বাংলাদেশ ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে ঔষধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। স্কুলে শিক্ষাথীর সংখ্যা ১১,এসএসসিতে অকৃতকার্য ১১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের নতুন সভাপতি জহির ও সাধারণ সম্পাদক লিটন এবার চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি। বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার। অভিনব কায়দায় পাচারের সময় গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কুবিতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আ.লীগের সংস্কৃতি-বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হলেন রাবির ড. সুজন সেন দেশে গণমানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে: রাবি উপ-উপাচার্য হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেতার আবারো তাজা প্রাণ গেল এক যুবকের। হত্যাকান্ডের মামলার আসামি শ্যুটার সহ অন্যতম ০৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে শাকিব নামে এক তরুণের প্রাণ গেল। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মূলহোতা লিপু ও তার ০৪ জন সহযোগী’কে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -২ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • ১৬৪২ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -২ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রথম কিস্তির পর

চেরাগ পাওয়ার কাহিনী:

২০১০ সাল।বালিয়াডাঙ্গী সেন্টার (ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র)মাঠে গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতির সুচনা হয়।সমিতির নেতৃত্ব দেন বেলাল উদ্দিন।সিদ্ধান্ত হয় প্রতিদিন প্রতি সদস্য দুই টাকা করে সঞ্চয় জমা করার।কয়েক বছর চলার পর সমিতির মুল সদস্যদের বাদ দিয়ে বেলালের পরিবারের সদস্যসহ তার আঞ্জাবহ কিছু সদস্য দিয়ে সমবায় অধিদপ্তর থেকে একটি নিবন্ধন নেন।ধীরে ধীরে পূর্বের সদস্যদের বের করে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে।

সমিতির কার্যক্রম শুরু করে ঢেকনাপাড়াস্থ আনিসুর রহমান (চা দোকান দার) এর বাড়ীর একটি রুম ভাড়া নিয়ে। সেখান থেকে শুরু হয় চড়া সুদের ব্যবসা।শুরু হয় চেক ও স্ট্যাম্প জমা নিয়ে টাকা সমিতির পাশাপাশি সুদ লেনদেনের ব্যবসা। মানুষের কাছ থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়, এককালীন সঞ্চয় ও ডিপিএস জমার কার্যক্রম শুরু করে মানুষের দৃষ্টি কারেন বেলাল। শুরু করেন ব্যাংকিং কার্যক্রম। জায়গা জমি কেনা ও মানুষের জমি ও বাড়ী বন্ধক নেওয়া শুরু হয় তার। প্রথম বন্ধক শুরু হয় তার ভাড়া বাড়ী আনিস চায়ের দোকানদারের বাড়ীটি। টাকা সমিতির কিন্তু রেজিষ্ট্রি হয় তার ও তার বাবাসহ পরিবারের লোকজনের নামে। জমিতে সমিতির নামে সাইনবোর্ড লাগালে মানুষের বিশ্বাস বাড়তে থাকে সমিতির প্রতি। এতে পরিধিও বাড়ে। পরে বালিয়াডাঙ্গীস্থ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির যায়গা ও গোডাউনটি ভাড়া নিয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করে। এতে মানুষের দৃষ্টি পরে সমিতির উপর।ব্যপকহারে মানুষ টাকা জমা করা শুরু করে।

মানুষের মোগজ ধোলায়ের কৌশল:

জানাগেছে, সমিতির টাকা দিয়ে জমি কিনে নিজ ও পরিবারের লোকজনের নামে রেজিষ্ট্রি করে সমিতির নামে জমিতে সাইনবোর্ড টাংগিয়ে লোকজনকে বোকা বানানো বা মোগজ ধোলাই করার কৌশল তার অনেক পুরোনো। গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে ব্র্যাক সংলগ্ন জমিটিতে অনেক দিন সমিতির সাইনবোর্ড থাকলেও পরে জানাগেছে সেটিও তার ও তার পরিবারের নামে রেজিষ্ট্রি করা। একই রকম ঘটনা ঘটেছে বালিয়াডাঙ্গী আলী প্রেট্রোল পাম্পের উত্তর পাশে, শুকানী, সোনাকান্দর (ভাটা নামক স্থানে), লাহিড়ী, সাইফুল লোহা দোকানের পূর্বপাশে, বালিয়াডাঙ্গী সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন জমি ও বালিয়াডাঙ্গী পল্লী বিদ্যুৎ নামক স্থানে যেখানে মাছের পোনা উৎপাদনের হ্যাচারী করেছে।

জানাগেছে একই রকম কাজ করেছে সদরের হরিহরপুর, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, শহরের ঘোয়ালপাড়া, সরকারপাড়া ও সালন্দর সিংপাড়াতেও। এছাড়াও সদস্যদের বোকা বানানোর আরো কৌশল হচ্ছে নতুন নতুন মডেলের দুই চাকা ও চার চাকার গাড়ী কিনে চমক দেখানো। সদস্যদের বোঝানো হয় গাড়ীগুলো সমিতির। এতে মানুষের গভীর বিশ্বাস তৈরী করে মানুষের কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদী আমানত সংগ্রহ করে চরা সুদের ব্যবসায় খাটানো হয়। মানুষের মোগজ ধোলায়ের জন্য প্রথমে ৪লক্ষ ৯০হাজার টাকায় একটি মোটর সাইকেল কিনে সমিতির মোটরসাইকেল হিসেবে ব্যবহার করেন। তখন এই এলাকায় ওটিই ছিল সবচেয়ে দামী মোটরসাইকেল। তার পরে মরহুম সাবেক ইউপি জামাল উদ্দীনের প্রাইভেট কারটি কিনেন। যেটির গাঁয়ে গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিখে এলাকায় দাপিয়ে চলেন।তার পরে একটি কালো রংগের Rash জীপ গাড়ী কিনলেন। এখন একটি সাদা রং এর কোটি টাকা মূল্যের গাড়ী নিয়ে এলাকায় ঘুরেন। প্রতিটি গাড়ীই সদস্যদের কাছে বা এলাকাবাসীর কাছে সমিতির গাড়ী।আসলে ঘটনাটি উল্টো। বেলাল মানুষের দৃষ্টি কারার জন্যই এসব নাটক করেন একাধীক সুত্রে জানাগেছে। চলবে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে ঔষধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া -২ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে

আপডেট সময় ০৪:৩০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রথম কিস্তির পর

চেরাগ পাওয়ার কাহিনী:

২০১০ সাল।বালিয়াডাঙ্গী সেন্টার (ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র)মাঠে গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতির সুচনা হয়।সমিতির নেতৃত্ব দেন বেলাল উদ্দিন।সিদ্ধান্ত হয় প্রতিদিন প্রতি সদস্য দুই টাকা করে সঞ্চয় জমা করার।কয়েক বছর চলার পর সমিতির মুল সদস্যদের বাদ দিয়ে বেলালের পরিবারের সদস্যসহ তার আঞ্জাবহ কিছু সদস্য দিয়ে সমবায় অধিদপ্তর থেকে একটি নিবন্ধন নেন।ধীরে ধীরে পূর্বের সদস্যদের বের করে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে।

সমিতির কার্যক্রম শুরু করে ঢেকনাপাড়াস্থ আনিসুর রহমান (চা দোকান দার) এর বাড়ীর একটি রুম ভাড়া নিয়ে। সেখান থেকে শুরু হয় চড়া সুদের ব্যবসা।শুরু হয় চেক ও স্ট্যাম্প জমা নিয়ে টাকা সমিতির পাশাপাশি সুদ লেনদেনের ব্যবসা। মানুষের কাছ থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়, এককালীন সঞ্চয় ও ডিপিএস জমার কার্যক্রম শুরু করে মানুষের দৃষ্টি কারেন বেলাল। শুরু করেন ব্যাংকিং কার্যক্রম। জায়গা জমি কেনা ও মানুষের জমি ও বাড়ী বন্ধক নেওয়া শুরু হয় তার। প্রথম বন্ধক শুরু হয় তার ভাড়া বাড়ী আনিস চায়ের দোকানদারের বাড়ীটি। টাকা সমিতির কিন্তু রেজিষ্ট্রি হয় তার ও তার বাবাসহ পরিবারের লোকজনের নামে। জমিতে সমিতির নামে সাইনবোর্ড লাগালে মানুষের বিশ্বাস বাড়তে থাকে সমিতির প্রতি। এতে পরিধিও বাড়ে। পরে বালিয়াডাঙ্গীস্থ কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির যায়গা ও গোডাউনটি ভাড়া নিয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করে। এতে মানুষের দৃষ্টি পরে সমিতির উপর।ব্যপকহারে মানুষ টাকা জমা করা শুরু করে।

মানুষের মোগজ ধোলায়ের কৌশল:

জানাগেছে, সমিতির টাকা দিয়ে জমি কিনে নিজ ও পরিবারের লোকজনের নামে রেজিষ্ট্রি করে সমিতির নামে জমিতে সাইনবোর্ড টাংগিয়ে লোকজনকে বোকা বানানো বা মোগজ ধোলাই করার কৌশল তার অনেক পুরোনো। গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে ব্র্যাক সংলগ্ন জমিটিতে অনেক দিন সমিতির সাইনবোর্ড থাকলেও পরে জানাগেছে সেটিও তার ও তার পরিবারের নামে রেজিষ্ট্রি করা। একই রকম ঘটনা ঘটেছে বালিয়াডাঙ্গী আলী প্রেট্রোল পাম্পের উত্তর পাশে, শুকানী, সোনাকান্দর (ভাটা নামক স্থানে), লাহিড়ী, সাইফুল লোহা দোকানের পূর্বপাশে, বালিয়াডাঙ্গী সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন জমি ও বালিয়াডাঙ্গী পল্লী বিদ্যুৎ নামক স্থানে যেখানে মাছের পোনা উৎপাদনের হ্যাচারী করেছে।

জানাগেছে একই রকম কাজ করেছে সদরের হরিহরপুর, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, শহরের ঘোয়ালপাড়া, সরকারপাড়া ও সালন্দর সিংপাড়াতেও। এছাড়াও সদস্যদের বোকা বানানোর আরো কৌশল হচ্ছে নতুন নতুন মডেলের দুই চাকা ও চার চাকার গাড়ী কিনে চমক দেখানো। সদস্যদের বোঝানো হয় গাড়ীগুলো সমিতির। এতে মানুষের গভীর বিশ্বাস তৈরী করে মানুষের কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদী আমানত সংগ্রহ করে চরা সুদের ব্যবসায় খাটানো হয়। মানুষের মোগজ ধোলায়ের জন্য প্রথমে ৪লক্ষ ৯০হাজার টাকায় একটি মোটর সাইকেল কিনে সমিতির মোটরসাইকেল হিসেবে ব্যবহার করেন। তখন এই এলাকায় ওটিই ছিল সবচেয়ে দামী মোটরসাইকেল। তার পরে মরহুম সাবেক ইউপি জামাল উদ্দীনের প্রাইভেট কারটি কিনেন। যেটির গাঁয়ে গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিখে এলাকায় দাপিয়ে চলেন।তার পরে একটি কালো রংগের Rash জীপ গাড়ী কিনলেন। এখন একটি সাদা রং এর কোটি টাকা মূল্যের গাড়ী নিয়ে এলাকায় ঘুরেন। প্রতিটি গাড়ীই সদস্যদের কাছে বা এলাকাবাসীর কাছে সমিতির গাড়ী।আসলে ঘটনাটি উল্টো। বেলাল মানুষের দৃষ্টি কারার জন্যই এসব নাটক করেন একাধীক সুত্রে জানাগেছে। চলবে।