দেলোয়ার হোসেন সোহেল
রাজশাহী তানোর উপজেলার কলমা ইউপিতে শতবছরের তাজা তেঁতুল গাছ কর্তন করা অবস্থা চোখে পড়লো স্হানীয় সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সঙ্গে গাছ কাটা বন্ধ করে দিলেন তিনি। পাশাপাশি এই শতশত বছরের তাজা গাছ কি করে মরা গাছ হিসাবে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে উদ্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

সরজমিনে কলমা ইউপির অমৃতপুর রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি শতশত বছরের তাজা তেঁতুল গাছ কাটা অবস্থায় দেখা গেছে যানা গেছে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে মরা গাছ বলে গাছটি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তানোর ভূমি অফিসের ভিতরে থাকা ১ টি ও কলমা ইউপির আজিজপুর এবং দরগাডাংগা বাজারের আরো দুটি শতবছরের কড়াই ও তেঁতুল গাছ কাটা হবে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী বলছে অমৃতপুর রাস্তার পাশে থাকা প্রায় দুই/তিন শত বছরের স্মৃতি এই গাছটি সাধারণ মানুষের অনেক উপকারে আসে খরা তাপে জমিতে কৃষক যখন কাজ করে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে যায় তখন একটু হাওয়া ও ছায়ার জন্য এই তেঁতুল গাছের নিচে বসে আরাম করে তাছাড়াও এই গাছে অনেক পাখির বাসা ছিলো এক কথাই পাখিদের অভয় আশ্রম হিসেবে ছিলো এই শতবছরের তেঁতুল গাছ।

এলাবাসী অভিযোগ তুলে আরো বলেন অমৃতপুর আজিজপুর ও দরগাডাংগা বাজারের যে তিনটি গাছ টেন্ডার দেওয়া হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা অথচ ঠিকাদারের টেন্ডারের অফিস কপিতে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী কি করে এটা সম্ভব।

তানোরের সুশীল সমাজ বলছে, তানোর উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন প্রজাতির হাতে গোনা কয়েকটি তেঁতুল ও বটগাছ শতশত বছরের সাক্ষী হয়ে এখনো জীবিত হয়ে আছে। পরিবেশের ভারসাম্য/বৈষম্য রক্ষায় ব্যাপক কাজে আসে আমাদের জিবনে এই গাছ গুলো। তাছাড়াও ওই গাছগুলো স্মৃতি হয়ে রয়েছে আমাদের মাঝে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে সুশীল সমাজের আবেদন তানোর উপজেলার সমস্ত শত শত বছরের গাছগুলোর পরিচর্যা ও গাছের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি পাখিদের অভয় আশ্রম করে দেওয়া হোক।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা ভূমি (এসিল্যান্ড) আদিবা সিফাত জানান, গত বছর কলমা ইউপি সদস্য ও স্হানীয় জনগন গাছ গুলো ঝুঁকি পূর্ণ আছে বলে ভূমি অফিসে আবেদন করেন,গাছ গুলো বণ-বিভাগের মূল্য নির্ধারণ করে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য স্থানীয় সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর হস্তক্ষেপে এই শত বছরের গাছ আধা কাটা অবস্থা বন্ধ হয়ে আছে। এখনো এই গাছটি রক্ষা করা সম্ভব।

২৫ জানুয়ারি কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর আয়োজনে চতুর্থবার ফারুক চৌধুরী এমপি হওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দৃষ্টিতে পড়ে এই অমানবিক কর্মকান্ড।