নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমিতির চাকচিক্য, নতুন ভবন, অফিসের ওয়ালে দামী বিদেশি টাইলস, শহরের সর্বচ্চো দামী জমি ক্রয়, সভাপতির দামী মোটর সাইকেল, মাঠকর্মীদের মোটরসাইকেল,প্রাইভেট কার, রাসসহ বিভিন্ন দামি দামি জীপগাড়ী, এমপি, ডিসি, এসপিদের সম মডেলের গাড়ীর বহর দেখে কোটি কোটি টাকা জমা করে বালিয়াডাঙ্গী গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতিতে। পাগলের মতো গ্রামের অস্বচ্ছল মানুষটিও একটি বই (হিসাব) খোলে বসে। বাড়ীর হাঁস মুরগির ডিমটি না খেয়ে বিক্রি করে সমিতিতে সঞ্চয় করে। আবার অনেকেই সারা জীবন চাকুরি করে জীবনের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা এককালীন জমা করে অধীক মুনাফা মাসে মাসে তুলে খাবার আশায়। আবার অনেকেই এককালীন টাকা জমা করেছে দ্বিগুন, চারগুন পাবার আশায়। এখন মেয়াদ শেষে অনেকেই টের পাইতে শুরু করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগি এক পরিবার।
আবু তাহের নামে এক ভুক্তভোগি জানান, আমার ভাই ১০ বছর আগে ৫০ হাজার টাকা এক কালীন জমা করেছিলো। শর্ত ছিল ১০ বছরে চারগুন হবে অর্থ্যাৎ ২লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির দুই মাস পার হলেও এখনো টাকা পাইনি আমার ভাই। প্রতি সপ্তাহে ডেট দিচ্ছে। আসছি টাকা নাই আবার ফেরত দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধারদিঘীর এক গ্রাহক জানান, সমিতির ম্যানেজার বলছে মানুষ আগের মতো টাকা জমা করছে না তাই সংকট দেখা দিয়েছে। মেয়াদ পূর্তির দুই মাসেও টাকা হয়নি আরো দেড় মাস পরে আসতে বললো। আমি এতো সময় অপেক্ষা করতে পারবো না বললে আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।
শুধু আবু তাহের নয় এরকম অসংখ্য মানুষ সঞ্চয় আমানত ও মেয়াদপুর্তির টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরছেন।
সমিতিতে ৩০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছে এমন একজন গ্রাহক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সমিতির যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে যে কোন সময় সমিতির প্রধান ও সভাপতি বেলাল উদ্দিন পালিয়ে যেতে পারে।
অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সমিতির টাকা দিয়ে বাবা বাবর আলী, ভাই ফইজুল ও বেলাল নিজে শতকোটি টাকার বিঘা বিঘা জমিসহ মেগা প্রজেক্ট করেছে। মানুষের জমানো টাকায় এসব প্রজেক্টের জন্য সমিতি এখন ফকফকা।