বাংলাদেশ ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা রাণীশংকৈলে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত মান্দার ছাত্রদল নেতাদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়। ভান্ডারিয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতার নামে বিএনপির কর্মীর মামলা নাইক্ষংছড়িতে ইয়াবাসহ পৃথক পৃথক অভিযানে ৪ কারবারি আটক বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন ভালুকায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন গৌরীপুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি তানজীন চৌধুরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বিতর্কিত শিক্ষক মাকসুদা আছেন কুবির উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে আমান উল্লাহ তাজুনের প্রতিবাদ ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি কর্তৃক বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ওসি’র মতবিনিময়

কমিটি নিতে ছাত্রলীগের সভাপতিকে পেটালেন সাধারণ সম্পাদক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৮৫ বার পড়া হয়েছে

কমিটি নিতে ছাত্রলীগের সভাপতিকে পেটালেন সাধারণ সম্পাদক

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেকুল ইসলামকে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বাদশার বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেকুল ইসলাম জানায়,আমাকে সভাপতি করে গত ১৮ দিন আগে  উপজেলার ৩ন‍ং চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৬সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গত ১মার্চ নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আমাকে না জানিয়ে ৬নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশ করে। এরপর রাতে সে আমাকে জানায়।

তখন আমি তাকে বলি তুই আমাকে ছাড়া কমিটি দিলি। আচ্ছা অসুবিধা নেই, যারা সংশ্লিষ্ট আছে তাদের সাথে কথা বলে এটা আমি সহি শুদ্ধ করে দেব। তবে এসব কাজ আর করিসনা।

তারেকুল বলেন, পরবর্তীতে নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম সাহেবের সাথে আমার কথা হয়। পরবর্তীতে এমপি আমাকে ফোন দিয়ে বলে, এ তুমি কোথায়, তুমি বাদশাকে ফোন দাও। পরে আমি এবং এমপি সাহেব বাদশাকে ফোন করি।  কিন্তু সে কারো ফোন রিসিভ করেনি। তখন এমপি আমাকে জানায় কালকে ১১টার মধ্যে তুমি বাদশার কাছে যাবে।  সে কেন এমন করতেছে আমার মাথায় ধরছেনা।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, পরের দিন চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাদশার সাথে আমার দেখা হয়। পরে সে সেখান থেকে আমাকে মহিনের অফিসে নিয়ে যায়। ওখানে নিয়ে যাওয়ার পর সে আমাকে বলে ৬নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটিতে স্বাক্ষর করতে। আর বাকী ৮টি ওয়ার্ডের কমিটি কোন দিন দিবেন। এ বলে চাপ সৃষ্টি করে।  তখন আমি তাকে জানায় আমাদের ইউনিয়ন কমিটিও এখানো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তাছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও এমপির দিকনির্দেশনা ছাড়া আমি কিভাবে কমিটি দেব।

তখন সে আমাকে বলে আপনি এখনই কমিটি দিবেন। আমার কাছে ৮টি ওয়ার্ডের সব কাগজ রেডি আছে।  আপনি এখন স্বাক্ষর দেন। একপর্যায়ে আমার মা-বাবা ধরে আমাকে গালমন্দ করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিড়ে ফেলে। একই সাথে আমাকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। আমার নাক,কান, চোখে জখম করে রক্তাক্ত করে ফেলে।  সে আমার রক্ত বের হওয়া পর্যন্ত আমাকে পেটাতে থাকে।

এখন আমি আমার চোখ নিয়ে দুচিন্তায় আছি।  আমার চোখের অবস্থা বিষণ খারাপ।  আমি বাম চোখে ঝাপসা দেখছি।  আমি চোখ হারাতে বসেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারেকুল বলেন, হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বাদশা নেশামুক্তির জন্য রিহ্যাবে ছিল। পেটানোর পর থেকে স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম সাহেব আমার কোন খোঁজ নেয়নি। বাদশা তার অনুসারী। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে বলে এ ছাত্রলীগ নেতা দাবি করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বাদশা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,সভাপতি নিজে আমার সাথে ঝামেলা করেছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সুজন বলেন,এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।  তাকে এখন চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।  পরবর্তীতে দলীয় ফোরামে বসে এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক জিয়া বলেন,এ ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

কমিটি নিতে ছাত্রলীগের সভাপতিকে পেটালেন সাধারণ সম্পাদক

আপডেট সময় ০৪:১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেকুল ইসলামকে আটকে রেখে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বাদশার বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেকুল ইসলাম জানায়,আমাকে সভাপতি করে গত ১৮ দিন আগে  উপজেলার ৩ন‍ং চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৬সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে গত ১মার্চ নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আমাকে না জানিয়ে ৬নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশ করে। এরপর রাতে সে আমাকে জানায়।

তখন আমি তাকে বলি তুই আমাকে ছাড়া কমিটি দিলি। আচ্ছা অসুবিধা নেই, যারা সংশ্লিষ্ট আছে তাদের সাথে কথা বলে এটা আমি সহি শুদ্ধ করে দেব। তবে এসব কাজ আর করিসনা।

তারেকুল বলেন, পরবর্তীতে নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম সাহেবের সাথে আমার কথা হয়। পরবর্তীতে এমপি আমাকে ফোন দিয়ে বলে, এ তুমি কোথায়, তুমি বাদশাকে ফোন দাও। পরে আমি এবং এমপি সাহেব বাদশাকে ফোন করি।  কিন্তু সে কারো ফোন রিসিভ করেনি। তখন এমপি আমাকে জানায় কালকে ১১টার মধ্যে তুমি বাদশার কাছে যাবে।  সে কেন এমন করতেছে আমার মাথায় ধরছেনা।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, পরের দিন চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাদশার সাথে আমার দেখা হয়। পরে সে সেখান থেকে আমাকে মহিনের অফিসে নিয়ে যায়। ওখানে নিয়ে যাওয়ার পর সে আমাকে বলে ৬নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটিতে স্বাক্ষর করতে। আর বাকী ৮টি ওয়ার্ডের কমিটি কোন দিন দিবেন। এ বলে চাপ সৃষ্টি করে।  তখন আমি তাকে জানায় আমাদের ইউনিয়ন কমিটিও এখানো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তাছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও এমপির দিকনির্দেশনা ছাড়া আমি কিভাবে কমিটি দেব।

তখন সে আমাকে বলে আপনি এখনই কমিটি দিবেন। আমার কাছে ৮টি ওয়ার্ডের সব কাগজ রেডি আছে।  আপনি এখন স্বাক্ষর দেন। একপর্যায়ে আমার মা-বাবা ধরে আমাকে গালমন্দ করে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিড়ে ফেলে। একই সাথে আমাকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। আমার নাক,কান, চোখে জখম করে রক্তাক্ত করে ফেলে।  সে আমার রক্ত বের হওয়া পর্যন্ত আমাকে পেটাতে থাকে।

এখন আমি আমার চোখ নিয়ে দুচিন্তায় আছি।  আমার চোখের অবস্থা বিষণ খারাপ।  আমি বাম চোখে ঝাপসা দেখছি।  আমি চোখ হারাতে বসেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারেকুল বলেন, হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বাদশা নেশামুক্তির জন্য রিহ্যাবে ছিল। পেটানোর পর থেকে স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম সাহেব আমার কোন খোঁজ নেয়নি। বাদশা তার অনুসারী। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হয়েছে বলে এ ছাত্রলীগ নেতা দাবি করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাষিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বাদশা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,সভাপতি নিজে আমার সাথে ঝামেলা করেছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সুজন বলেন,এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন।  তাকে এখন চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।  পরবর্তীতে দলীয় ফোরামে বসে এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক জিয়া বলেন,এ ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।