বাংলাদেশ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো? গৌরীপুরের মিঠু হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাহুল হত্যা মামলার আসামী ইমাম আবু জাফর রজ্জবকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিলসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ভান্ডারিয়ায় সংবাদকর্মী বেলায়েত মুন্সীর ইন্তেকাল বোয়ালখালীতে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সিংগাইরে বড় ভাইয়ের বসতভিটায় জোরপূর্বক বিল্ডিং করার অভিযোগ রায়পুরায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ নারী আটক বিসিএ শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতায় ৭৫ জন উদিয়মান শেফ এর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে পুলিশ সুপার এর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ প্রতিনিধি,
পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন এমন শ্লোগানে সামনে রেখে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন জেলা পুলিশ সুপার। বুধবার ২৩ আগস্ট দুপুর সারে টারদিকে জামালপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা দয়াময়ী মোড়ে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচ্ছা ও চকোলেট উপহার দিয়ে এই সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়।
ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন জামালপুর জেলা পুলিশ ও জামালপুর ট্রাফিক বিভাগ।
এ সময় জামালপুর শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দয়াময়ী মোড় চত্বর এলাকায় মোটরসাইকেল চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানান জেলা পুলিশ সুপার।
এছাড়াও যে সকল চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে ও চকোলেট দিয়ে সতর্ক করা হয়।
মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, এছাড়া পঙ্গু হচ্ছেন অনেকেই এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দূর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সতর্ক করার পাশাপাশি চকলেট উপহার দেওয়া হয় । এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা সহ পরামর্শও দেন জেলা পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশ সুপার এর হাত থেকে ফুল ও চকলেট উপহার পাওয়া একজন মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, আমি মাথায় হেলমেট পড়েই মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম, পুলিশ থামতে বলায় ভেবেছিলাম কাগজ-পত্র দেখবে, কিন্তু না পুলিশ সুপার এগিয়ে আসলেন এবং নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট উপহার দিলেন এসময় আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ বলেও জানান ঐ মোটরসাইকেল আরোহী।
অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমার মাথায় হেলমেট ছিলো না, পুলিশ যখন আমারে থামাইলো এবং বললো হেলমেট নেই কেনো। আমি খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়। কিন্তুু পুলিশ সুপার সাহেব আমাকে হেলমেট না পড়ার ক্ষতি সহ হেলমেট ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলার পর আইন মানতে বলেছেন এবং সেই সাথে চকলেট উপহার দিয়েছেন।
এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছেন, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। জেলা পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি।
এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয় বলেন, চকলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করেছি। এটি জামালপুর জেলা পুলিশের একটি চলমান কার্যক্রম। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে এবং মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পড়তে উৎসাহ যোগাতে এরকম ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও সকল থানা পর্যায়েও অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

মোটরসাইকেল চালকদের সচেতন করতে পুলিশ সুপার এর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু নওগাঁ প্রতিনিধি,
পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন এমন শ্লোগানে সামনে রেখে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন জেলা পুলিশ সুপার। বুধবার ২৩ আগস্ট দুপুর সারে টারদিকে জামালপুর শহরের ব্যস্ততম এলাকা দয়াময়ী মোড়ে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচ্ছা ও চকোলেট উপহার দিয়ে এই সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন জামালপুর জেলার সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়।
ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন জামালপুর জেলা পুলিশ ও জামালপুর ট্রাফিক বিভাগ।
এ সময় জামালপুর শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দয়াময়ী মোড় চত্বর এলাকায় মোটরসাইকেল চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানান জেলা পুলিশ সুপার।
এছাড়াও যে সকল চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে ও চকোলেট দিয়ে সতর্ক করা হয়।
মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, এছাড়া পঙ্গু হচ্ছেন অনেকেই এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দূর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সতর্ক করার পাশাপাশি চকলেট উপহার দেওয়া হয় । এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা সহ পরামর্শও দেন জেলা পুলিশ সুপার।
জেলা পুলিশ সুপার এর হাত থেকে ফুল ও চকলেট উপহার পাওয়া একজন মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, আমি মাথায় হেলমেট পড়েই মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম, পুলিশ থামতে বলায় ভেবেছিলাম কাগজ-পত্র দেখবে, কিন্তু না পুলিশ সুপার এগিয়ে আসলেন এবং নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট উপহার দিলেন এসময় আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ বলেও জানান ঐ মোটরসাইকেল আরোহী।
অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমার মাথায় হেলমেট ছিলো না, পুলিশ যখন আমারে থামাইলো এবং বললো হেলমেট নেই কেনো। আমি খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়। কিন্তুু পুলিশ সুপার সাহেব আমাকে হেলমেট না পড়ার ক্ষতি সহ হেলমেট ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলার পর আইন মানতে বলেছেন এবং সেই সাথে চকলেট উপহার দিয়েছেন।
এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছেন, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। জেলা পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি।
এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয় বলেন, চকলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করেছি। এটি জামালপুর জেলা পুলিশের একটি চলমান কার্যক্রম। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে এবং মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পড়তে উৎসাহ যোগাতে এরকম ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও সকল থানা পর্যায়েও অব্যাহত থাকবে।