বাংলাদেশ ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভালুকায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন বিতর্কিত শিক্ষক মাকসুদা আছেন কুবির উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে আমান উল্লাহ তাজুনের প্রতিবাদ ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি কর্তৃক বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ওসি’র মতবিনিময় অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা।

পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেখলেন বন্ধ ক্লিনিক 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি: 
দিনের পর দিন বন্ধ থাকে কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্বরতরা রাজনীতিসহ নানা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এদিকে সেবা না পেয়ে রোগীরা অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নেন। এমন অভিযোগে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে পরিদর্শনে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন। তিনি গিয়েও ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। এছাড়া হাজিরা খাতায় দীর্ঘদিন অনুপস্থিত দেখতে পান দায়িত্বরতদের। তালা খুলে ভেতরে ঢুকে ময়লা-আবর্জনাও দেখতে পান। অনেক দিন ধরে ক্লিনিকটি খোলা হয়নি বলে তথ্য পান। পরে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন ডা. মাহমুদা খাতুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কাগজে-কলমে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। একজন কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী। সিএইচসিপি মূলত ক্লিনিকটির সার্বিক দেখাশোনা করেন। স্বাস্থ্য সহকারী শিশুদের বিভিন্ন টিকাদানসহ অন্য কার্যক্রম করেন। এছাড়া পরিবারকল্যাণ সহকারীর কাজ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কাউন্সেলিং, বিভিন্ন ওষুধ বিতরণ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। অথচ তারা সপ্তাহে একদিনও ক্লিনিক খোলেন না।
আরও জানা গেছে, কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে আছেন আল মুলকী। ক্লিনিকটি খোলা ও সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব তার। মুলকীর বাড়ি ওই ক্লিনিকের ৫০ গজের মধ্যেই। তবু সপ্তাহে তিনি একদিনও ক্লিনিক খোলেন না বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, আল মুলকী উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ গ্রামের মানুষ চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে পারে না। হাওরপাড়ের মানুষের চিকিৎসার জন্য এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ক্লিনিকটি কাউকে কোনোদিন খুলতেই দেখি না। সাধারণ মানুষ জানেই না এখানে ওষুধ দেওয়া বা চিকিৎসা হয়। তাই কেউ এখন আর এ ক্লিনিকে আসে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে আল মুলকীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন জানান, সিএইচসিপি আল-মুলকী কখনোই ক্লিনিকটি ঠিকমতো খোলেন না। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে। এসব কারণে এ পর্যন্ত কয়েকবার তার চাকরি যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। তবুও শোধরায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ পাই। এমনকি দীর্ঘদিন না খোলার বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছি। হাজিরা খাতায় দীর্ঘদিন সই না করার প্রমাণ পেয়েছি। অন্যদেরও সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালুকায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন

পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেখলেন বন্ধ ক্লিনিক 

আপডেট সময় ০৯:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

 

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি: 
দিনের পর দিন বন্ধ থাকে কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্বরতরা রাজনীতিসহ নানা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এদিকে সেবা না পেয়ে রোগীরা অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নেন। এমন অভিযোগে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে পরিদর্শনে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন। তিনি গিয়েও ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। এছাড়া হাজিরা খাতায় দীর্ঘদিন অনুপস্থিত দেখতে পান দায়িত্বরতদের। তালা খুলে ভেতরে ঢুকে ময়লা-আবর্জনাও দেখতে পান। অনেক দিন ধরে ক্লিনিকটি খোলা হয়নি বলে তথ্য পান। পরে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন ডা. মাহমুদা খাতুন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কাগজে-কলমে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। একজন কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী। সিএইচসিপি মূলত ক্লিনিকটির সার্বিক দেখাশোনা করেন। স্বাস্থ্য সহকারী শিশুদের বিভিন্ন টিকাদানসহ অন্য কার্যক্রম করেন। এছাড়া পরিবারকল্যাণ সহকারীর কাজ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কাউন্সেলিং, বিভিন্ন ওষুধ বিতরণ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। অথচ তারা সপ্তাহে একদিনও ক্লিনিক খোলেন না।
আরও জানা গেছে, কমলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে আছেন আল মুলকী। ক্লিনিকটি খোলা ও সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব তার। মুলকীর বাড়ি ওই ক্লিনিকের ৫০ গজের মধ্যেই। তবু সপ্তাহে তিনি একদিনও ক্লিনিক খোলেন না বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, আল মুলকী উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ গ্রামের মানুষ চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে পারে না। হাওরপাড়ের মানুষের চিকিৎসার জন্য এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ক্লিনিকটি কাউকে কোনোদিন খুলতেই দেখি না। সাধারণ মানুষ জানেই না এখানে ওষুধ দেওয়া বা চিকিৎসা হয়। তাই কেউ এখন আর এ ক্লিনিকে আসে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে আল মুলকীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন জানান, সিএইচসিপি আল-মুলকী কখনোই ক্লিনিকটি ঠিকমতো খোলেন না। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে। এসব কারণে এ পর্যন্ত কয়েকবার তার চাকরি যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। তবুও শোধরায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ পাই। এমনকি দীর্ঘদিন না খোলার বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছি। হাজিরা খাতায় দীর্ঘদিন সই না করার প্রমাণ পেয়েছি। অন্যদেরও সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।