তাড়াশ-রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার সাঁটানো নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষক কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিনগত গভীর রাতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় শিশু দিবস অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে পথচারিদের নজরে আসে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলে আশিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাড়াশ সদরের জিকেএস মোড়ে সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্। এ কমপ্লেক্ সামনে স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কেবা কারা ইসলামী জালসার একটি পোস্টার সাঁটায়। সাঁটানো পোস্টার থেকে জানা যায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন বামুক ও আই .এ. বি তাড়াশ শাখার উদ্যোগে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে তাড়াশ ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন (নতুন) মাঠে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে যিকিরের আয়োজন করা হয়।

ওই মাহফিলে প্রধান অতিথির নাম দেয়া হয়েছে চরমোনাইয়ে পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমকে। ঘটনাটি জানার পরপরই সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল আজিজ কে জানান।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে পরেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন যুব আন্দোলনের তাড়াশ শাখার সাধারণ সম্পাদক, তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা আমিরের ছেলে রেজাউল করিম কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায়।

সে তাড়াশ সদরের কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার বলেন, এটি একটি ন্যাক্কার জনক ঘটনা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্ত্রি দাবী করছি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক জানান, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহযোগী সংগঠন যুব আন্দোলনের তাড়াশ শাখার সাধারণ সম্পাদক, রেজাউল করিম কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও তাকে গ্রেফতার বা আটক করা হয় নাই।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল আজিজ বলেন, এটি একটি জঘন্যতম ঘটনা। জাতির জনকের প্রতি এহেন অন্যায়কারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমি ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি তাড়াশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।