প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
৪টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা ও ০১টি পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলা এবং ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র শীর্ষ জঙ্গি আহম্মেদ নিজাম (৩৫)‘কে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, জঙ্গি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করে র্যাব।
৪টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা ও ০১টি পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলা এবং খিলগাঁও থানার মামলা নং- ২৫(১১)১৩, তারিখ-২৩/১১/১৩, ধারা- ৮/৯(১)/১৩ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) মামলায় ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’র শীর্ষ জঙ্গি আহম্মেদ নিজাম (৩৫), পিতা- মোঃ মনির হোসেন, থানা- খিলগাঁও, জেলা- ঢাকা’কে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখ ১৫৩০ ঘটিকায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
আহম্মেদ নিজাম (৩৫) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর এর শীর্ষ জঙ্গি এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে। সে দীর্ঘ দিন ধরে আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে। আত্মগোপনে থেকে জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। আহম্মেদ নিজাম এর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ০১টি পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলা ও ৪টি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং খিলগাঁও থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ০২ বছরের সাজা গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ১৫/০১/২০২৪ইং তারিখ ১৫:৩০ ঘটিকায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আহম্মেদ নিজাম(৩৫)’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আহম্মেদ নিজাম(৩৫)’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে ২০১০ইং সালে একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়াশোনা সম্পন্ন করে। পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়া অবস্থায় সে উগ্রবাদী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ এর সাথে সম্পৃক্ত হয়। পরবর্তীতে সে ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকুরি করেছে এবং বর্তমানে সে বাসায় বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে। সে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র জঙ্গীবাদী বই প্রচার ও নওযুবক তথা তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিল। সে অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করত।
গ্রেফতারকৃত আসামির নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে রাজধানী খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।