প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আমার অহংকার, এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ জাকির হোসেন জনি (৩৫) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বর্ণিত আসামী গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ইং সালে মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামীর বিরুদ্ধে যশোর জেলার চৌগাছা থানায় ২০১০ সালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। অন্য দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামী মোঃ জাকির হোসেন জনি (৩৫)’কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জাকির হোসেন জনি (৩৫)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ ও র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এবং র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২০ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ রাতে ডিএমপি ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ জাকির হোসেন জনি (৩৫), থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলার চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।