বাংলাদেশ ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
চান্দিনায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত ফুলবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৮০টি ফলজ গাছ ও ঘর ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ প্রতিক পেয়েই পথসভা করে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন খান। মোবাইল ফোনে বিয়ের নাটকিয়তায় পরে সর্বস্ব হারালেন টাঙ্গাইলের প্রবাসী জোয়ার্দার মালেক। নিষেধাজ্ঞা আরোপ নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রিকরণ শীর্ষক কর্মশালা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর মাধপপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও জনসভা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রতীক বরাদ্ধের পরপরই চপলের মোটরসাইকেল শোডাউন।  কাউখালীতে রাত পোহালেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারা অন্ধকারে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ। ফুলবাড়ীর আলাদীপুর ইউনিয়নে নিরাপদ সবজি উৎপাদন যুক্ত প্রদর্শনীর মাঠ দিবস রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবলের নামে দুদকের মামলা আম পরিপক্ব হওয়ার আগে রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা- বিভাগীয় কমিশনার

বালিয়াডাঙ্গী গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যদের সঞ্চয় ও আমানত ফেরতের হিরিক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:০০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • ১৬৪০ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমিতির চাকচিক্য, নতুন ভবন, অফিসের ওয়ালে দামী বিদেশি টাইলস, শহরের সর্বচ্চো দামী জমি ক্রয়, সভাপতির দামী মোটর সাইকেল, মাঠকর্মীদের মোটরসাইকেল,প্রাইভেট কার, রাসসহ বিভিন্ন দামি দামি জীপগাড়ী, এমপি, ডিসি, এসপিদের সম মডেলের গাড়ীর বহর দেখে কোটি কোটি টাকা জমা করে বালিয়াডাঙ্গী গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতিতে। পাগলের মতো গ্রামের অস্বচ্ছল মানুষটিও একটি বই (হিসাব) খোলে বসে। বাড়ীর হাঁস মুরগির ডিমটি না খেয়ে বিক্রি করে সমিতিতে সঞ্চয় করে। আবার অনেকেই সারা জীবন চাকুরি করে জীবনের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা এককালীন জমা করে অধীক মুনাফা মাসে মাসে তুলে খাবার আশায়। আবার অনেকেই এককালীন টাকা জমা করেছে দ্বিগুন, চারগুন পাবার আশায়। এখন মেয়াদ শেষে অনেকেই টের পাইতে শুরু করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগি এক পরিবার।

আবু তাহের নামে এক ভুক্তভোগি জানান, আমার ভাই ১০ বছর আগে ৫০ হাজার টাকা এক কালীন জমা করেছিলো। শর্ত ছিল ১০ বছরে চারগুন হবে অর্থ্যাৎ ২লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির দুই মাস পার হলেও এখনো টাকা পাইনি আমার ভাই। প্রতি সপ্তাহে ডেট দিচ্ছে। আসছি টাকা নাই আবার ফেরত দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধারদিঘীর এক গ্রাহক জানান, সমিতির ম্যানেজার বলছে মানুষ আগের মতো টাকা জমা করছে না তাই সংকট দেখা দিয়েছে। মেয়াদ পূর্তির দুই মাসেও টাকা হয়নি আরো দেড় মাস পরে আসতে বললো। আমি এতো সময় অপেক্ষা করতে পারবো না বললে আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।

শুধু আবু তাহের নয় এরকম অসংখ্য মানুষ সঞ্চয় আমানত ও মেয়াদপুর্তির টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরছেন।

সমিতিতে ৩০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছে এমন একজন গ্রাহক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সমিতির যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে যে কোন সময় সমিতির প্রধান ও সভাপতি বেলাল উদ্দিন পালিয়ে যেতে পারে।

অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সমিতির টাকা দিয়ে বাবা বাবর আলী, ভাই ফইজুল ও বেলাল নিজে শতকোটি টাকার বিঘা বিঘা জমিসহ মেগা প্রজেক্ট করেছে। মানুষের জমানো টাকায় এসব প্রজেক্টের জন্য সমিতি এখন ফকফকা।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

চান্দিনায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

বালিয়াডাঙ্গী গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যদের সঞ্চয় ও আমানত ফেরতের হিরিক

আপডেট সময় ০৮:০০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমিতির চাকচিক্য, নতুন ভবন, অফিসের ওয়ালে দামী বিদেশি টাইলস, শহরের সর্বচ্চো দামী জমি ক্রয়, সভাপতির দামী মোটর সাইকেল, মাঠকর্মীদের মোটরসাইকেল,প্রাইভেট কার, রাসসহ বিভিন্ন দামি দামি জীপগাড়ী, এমপি, ডিসি, এসপিদের সম মডেলের গাড়ীর বহর দেখে কোটি কোটি টাকা জমা করে বালিয়াডাঙ্গী গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতিতে। পাগলের মতো গ্রামের অস্বচ্ছল মানুষটিও একটি বই (হিসাব) খোলে বসে। বাড়ীর হাঁস মুরগির ডিমটি না খেয়ে বিক্রি করে সমিতিতে সঞ্চয় করে। আবার অনেকেই সারা জীবন চাকুরি করে জীবনের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা এককালীন জমা করে অধীক মুনাফা মাসে মাসে তুলে খাবার আশায়। আবার অনেকেই এককালীন টাকা জমা করেছে দ্বিগুন, চারগুন পাবার আশায়। এখন মেয়াদ শেষে অনেকেই টের পাইতে শুরু করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগি এক পরিবার।

আবু তাহের নামে এক ভুক্তভোগি জানান, আমার ভাই ১০ বছর আগে ৫০ হাজার টাকা এক কালীন জমা করেছিলো। শর্ত ছিল ১০ বছরে চারগুন হবে অর্থ্যাৎ ২লক্ষ টাকা। মেয়াদ পূর্তির দুই মাস পার হলেও এখনো টাকা পাইনি আমার ভাই। প্রতি সপ্তাহে ডেট দিচ্ছে। আসছি টাকা নাই আবার ফেরত দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধারদিঘীর এক গ্রাহক জানান, সমিতির ম্যানেজার বলছে মানুষ আগের মতো টাকা জমা করছে না তাই সংকট দেখা দিয়েছে। মেয়াদ পূর্তির দুই মাসেও টাকা হয়নি আরো দেড় মাস পরে আসতে বললো। আমি এতো সময় অপেক্ষা করতে পারবো না বললে আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়।

শুধু আবু তাহের নয় এরকম অসংখ্য মানুষ সঞ্চয় আমানত ও মেয়াদপুর্তির টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরছেন।

সমিতিতে ৩০ লক্ষ টাকা জমা রেখেছে এমন একজন গ্রাহক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সমিতির যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে যে কোন সময় সমিতির প্রধান ও সভাপতি বেলাল উদ্দিন পালিয়ে যেতে পারে।

অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, সমিতির টাকা দিয়ে বাবা বাবর আলী, ভাই ফইজুল ও বেলাল নিজে শতকোটি টাকার বিঘা বিঘা জমিসহ মেগা প্রজেক্ট করেছে। মানুষের জমানো টাকায় এসব প্রজেক্টের জন্য সমিতি এখন ফকফকা।