এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটি যথারীতি ১১তম গ্রেডে ই থাকে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটিকে ১১তম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
বড়ই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে ১৯৯১ সালে গঠিত পে-স্কেলে। এখানে এসে সহকারী শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে। কিন্তু পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি (যা সহকারী শিক্ষকদের সমগ্ৰেডের এবং পারস্পরিক বদলিযোগ্য পদ ছিল এবং একই সাথে অভিন্ন নিয়োগে নিয়োগ পেত) প্রজ্ঞাপন নং- প্রশ- ১/১৫(২)/৪১৯৪/২৪ বলে ০৬/০১/১৯৯৬ ইং তারিখে ৯ম গ্রেডভুক্ত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং পূর্বের ১১ তম গ্রেডের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটিকে একধাপ উপরে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয় এবং একই পে-স্কেল বর্ষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটিকে ১৯/১২/১৯৯৪ ইংরেজি তারিখে আরেক ধাপ ওপরে নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় যার প্রজ্ঞাপন নং-১৪০১।
সাব রেজিস্ট্রার পদটিকে ১০ম গ্রেড থেকে ০৫/০১/১৯৯৪ ইং তারিখে ১৪০০ নং প্রজ্ঞাপন বলে ৯ম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটি ২০/১২/১৯৯২ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন নং-খ (খ) ১ ই ২৬/৯২ (অংশ) এর মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১০ম গ্রেডে বহাল থাকে এবং উল্লিখিত অন্যান্য পদসমূহ পূর্বের ন্যায় নবম গ্রেডেই বহাল থাকে। একইভাবে ২০০৫ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে এবং উপরে উল্লিখিত পদসমূহও নবম গ্রেডেই বহাল থাকে।
২০০৯ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং ১৫/০৫/২০১২ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন নং-৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০৪.০৩ (অংশ)-৫৩০ দ্বারা সহকারী শিক্ষক পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে গঠিত পে-স্কেলেও সহকারী শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডে ই বহাল থাকে!
সুতরাং একথা অকপটে স্বীকার করে নেওয়া যায় যে, রাষ্ট্র সরকারি মাধ্যমিক তথা মাধ্যমিক শিক্ষকদের মর্যাদা না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়েছে অথবা দীর্ঘ ৫০ বছরেও শিক্ষকদের মর্যাদা কোনরূপ বাড়ায়নি বা বাড়ানোর মতো দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ ও দেখা যাচ্ছে না! সুদীর্ঘ সময় ধরে একই পদে পড়ে থাকা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের (১০ ম গ্ৰেড) পদের আপগ্রেডেশান করার (নবম গ্রেডে উন্নীত করার) কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়, শিক্ষা সচিব মহোদয়, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উইং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
লেখক: শিক্ষক নেতা ও সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডের উন্নয়ন চাই

আপডেট সময় ০২:২৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডের উন্নয়ন চাই
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বিদ্যমান বেতন গ্রেড উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকল পর্যায়ে কর্মরত গণ কর্মচারীদের পদমর্যাদা/বেতন গ্রেড উন্নীত হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ নেই!
যদিও আমরা খুবই আনন্দিত এটা জেনে যে, এরই মধ্যে  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন কর্মরত কর্মচারী ভাই -বোনদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশান/মর্যাদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয়েছে/হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন সুদূরপ্রসারী চিন্তাকে আমরা স্বাগত জানাই।
আমাদের জানামতে তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) রাষ্ট্রের গণ কর্মচারীদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশনের/মর্যাদা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন বেশ কিছুদিন পূর্বে। সরকারের বিগত মেয়াদেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর ও পরিদপ্তর সমূহে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীগণের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন (উন্নয়ন) ঘটছে। এটা নি নিঃসন্দেহে আশার দিক। কেননা, রাষ্ট্র ইতোমধ্যে তার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার স্বপ্ন দেখছেন। যা’ অবশ্যই সম্ভব বলে আমরাও বিশ্বাস করি।
তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন থাকা সত্ত্বেও সেই অনুযায়ী কেবলমাত্র সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা /বিদ্যমান পদের পদনাম পরিবর্তন এবং দীর্ঘ দিনে ধরে বিদ্যমান বেতন গ্রেডের উন্নয়ন হচ্ছে না কেন?
প্রশ্ন হচ্ছে: শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও গ্ৰেড উন্নয়নে বাঁধা কোথায় এবং কারা?!
আমরা দায়িত্বশীল সোর্স থেকে জেনে আশ্চর্য হয়েছি যে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবিত (এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয়) একাডেমিক পদসোপান দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত হওয়ার পর সেটি নিয়ে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত পদসোপানের ফাইলটি নাকি হারিয়ে গেছে! কিন্তু কিভাবে? কারা করেছেন আর কেন ই বা এমন করেছেন? যারা এমনটি করেছেন, আমাদের ঠকিয়ে বা বঞ্চিত করে তাদের লাভ ইন বা কী? এই প্রশ্নগুলো বারবার আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!
আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোনো অনুশাসন যেখানে সকল গণ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা, সেখানে সরকারি মাধ্যমিক সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না কেন?!
আবার, 
একই মন্ত্রণালয়ের অধীন এমনকি একই অধিদপ্তরের অধীন কর্মচারীদের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক তাদের পদমর্যাদা এবং বিদ্যমান বেতন গ্রেডের উন্নয়নের প্রক্রিয়া যেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ে( কিছু পদে ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে) সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে অদ্যাবধি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন?
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ কারা মোকাবেলা করছেন? আর কারা ই বা বাস্তবায়ন করবেন এই নতুন কারিকুলাম? কারা জাতির ভবিষ্যৎ (আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের) আধুনিক মানের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টারত? এই বিশাল দায়িত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞ মাউশি অধিদপ্তর কি কিছু সংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর নন শিক্ষক কর্মচারীদের দিয়েই বাস্তবায়ন করতে চায়? অবশ্য যদি তারা তা করতে পারেন; তবে আমাদের কোনো কথা নেই! আর যদি রাষ্ট্র তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আমাদের অধিদপ্তর এবং রাষ্ট্রের সচেতন সুধীমহল মনে করেন নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষককে প্রয়োজন হবে এবং শুধু প্রয়োজন হবে না; শিক্ষকগণই এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রাণ ভোমরার ভূমিকা পালন করবেন, যা’ খুবই স্বাভাবিক। তবে অবশ্যই শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক মর্যাদা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প আছে বলে আমরা মনে করি না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত সকল পর্যায়ের গণ কর্মচারীদের জন্য দেয়া সুযোগের সমান (বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন/ মর্যাদা বৃদ্ধি) সুযোগ-সুবিধা (শতভাগ) পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করি। 
অবিলম্বে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সমগ্রেড ও নিম্নগ্রেডের অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের পদের আপগ্রেডেশন করে নবম এবং তদূর্ধ্ব পদে তাদের মর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করলেও ( উল্লেখ্য, এখানে আপনাদেরকে অবগত করানো জরুরী যে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড এর বিষয়টি গত ৫০ বছরে কি অবস্থায় চলছে! আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের প্রথম পে-স্কেল গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক / পিটিআই ইন্সট্রাকটর (তখন পিটিআই ইন্সট্রাকটর ও সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এই দু’টি একই পদমর্যাদার ছিল এবং অভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হতো) পদটি তৎকালীন সময়ে ছিল ষষ্ঠ গ্রেডভুক্ত পদ। (উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের পে-স্কেলে গ্রেড সংখ্যা ছিল ১০টি।) সেই পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকদের সমগ্রেডভুক্ত আরও ছিল থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব রেজিস্ট্রার পদসমূহ।
আপনারা জেনে আরও অবাক হবেন যে, ১৯৭৭ সালে গঠিত পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি ১০ম গ্রেডভুক্ত করা হয় এবং পূর্বের সমগ্রেড ভুক্ত অন্যান্য পদসমূহ যেমন- থানা শিক্ষা অফিসার, থানা সমাজসেবা অফিসার এবং সাব রেজিস্ট্রার পদকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে ১১তম গ্রেডভুক্ত করা হয়। আবার, ১৯৮৫ সালের পে-স্কেলে সরকারি হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং পূর্বের ১১তম গ্রেডের সাব-রেজিস্ট্রার পদটিকে সহকারী শিক্ষক/পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদের সমমান (১০ম গ্রেডভুক্ত) করা হয়। এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটি যথারীতি ১১তম গ্রেডে ই থাকে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটিকে ১১তম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
বড়ই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে ১৯৯১ সালে গঠিত পে-স্কেলে। এখানে এসে সহকারী শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে। কিন্তু পিটিআই ইন্সট্রাকটর পদটি (যা সহকারী শিক্ষকদের সমগ্ৰেডের এবং পারস্পরিক বদলিযোগ্য পদ ছিল এবং একই সাথে অভিন্ন নিয়োগে নিয়োগ পেত) প্রজ্ঞাপন নং- প্রশ- ১/১৫(২)/৪১৯৪/২৪ বলে ০৬/০১/১৯৯৬ ইং তারিখে ৯ম গ্রেডভুক্ত প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং পূর্বের ১১ তম গ্রেডের উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটিকে একধাপ উপরে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয় এবং একই পে-স্কেল বর্ষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদটিকে ১৯/১২/১৯৯৪ ইংরেজি তারিখে আরেক ধাপ ওপরে নবম গ্রেডে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় যার প্রজ্ঞাপন নং-১৪০১।
সাব রেজিস্ট্রার পদটিকে ১০ম গ্রেড থেকে ০৫/০১/১৯৯৪ ইং তারিখে ১৪০০ নং প্রজ্ঞাপন বলে ৯ম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদে উন্নীত করা হয় এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পদটি ২০/১২/১৯৯২ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন নং-খ (খ) ১ ই ২৬/৯২ (অংশ) এর মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১০ম গ্রেডে বহাল থাকে এবং উল্লিখিত অন্যান্য পদসমূহ পূর্বের ন্যায় নবম গ্রেডেই বহাল থাকে। একইভাবে ২০০৫ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেই বহাল থাকে এবং উপরে উল্লিখিত পদসমূহও নবম গ্রেডেই বহাল থাকে।
২০০৯ সালে গঠিত পে-স্কেলে সহকারী শিক্ষক পদটি যথারীতি ১০ম গ্রেডেরই থাকে এবং ১৫/০৫/২০১২ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন নং-৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০৪.০৩ (অংশ)-৫৩০ দ্বারা সহকারী শিক্ষক পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে গঠিত পে-স্কেলেও সহকারী শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডে ই বহাল থাকে!
সুতরাং একথা অকপটে স্বীকার করে নেওয়া যায় যে, রাষ্ট্র সরকারি মাধ্যমিক তথা মাধ্যমিক শিক্ষকদের মর্যাদা না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়েছে অথবা দীর্ঘ ৫০ বছরেও শিক্ষকদের মর্যাদা কোনরূপ বাড়ায়নি বা বাড়ানোর মতো দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ ও দেখা যাচ্ছে না! সুদীর্ঘ সময় ধরে একই পদে পড়ে থাকা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের (১০ ম গ্ৰেড) পদের আপগ্রেডেশান করার (নবম গ্রেডে উন্নীত করার) কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়, শিক্ষা সচিব মহোদয়, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উইং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
লেখক: শিক্ষক নেতা ও সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।