ওবায়দুর রহমান, উপজেলা প্রতিনিধি, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ।
প্রেমের টানে নেপালী কন্যা বাংলাদেশে এসে বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো বিয়ের কাজ। শনিবার (১২ মার্চ) বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয় তাদের। তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসলেন স্থানীয় সাংসদসহ বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকাবাসী। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামে।
জানা গেছে, হতিহর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পালের ছোট ছেলে পলাশ পাল পেশাগত কারণে সিংগাপুরে যান কয়েক বছর আগে। সেখানে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় নেপালী কন্যা অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে। তিনিও সিংগাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরিচয় থেকেই তাদের প্রণয়। আড়াই বছরের প্রণয়ের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
এ সিদ্ধান্তে প্রথমে বাঁধ সাধেন কনের পরিবার। ভিনদেশী ছেলের সাথে এ সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি তাঁরা। তবে ভালোবাসার টানে ঠেকেনি সেই আপত্তি। গত ৭ মার্চ কন্যা অনুদেবী চলে আসেন বাংলাদেশে। পলাশের বড় বোন চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতি ঢাকায় তাদের বিয়ের আয়োজন করেন।
শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মূর্শেদুজ্জামান সেলিম, জেলা পরিষদ সদস্য এইচ এম খায়রুল বাসার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুন্নাফ প্রমুখ।
কনে অনুদেবী জানান, তাঁর বাবা ভারতীয় ও মা নেপালী। তার বাবার বাড়ি ভারত পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি। মূলবাড়ি নেপালে। দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে নেপালে। বরের বাড়ির সবাই খুব ভালো, সবাই তাকে আপন করে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
বরের কাকা রঞ্জিত কুমার পাল বলেন, অনুদেবীকে আমরা নিজের মেয়ের মতোই বরণ করে নিয়েছি। আশা করছি পরিবারের অভাব সে বুঝতে পারবে না। পলাশের মা পূর্ণিমা রাণী পাল বলেন, আমাদের ছেলে তাকে পছন্দ করেছে, কনেকে আমাদের পছন্দ হয়েছে, সে খুব ভালো মনের মানুষ। ইতোমধ্যেই সবাইকে আপন করে নিয়েছে।
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা চার ভাই বোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। অনুদেবীকে পছন্দের বিষয়ে সে আগেই আমাদের জানিয়েছিল। বিয়ের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সফল পরিনয় ঘটেছে। নব দম্পত্তির জন্য সবার কাছে তিনি আশীর্বাদ কামনা করেন।