বুড়িচং প্রতিনিধি।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগে ১৮টি ওষুধ দোকান মালিককে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী ব্রাহ্মণপাড়া বাজার, টাটেরা ও চান্দলা বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদ। অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা সহযোগিতা করেন। এছাড়া উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেনের নেতৃত্ব ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের একটি উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে মা মেডিক্যাল এর স্বত্তাধিকারী এম এ হাসেম কে সাসপেন্ডেড ড্রাগ রাখা, সংরক্ষণযোগ্য ওষুধ ফ্রিজে সংরক্ষণ না করা, মিসব্র্যান্ডেড ও আনরেজিস্টার্ড ড্রাগ রাখার অপরাধে ৪০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। মিসব্র্যান্ডেড ড্রাগ ও ফিজিশিয়ান’স স্যাম্পল রাখার অপরাধে ঐশী মেডিক্যালের পারভেজ আলমকে ৩০,০০০/- টাকা, আনরেজিস্টার্ড ড্রাগ রাখার অপরাধে আয়ান মেডিক্যালের স্বত্তাধিকারী আবদুল আলীম ৩০,০০০/- টাকা, বিপাড়া মেডিক্যালের মালিক কামরুল হাসানকে ২০,০০০/- টাকা, সাসপেন্ডেড ড্রাগ রাখার অপরাধে মদিনা মেডিক্যালের মালিক মো: শফিকুল ইসলাম কে ১০,০০০/- টাকা, দিবারাত্রি ফার্মেসীর লাইসেন্স না থাকায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে মেহেদী হাসানকে ৪০,০০০/- টাকা, লাইসেন্স না থাকায় ও মিসব্র্যান্ডেড ওষুধ রাখার অপরাধে নাদিয়া মেডিক্যালের মালিক মো: একরাম হোসেনকে ৩৫,০০০/- টাকা, মিসব্র্যান্ডেড ওষুধ রাখার অপরাধে লাইফ কেয়ার ফার্মার মালিক নেয়ামত উল্লাহ কে ১০,০০০/- টাকা, মিসব্র্যান্ডেড ওষুধ রাখার অপরাধে আব্দুল্লাহ মেডিক্যাল হলের সাইফুল ইসলামকে ২০,০০০/- টাকা, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় মো: মাসুদ আলমকে ২০,০০০/- টাকা, মিসব্র্যান্ডেড ওষুধ বিক্রির দায়ে মোবারক হোসেনকে ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা করা হয়। এছাড়া চান্দলা বাজারে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে দি নিউ প্রেসপক্রিপশন পয়েন্টের মালিক মশিউর রহমানকে ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল বিক্রয় ও ফার্মাসিস্ট না থাকার অপরাধে ১০,০০০/- টাকা, মিরা ফার্মেসির মালিক মমিনুর রহমানকে ১০,০০০/- টাকা, ইবনে সিনা ড্রাগ হাউজ এর মালিক রফিকুল ইসলামকে ৫০০০/- টাকা, সেবা মেডিক্যাল হল এর মালিক ফরিদ উদ্দিনকে ৫০০০/- টাকা, চৌধুরী মেডিক্যাল হলের গোলাম মোস্তফা চৌধুরীকে ৫,০০০/- টাকা, আজাদ ফার্মেসীর মালিক মো: একরামুল হককে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে ২০,০০০/- টাকা, ফেমাস ড্রাগ হাউজের আবু নাসিরকে ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।